জবি সংবাদদাতা ॥ গত ১৭ নবেম্বর বাস ভাড়াকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে বাস শ্রমিকদের ভুল বোঝাবুঝিসহ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এরই প্ররিপ্রেক্ষিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমাদুল হকের নির্দেশে ঘটনার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন সমাধানের লক্ষ্যে গতকাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, অত্র এলাকার গেয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি ও রাজধানীর বিভিন্ন রুট থেকে সদরঘাটে আসা ছয়টি গণপরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডিদের) সঙ্গে এক জরুরি বৈঠক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীরা সপ্তাহের প্রতিদিন যে কোন সময় তাদের নিজেদের আইডি কার্ড প্রদর্শন করা সাপেক্ষে হাফ ভাড়া পরিশোধের সুবিধা পাবে। তবে এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ভাড়া ৫/- টাকা নির্ধারণ করা হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও পরিবহন শ্রমিকরা একে অপরের প্রতি সৌহার্দ্য আচরণ করবে। কোন মতেই অপ্রীতিকর ঘটনার সূত্রপাত করা যাবে না। তবে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের ভুল বোঝাবুঝি বা অপ্রীতিকর ঘটনার উদ্ভব হলে শিক্ষার্থীরা গাড়ির নম্বর ও সময় উল্লেখ করে তাৎক্ষনিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তর বা সদরঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাবে।
একইভাবে রাজধানীর যে কোনো স্থানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শ্রমিকদের ভুল বোঝাবুঝি বা অপ্রীতিকর ঘটনার উদ্ভব হলে তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তর বা সদরঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে পারবে।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের নিরাপদ চলাচল ও অধিকতর নিরাপত্তার জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেইট ও বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকা থেকে বাস স্ট্যান্ড সরানোর জন্য ডিএমপি কমিশনার বরাবর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আবেদন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
উল্লেখ্য, বৈঠকে প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যবৃন্দ, কোতয়ালী থানার ওসি, কোতায়ালী থানার ট্রাফিক ইন-চার্জ, সদরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ, ছাত্রনেতৃবৃন্দ, সাভার পরিবহন, তানজিল, বিহঙ্গ, আজমেরি গ্লোরি, ভিক্টোর, স্বজন পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: