ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত: ০১:১৫, ২৯ অক্টোবর ২০২১

নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানি পৌরসভার বিভিন্ন পদে নিয়োগ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পৌরসভার বর্তমান মেয়র মোঃ মোক্তার আলী ও সহকারী প্রকৌশলী এ কে এম সাইফুল ইসলাম উভয়ের যোগসাজশে এমন অনিয়ম হয়েছে। এসব অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আল আমিনের নেতৃত্বে অভিযান চালায়। অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। অভিযানে দেখা গেছে, নিয়ম না থাকা সত্ত্বেও সহকারী প্রকৌশলী সাইফুর ইসলামকে সচিব পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মাস্টার রোলে কর্মচারী নিয়োগের বিধান অমান্য করে দুজন অস্তিত্বহীন ব্যক্তির নামে প্রায় ৯ লাখ টাকা মেয়র উত্তোলন করেছেন। অন্যদিকে পৌরসভার নিজস্ব কোন জিপ গাড়ি নেই এবং এর জন্য কোন তেলও বরাদ্দ নেই। তবে অন্য যানবাহন আছে। সে ক্ষেত্রে যাচাইয়ের জন্য এ্যানফোর্সমেন্ট টিম সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রার সংগ্রহ করেছে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আরিফ সাদিক জানান, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানি পৌরসভা মেয়র ও সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে বিধিমালা লঙ্ঘন করে বিভিন্ন পদে নিয়োগ ও জিপ গাড়ি না থাকা সত্ত্বেও তেল উত্তোলন বাবদ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বুধবার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় দুদক টিম বিধিমালা লঙ্ঘন করে বিভিন্ন পদে নিয়োগ প্রদান সংক্রান্ত নথিপত্র সংগ্রহ করে। টিম সব প্রকল্পের তালিকা, বরাদ্দের নথি ও ব্যয় রেজিস্ট্রারের কপি দ্রুত সরবরাহের জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও প্রাথমিক অনুসন্ধানে সহকারী প্রকৌশলীর বেশকিছু সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, যা তার আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে দুদক টিমের কাছেও প্রতীয়মান হয়েছে। দুদক সূত্রে আরও জানা যায়, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানি পৌরসভার বর্তমান মেয়র মোঃ মোক্তার আলী স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর শাখার ছাড়পত্র প্রাপ্ত নিয়ে একজন স্টোর কিপার, সহকারী কর আদায়কারী তিনজন, লাইসেন্স পরিদর্শক একজন, সুপারভাইজার পদে দুজন, বিদ্যুত মিস্ত্রি ও হেলপার পদে দুজন, রোড রোলার ও ট্রাক চালক পদে দুজন এবং অফিস সহায়ক পদে দুজনসহ মোট ১৩ জন কর্মচারী নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেয়। এসব পদে নিয়োগ দিতে বিধি লঙ্ঘন করে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী এ কে এম সাইফুল ইসলামকে নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব করেন এবং প্রতিটি পদে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা উৎকোচ নিয়ে বিধিবহির্ভূতভাবে উক্ত ১৩টি পদে নিয়োগ দেয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মেয়র ও প্রকৌশলী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে।
×