ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ার স্থানীয় সরকার নির্বাচন

প্রকাশিত: ০০:২১, ২৯ অক্টোবর ২০২১

বগুড়ার স্থানীয় সরকার নির্বাচন

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ বগুড়া সোনাতলা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেয়ায় জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে শিবগঞ্জ উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একই পরিবারের সদস্যগণ মনোনয়নপত্র জমা দেয়ায় পরিবারের সদস্যরা বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত দুই ইউনিয়নে মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় কিছুটা স্বস্তি এসেছে। এক ইউনিয়নে মা ও ছেলের প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করায় দুজনেই মাঠে আছেন। ভোটাররা মজাই পাচ্ছেন। বগুড়ার সোনাতলা পৌরসভার বয়স ২০ বছর। ১২ দশমিক ৩৭ বর্গকিলোমিটার আয়তন নিয়ে ২০০১ সালের ২৬ এপ্রিল পৌরসভা স্থাপিত হয়। সীমানা নিয়ে মামলা থাকায় ১৫ বছর নির্বাচন হয়নি। প্রথম নির্বাচন হয় ২০১৬ সালের ৭ আগস্ট। মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম নান্নু। দলীয়ভাবে এবার তিনি মনোনয়ন না পাওয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেন। প্রচার শুরু করলে তিনিসহ দলের ১৯ জনকে দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ হয়। সোনাতলা পৌরসভায় আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে শহিদুল বারী খান রব্বানীকে। তিনি নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। জাহাঙ্গীর আলম নান্নু (বর্তমান মেয়র) স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে মাঠে নেমেছেন। অন্যদিকে বিএনপি সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছে না। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মাঠে আছেন। তিনি বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য ডাঃ হাবিবুর রহমানের (প্রয়াত) কনিষ্ঠ পুত্র এ কে এম সাকিল রেজা বাবলা। তার প্রতীক জগ। এছাড়াও ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪০ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরের ৩টি পদে ১১ প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। ‘খ’ শ্রেণীভুক্ত সোনাতলা পৌরসভায় মোট ১৯ হাজার ৫২৩ ভোটার দ্বিতীয়বার নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট প্রদান করবেন। ২ নবেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কোভিড-১৯ কালে নির্বাচন জমে উঠেছে। এই সময়টায় আবহাওয়া শীতল থাকায় ভোটারদের মনে ফুর্তি লেগেছে। প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। শিবগঞ্জ উপজেলায় তিন ইউনিয়ন পরিষদ ময়দানহাটা, পীরব ও বিহার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নেমেছিলেন স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী, বাবার বিরুদ্ধে ছেলে এবং ছেলের বিরুদ্ধে মা। শেষ পর্যন্ত স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী ও বাবার বিরুদ্ধে ছেলে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। শুধু বিহার ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতায় আছেন ছেলে জুলফিকার হাসান এবং মা খালেদা বেগম। ময়দানহাটা ইউনিয়নে চেয়্যারম্যান প্রার্থী খন্দকার রমজান আলী। তার ছেলে মাহবুব মোরশেদ মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। পীরব ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে থাকলেন আসিফ মাহমুদ। তার স্ত্রী শামীমা আক্তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
×