ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রেস্তরাঁ খাতকে একটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে আসার দাবি

প্রকাশিত: ২১:১৮, ২১ নভেম্বর ২০২১

রেস্তরাঁ খাতকে একটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে আসার দাবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রেস্তরাঁ খাতে প্রশাসনিক হয়রানির অভিযোগ তুলে একে একটি নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন রেস্তরাঁ মালিক সমিতির নেতারা। শনিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ রেস্তরাঁ মালিক সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। রেস্তরাঁ মালিকদের অভিযোগ, শিল্পের অন্যতম এ খাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে রেস্তরাঁ খাতকে ১১টি সংস্থার অধীনে কাজ করতে হয়। প্রতিবছর নতুন করে লাইসেন্স করতে বা নবায়নে ছোট ছোট উদ্যোক্তা হয়রানির শিকার হওয়ার পাশাপাশি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাদের দাবি, সরকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় করে রেস্তরাঁ খাতকে একটি মন্ত্রণালয়ের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত দাবি তুলে ধরেন রেস্তরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। এসময় সভাপতি মোঃ ওসমান গণিসহ সমিতির বিভিন্ন নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মোবাইল কোর্টের নামে চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি চলছে বলে দাবি করেন রেস্তরাঁ খাতের উদ্যোক্তারা। মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, খোলা ফুটপাথে বা যেখানেসেখানে খাবার তৈরি ও বিক্রি হয় কিন্তু সেখানে কোন অভিযান হয় না। আমরা যারা বিনিয়োগ করে রেস্তরাঁ করি সেখানে অহেতুক ১৫-২০ পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসার ভয়ভীতি দেখায়। মোবাইল কোর্ট বিধি মোতাবেক পরিচালনা করতে হবে। রেস্তরাঁ খাতে খাবারের মান পরীক্ষা ও দাম নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে অনেক মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে। এগুলো হলো বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বিএসটিআই, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের বাজার মনিটরিং টিম, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত, জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট, কল-কারখানা পরিদর্শন অধিদফতরের সার্ভে অভিযান ও স্বতন্ত্রভাবে র‌্যাবের মোবাইল কোর্ট। তিনি বলেন, মোবাইল কোর্টের নামে বাংলাদেশে একটি ভুল বার্তা প্রচার হচ্ছে যে আমরা ভেজাল খাবার পরিবেশন করছি। আমরা বলছি না এই খাতে সব ঠিক আছে এবং কোথাও কোন ভেজাল নেই। আমরা কমার্শিয়াল সবকিছু দিচ্ছি অথচ একজন স্ট্রীট ফুডের মালিক কোন ভ্যাট দিচ্ছে না। সে কোথায় রান্না করে, উপাদান কী দিচ্ছে তার কোন মনিটরিং টিমও নেই।
×