ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কর্মশালায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে

প্রকাশিত: ২৩:৫৭, ২৯ অক্টোবর ২০২১

‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দর্শন ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ বাস্তবায়নে সব জনপ্রতিনিধি এবং সরকারী কর্মকর্তাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের আয়োজনে ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ কারিগরি সহায়তা প্রকল্প অংশীজন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, গ্রামকে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন করতে হবে। গুচ্ছভিত্তিক গ্রাম গড়ে তুলতে হবে। একটি গ্রামের মধ্যে কিছু অংশে হবে আবাসিক এলাকা, কিছু অংশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, খেলাধুলার স্থান, সুইমিংপুল, হাটবাজার, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ অন্যান্য সুবিধাও থাকবে। যেন সবাই এক জায়গায় সুবিধাগুলো পায়। মাস্টারপ্ল্যান করলে সেভাবেই করতে হবে। তিনি বলেন, এটি বাস্তবায়নে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে আমাদের অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজে সম্পৃক্ত হতে হবে। সবাই মিলে কাজ করলে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব। নতুন প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য সুন্দর দেশ উপহার দেয়া আমাদের দায়িত্ব। তাজুল ইসলাম আরও বলেন, সব অবকাঠামো পরিকল্পিতভাবে করতে হবে। এতে বিদ্যুত, গ্যাস, পানি ও সুয়ারেজের লাইন সবকিছু সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা সহজ হবে। মানুষকে গ্রামে রাখতে হলে সব আধুনিক নাগরিক সুযোগ-সুবিধা যেমন- কর্মসংস্থান, ব্যাংক-বীমা, গ্যাস-পানি-বিদ্যুত স্যানিটেশনসহ সব সুবিধা সরবরাহ করতে হবে। দেশের বড় বড় শহর-নগরের মতো গ্রামগুলোকে ক্ষতবিক্ষত হতে দেয়া যাবে না। গ্রাম-গঞ্জে যত্রতত্র অবকাঠামো নির্মাণ না করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে অনুমতি নিতে হবে জানিয়ে মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান কোন অনিয়ম করলে তাদেরও কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। শহর-নগরের মতো গ্রামকে পরিকল্পিতভাবে নির্মাণের কোন বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। তিনি বলেন, শহরের আধুনিক নাগরিক সুযোগ-সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দিতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ দর্শন গ্রহণ করেছেন। এই দর্শন বাস্তবায়নের পর গ্রাম শহরের কোন বৈষম্য থাকবে না। আধুনিক কৃষি চাষাবাদের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সমবায়ভিত্তিক চাষাবাদে উৎপাদন বেড়েছে। কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা ও বগুড়ায় পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। এই দুই জায়গায় সমবায়ভিত্তিক চাষাবাদের ফলে আগের চেয়ে উৎপাদন বেড়েছে। এখন দেশের প্রতিটি সংসদ সদস্যের মাধ্যমে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে কৃষিতে অনেক বড় সাফল্য আসবে। স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন আইএমইডির সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) মামুন আল রশীদ ও রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, জাইকার প্রধান প্রতিনিধি হায়াকাওয়া ইয়োহো।
×