ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রবির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বক্তব্য শুনল ইউজিসির তদন্ত কমিটি

প্রকাশিত: ২৩:৫৭, ২৯ অক্টোবর ২০২১

রবির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বক্তব্য শুনল ইউজিসির তদন্ত কমিটি

নিজস্ব সংবাদদাতা, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ ॥ শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেয়ার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) গঠিত তদন্ত কমিটি। গত বুধবার সকালে ইউজিসির তিন সদস্যের তদন্ত দল রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবনে গিয়ে তদন্ত কাজ শুরু করেন। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক জামিনূর রহমান ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক ইউসুফ হিরা। তদন্ত চলাকালে কমিটির প্রধান ইউজিসির সদস্য ড. দিল আফরোজ ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। এদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেয়ার ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র আবু জাফর জানান, ইউজিসির তদন্ত দল ভুক্তভোগী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া চার শিক্ষার্থী, প্রত্যক্ষদর্শী তিন শিক্ষক, আত্মহত্যা চেষ্টাকারী শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন, শামীম হোসেন ও আবিদ হোসেন এবং ৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বক্তব্য শোনেন। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের প্রধান লায়লা ফেরদৌস হিমেল জানান, ইউজিসির তদন্ত কমিটি তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বক্তব্য নিয়েছেন। পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফর্মে ৫৪টি প্রশ্নে উত্তর নেয়া হয়। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য জামিনূর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তদন্ত কাজ অব্যাহত রয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করা উচিত হবে না। এদিকে এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘ইউজিসির তদন্ত কমিটির কাছে আমি আমার বক্তব্য তুলে ধরেছি।’ অন্যদিকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করে জানান, তদন্ত কাজ শেষে ইউজিসির প্রতিনিধি দল ঢাকা ফিরে গেছেন। উল্লেখ্য, গত ২৬ সেপ্টেম্বর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন পরীক্ষা হলে প্রবেশের সময় কাঁচি দিয়ে ১৪ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফারহানা ইয়াসমিনকে স্থায়ী বহিষ্কার দাবিতে আমরণ অনশনসহ লাগাতার বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করে। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের বিশেষ সভায় ফারহানা ইয়াসমিনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয় এবং ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ইতোমধ্যেই ওই তদন্ত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল লতিফের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
×