ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মাহমুদুল্লাহর বোলিংয়ের প্রশংসায় সাকলাইন

প্রকাশিত: ০০:১০, ২৪ নভেম্বর ২০২১

মাহমুদুল্লাহর বোলিংয়ের প্রশংসায় সাকলাইন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ২০১৬ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) টি২০ আসরে খুলনা টাইটান্স ও চট্টগ্রাম ভাইকিংসের ম্যাচটির স্মৃতি ফিরে এসেছে সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সেদিন শেষ ওভারে চট্টগ্রামের হাতে থাকা ৪ উইকেটে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ৬ রান। কিন্তু শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসে খুলনার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন এবং দুটি বল ডট করেন। এতেই ৪ রানের অবিশ^াস্য এক জয় পায় তার দল। ২০১৬ সালের ১২ নবেম্বর মিরপুরে হওয়া সেই একই ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছিল ২২ নবেম্বর, ২০২১ সালে এসে। শেষ ওভারে ৮ রান প্রয়োজন ছিল পাকদের, কিন্তু মাহমুদুল্লাহ বল হাতে নিয়ে ম্যাজিক দেখান। তিনি ৩ উইকেট তুলে নিলে শেষ বলে মাত্র ২ রানের প্রয়োজন পড়ে। এবার অবশ্য বাউন্ডারি হজম করায় দলকে জেতাতে পারেননি, কিন্তু তার সাহসী ভূমিকা এবং বিস্ময়কর বোলিংয়ে মুগ্ধ হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অফস্পিনার ও বর্তমানে প্রধান কোচ সাকলাইন মুস্তাক। সোমবার ৭ উইকেটে মাত্র ১২৪ রান করেও পাকিস্তানকে শেষ ওভার পর্যন্ত জয় পেতে অপেক্ষায় রেখেছে বাংলাদেশী বোলাররা। এদিন পুরো ম্যাচে বল হাতে না নিলেও অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ সাহসী সিদ্ধান্ত নেন শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসে এবং অফস্পিনের অবিশ^াস্য ম্যাজিক শুরু করেন। ৬ বলে ৮ রান প্রয়োজন ছিল জয়ের জন্য পাকদের। ওই ওভারের দ্বিতীয় বলে সরফরাজ (১২ বলে ৬), তৃতীয় বলে হায়দার ও পঞ্চম বলে ইফতিখার তাকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন। অন্যতম ভরসা হায়দার ৩৮ বলে ৩ চার, ২ ছক্কায় ৪৫ রানে সাজঘরে ফেরেন। চতুর্থ বলটি ছিল মাহমুদুল্লাহর হ্যাটট্রিক করার সুযোগ। কিন্তু ছক্কা হাঁকান ইফতিখার এবং তিনিও পঞ্চম বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হলে জয়ের আশা বাড়ে বাংলাদেশের। শেষ বলে পাকদের প্রয়োজন ছিল জিততে ২ রান আর বাংলাদেশের দরকার একটি ডট। অনেক নাটকীয়তায় দীর্ঘ সময় পর মাহমুদুল্লাহ স্নায়ুচাপের শেষ বলটি করেন। ফিল্ডিং সাজিয়েছেন নতুন করে, একবার বল করতে গিয়েও করেননি তিনি। তার আগেই তিনি বল করলে স্টাম্পে আঘাত করে কিন্তু ব্যাটার মোহাম্মদ নাওয়াজ সরে গিয়ে বল মোকাবেলা করেননি। ফলে সেটি ডেড বল হয়ে যায়। তবে স্নায়ুচাপটা জিতেছেন নাওয়াজ, এক্সট্রা কাভার দিয়ে সজোরে ব্যাট চালিয়ে চার হাঁকিয়ে পাকদের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে মাহমুদুল্লাহ ১ ওভারে ১০ রানে ৩ উইকেট নেন। তার দুর্দান্ত শেষ ওভারে জয়ের কাছাকাছি গিয়েও হেরেছে বাংলাদেশ। এ কারণে মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন কিংবদন্তি পাক অফস্পিনার সাকলাইন। ম্যাচ শেষে পাকিস্তানের এই হেড কোচ বলেন, ‘ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত গড়িয়েছে। আমাদের ছেলেরা তাদের স্নায়ুচাপ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। আমি বাংলাদেশকে কৃতিত্ব দিতে চাই। বিশেষ করে মাহমুদুল্লাহকে, শেষ ওভারে ও যেভাবে বোলিং করেছে এবং পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে।’
×