অনলাইন ডেস্ক ॥ কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা খুনের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন মঙ্গলবার রাতে ‘চিহ্নিত এক মাদক ব্যবসায়ীসহ’ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
সোমবার বিকালে শহরের পাথুরিয়াপাড়ায় কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের সিমেন্টের দোকান থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে হামলা চালায় একদল মুখোশধারী। সেখানে থাকা সোহেল এবং তার সহযোগী ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সভাপতি হরিপদ সাহাকে তারা গুলি করে হত্যা করে।
খুনিদের এলোপাতাড়ি গুলিতে আহত হন আরও চারজন। তাদের কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মামলার এজহারে ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১০জনকে আসামি করা হয়েছে সেখানে।
মাদকবিরোধী অবস্থান নেওয়ায় এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড চালায়। এজাহারে তাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছ বলে জানিয়েছেন নিহত সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন।
এজাহারে যে ১১ জনের নাম এসেছে, তাদের প্রথমেই আছেন কুমিল্লা শহরের সুজানগর এলাকার জানু মিয়ার ছেলে শাহ আলম (২৮), যার বিরুদ্ধে মাদকের কারবারসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে থানায়।
নাম উল্লেখ করা বাকি আসামিরা হলেন: স্থানীয় রফিক মিয়ার ছেলে মো. সাব্বির হোসেন (২৮), কানু মিয়ার ছেলে সুমন (৩২), নূর আলীর ছেলে জিসান মিয়া, কানাই মিয়ার ছেলে রনি (৩২), নবগ্রাম এলাকার সোহেল ওরফে জেল সোহেল (২৮), সায়মন (৩০), সংরাইস এলাকার সাজন (৩২), মাসুম (৩৫) তেলিকোনা এলাকার আশিকুর রহমান রকি (৩২) ও সুজানগর বৌবাজার এলাকার আলম (৩৫)।
কাউন্সিলর সোহেলকে যেখানে হত্যা করা হয়, তার আধা কিলোমিটার দূরে সুজানগর এলাকার সীমানাপ্রাচীর ঘেরা একটি জায়গা থেকে মঙ্গলবার দুটি এলজি, একটি পাইপগান, দেড় ডজন অবিস্ম্ফোরিত হাতবোমা, তিনটি কালো ব্যাগ, দুটি কালো জামা ও ১২ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করার কথা জানায় পুলিশ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আজ বুধবারও ঘটনাস্থল ও আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
