ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীর মোট ছয়টি রুটে চালু হবে মেট্রোট্রেন দুই পথে মোট স্টেশন সংখ্যা হবে ১০৫ ২০৩০ সালের মধ্যে সব প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা

যোগাযোগে বিপ্লব ॥ উড়াল ও পাতাল রেল আসছে

প্রকাশিত: ২৩:০৪, ২৯ অক্টোবর ২০২১

যোগাযোগে বিপ্লব ॥ উড়াল ও পাতাল রেল আসছে

রহিম শেখ ॥ ঢাকার উত্তরা থেকে শাহবাগ পর্যন্ত মেট্রোরেল লাইন-৬-এর কাজ দ্রæতগতিতে এগিয়ে চলছে। পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলও শুরু হয়েছে। তবে মেট্রোরেলের অন্য লাইনগুলো খুব বেশি এগোতে পারেনি। জাপানের সংস্থা জাইকা ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তায় আরও তিনটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। জাইকার অর্থায়নে ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প বা এমআরটি-১ ও ৫-এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। আর এডিবির অর্থায়নে এমআরটি লাইন-৫-এর সাউদার্ন অংশের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০৮ কোটি টাকা। বাকি তিন প্রকল্প জিটুজি এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) পদ্ধতিতে নির্মাণের লক্ষ্যে কাজ চলছে। রাজধানীর মোট ছয়টি রুটে মেট্রোট্রেন ১২৯.৯০১ কিলোমিটার। এর মধ্যে উড়াল পথ ৬৮.৭২৯ কিলোমিটার এবং পাতাল ৬১.১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ। এসব রুটে মোট ১০৫টি স্টেশনের মধ্যে উড়াল পথে থাকবে ৫২টি এবং পাতালে থাকবে ৫৩টি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুই বছর আগে প্রকল্পগুলো নেয়া হলেও এখন চলছে সম্ভাব্যতা যাচাই ও নক্সা প্রণয়নের কাজ। করোনার কারণে কার্যক্রমে কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে সংশোধনী এনে লাইন-১-এর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে সরকার এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক বলেন, এমআরটি অন্য লাইনগুলো বাস্তবায়নে যে কর্মপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে, সে অনুসারে এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থায়নসহ প্রকল্প বাস্তবায়নে কোন সমস্যা আপাতত নেই। নির্দিষ্ট মেয়াদের আগেই কাজ শেষ করতে পারব। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) তথ্য মতে, রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের প্রথম মেট্রোরেল (এমআরটি-৬)। আটটি প্যাকেজে এমআরটি-৬ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে দিয়াবাড়ী থেকে পল্লবী পর্যন্ত মেট্রোরেলের ট্রায়াল রান শুরু হয়েছে। এমআরটি-৬ প্রকল্পে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার লাইনের সমন্বিত অগ্রগতি হয়েছে ৭০ দশমিক ৫৮ শতাংশ। আর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার লাইনের অগ্রগতি ৮৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ। কাওরানবাজার থেকে মতিঝিল পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৭৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম এবং রোলিং স্টক (রেলকোচ) ও ডিপো ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ কাজের সমন্বিত অগ্রগতি ৬৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী এ প্রকল্পে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে এই রুটে ভ‚মি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। দেশের প্রথম মেট্রোরেলের এমআরটি-৬ লাইনে মোট ১৬ স্টেশন থাকবে। এর মধ্যে উত্তরা টু আগারগাঁও পর্যন্ত স্টেশনের সংখ্যা ৯টি। এগুলো হচ্ছে-উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজিপাড়া, শেওড়াপাড়া ও আগারগাঁও। আগারগাঁও থেকে কাওরানবাজার পর্যন্ত স্টেশনের সংখ্যা ৩টি। এগুলো হচ্ছে-বিজয় সরণি, ফার্মগেট ও কাওরানবাজার। কাওরানবাজার থেকে মতিঝিল পর্যন্ত স্টেশনের সংখ্যা ৪টি। এগুলো হচ্ছে শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সচিবালয় ও মতিঝিল। প্রকল্প সূত্র জানায়, মেট্রোট্রেন ও লাইনের নক্সা অনুযায়ী, এটি সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে। তবে যাত্রী নিয়ে কত গতিতে চলবে, স্টেশনে কতক্ষণ থামানো হবে এবং ভাড়া কত হবে, এসব বিষয় এখনও চ‚ড়ান্ত হয়নি। এমআরটি-১ ॥ ২০১৯ সালের অক্টোবরে অনুমোদন পায় ৩২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-১-এর নির্মাণকাজ। বিএমটিসিএল সূত্রে জানা গেছে, এমআরটি লাইন-১ দুটি অংশে বিভক্ত। অংশ দুটি হলো বিমান রুট (বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর) এবং পূর্বাচল রুট (নতুন বাজার থেকে পিতলগঞ্জ ডিপো)। বিমানবন্দর রুটের মোট দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার এবং মোট পাতাল স্টেশন সংখ্যা ১২টি। এ রুটেই বাংলাদেশে প্রথম পাতাল বা আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রোরেল নির্মিত হতে যাচ্ছে। পূর্বাচল রুটের মোট দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার। সম্পূর্ণ অংশ উড়াল এবং মোট স্টেশন সংখ্যা নয়টি। তার মধ্যে সাতটি স্টেশন হবে উড়াল। নতুন বাজার ও যমুনা ফিউচার পার্ক স্টেশনদ্বয় বিমানবন্দর রুটের অংশ হিসেবে পাতালে নির্মিত হবে। নতুন বাজার স্টেশনে ইন্টার-চেঞ্জ থাকবে। এ ইন্টার-চেঞ্জ ব্যবহার করে বিমানবন্দর রুট থেকে পূর্বাচল রুটে এবং পূর্বাচল রুট থেকে বিমানবন্দর রুটে যাওয়া যাবে। উভয় রুটের সব বিস্তারিত স্টাডি, সার্ভে এবং বেসিক ডিজাইন সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে ডিটেইল ডিজাইনের কাজ চলমান, এর অগ্রগতি ৮৩ শতাংশ। এ লাইনে ডিপো ও ডিপো এক্সেস করিডারে নির্মাণের নিমিত্ত নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার পিতলগঞ্জ ও ব্রাহ্মণখালী মৌজায় ৯২ দশমিক ৯৭ একর জমি অধিগ্রহণের নিমিত্ত যৌথ তদন্ত কার্যক্রম সমাপ্ত হয়েছে। বর্তমানে ৭ ধারার নোটিস জারির কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। নির্মাণকাজ তত্ত¡াবধানের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের নিমিত্ত এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (ইওআই) চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি আহ্বান করা হয়। ডিপোর ভূমি উন্নয়নের নিমিত্ত গত ১০ জুন দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ৫২ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা আনুমানিক ব্যয় ধরা এ প্রকল্পে সরকার দেবে ১৩ হাজার ১১ কোটি এবং অবশিষ্ট ৩৯ হাজার ৪৫১ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিবে জাইকা। করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে লকডাউন ও বিদেশী পরামর্শকদের অনুপস্থিতির কারণে কাজের গতি পিছিয়েছে বলে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর সময় বলা হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে এমআরটি-১-এর উপপ্রকল্প পরিচালক (ডিপো-সিভিল) মোহাম্মদ মোমেনুল ইসলাম মৃধা বলেন, প্রকল্পের বিভিন্ন ধাপ থাকে। এখন আমরা প্রথম ধাপ অতিক্রম করছি। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, একটি বাড়ি বানানোর সময় যেমন পরিকল্পনা নিয়ে একটি নক্সা তৈরি করতে হয়, এরপর বাড়ির মূল কনস্ট্রাকশনে হাত দিতে হয়, তেমনি এমআরটি-১ প্রকল্পটি এখন নক্সা প্রণয়নের কাজ চলছে। আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে আমরা প্রকল্পের মূল কনস্ট্রাকশনে যেতে পারব বলে আশা কিরছি। এমআরটি লাইন-৫ সাউদার্ন ॥ ২০৩০ সালের মধ্যে গাবতলী হতে দাশেরকান্দি পর্যন্ত উড়াল ও পাতাল সমন্বয়ে ১৭.৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ (পাতাল ১২.৮০ কিলোমিটার এবং উড়াল ৪.৬০ কিলোমিটার) এবং ১৬টি স্টেশন (পাতাল ১২টি এবং উড়াল ৪টি) বিশিষ্ট মেট্রোরেল নির্মাণের নিমিত্ত প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রকল্পের অর্থায়নের জন্য নিমিত্ত উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সঙ্গে ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চলতি বছরের ২১ এপ্রিল নিয়োজিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে। সম্ভাব্যতা যাচাই অংশ হিসেবে বিভিন্ন ধরনের সার্ভে ও বেসিক ডিজাইনের কাজ শুরু করা হয়েছে। বেসিক ডিজাইন কাজের অগ্রগতি ২৫ শতাংশ। এমআরটি লাইন-৫ সাউদার্নের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল ওহাব বলেন, ২০২০ সালের প্রকল্প অনুমোদন হলেও করোনার কারণে কাজে একটু দেরি হয়েছে। তবে ইতোমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গত ২৯ মার্চ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে। আমরা পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি। আশা করছি চলতি বছর ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এরপর পরের বছরের ২৮ মার্চ নাগাদ ডিটেইল ডিজাইন এবং ২০২৪ সালের মার্চ নাগাদ প্রকিউরমেন্টের কাজ শুরু করা যাবে। এমআরটি লাইন-৫-এর সাউদার্ন রুটে নির্মাণের সম্ভাব্য ব্যয় প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা। এ অংশে মেট্রোরেলটি গাবতলী থেকে টেকনিক্যাল, কল্যাণপুর, শ্যামলী, কলেজ গেট, আসাদ গেট, রাসেল স্কয়ার, পান্থপথ, সোনারগাঁও হোটেল, হাতিরঝিল, নিকেতন হয়ে রামপুরা পর্যন্ত যাবে। এমআরটি লাইন-৫ নর্দান ॥ ২০২৮ সালের মধ্যে হেমায়েতপুর হতে ভাটারা পর্যন্ত উড়াল ও পাতাল মেট্রোরেলের সমন্বয়ে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি-৫ নর্দানের বিভিন্ন জরিপ, ডিটেইল ডিজাইন ও ভূমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। এর মধ্যে পাতাল ১৩.৫০ কিলোমিটার এবং উড়াল ৬.৫ কিলোমিটার। ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার বিলামালিয়া ও কোন্ডা মৌজায় প্রথম পর্যায় ৪০.১৮২২ হেক্টর ভ‚মি অধিগ্রহণের জন্য ৪টি ধারায় নোটিস জারি করা হয়েছে। গত ১১ আগস্ট এ বিষয়ে যৌথ তদন্ত শেষ হয়েছে। বর্তমানে ডিটেইল ডিজাইনের কাজ চলমান, এর অগ্রগতি ১৬.৭০ শতাংশ। এ প্রসঙ্গে এমআরটি লাইন-৫ নর্দানের প্রকল্প পরিচালক মোঃ আফতাব হোসেন বলেন, আমরা প্রকল্পের ডিটেইল ডিজাইনের কাজ করছি। এর এক বছর শুধু গিয়েছে। আরও দেড় বছর নাগাদ এই নক্সা প্রণয়নের কাজ চলবে, তারপর বলা যাবে মূল কাজ কবে নাগাদ শুরু হবে। তিনি বলেন, আমাদের কাজ স্মুথলি চলছে, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে তদারকি করা হচ্ছে। কোন সমস্যা নেই। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক আকতার মাহমুদ বলেন, সংশোধিত নগর পরিকল্পনায় মেট্রোরেলের পাঁচটি লাইন ও কয়েকটি বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লাইন রয়েছে। এগুলোর কাজ যত দ্রুত শেষ হবে, নগর তত সচল হবে। যাতায়াতে মানুষের দুর্ভোগ কমবে। আলটিমেটলি গণপরিবহনের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, মেট্রোরেলের একটি লাইনের সঙ্গে আরেকটি লাইনের সংযুক্ততা রয়েছে। এখানে এমআরটি লাইন-৫-এর নর্দান ও সাউদার্ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই লাইনটি ঢাকার পূর্ব ও পশ্চিম অংশকে যুক্ত করবে। যেখানে এমআরটি লাইন-৬ যেমন উত্তর-দক্ষিণকে যুক্ত করছে। এ ক্ষেত্রে অর্থায়ন ও তদারকি জোরদার করার পরামর্শ দেন তিনি। এমআরটি লাইন-৪ ॥ ২০৩০ সালের মধ্যে পিপিপি পদ্ধতিতে কমলাপুর-নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে ট্র্যাকের পাশ দিয়ে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়াল মেট্রোরেল হিসেবে এমআরটি লাইন-৪ নির্মাণের উদ্যোগ প্রক্রিয়াধীন আছে। ইতোমধ্যে পিতলগঞ্জ ও ব্রাহ্মখালী মৌজায় ৯২.৯৭২৫ একর জমি অধিগ্রহণের নিমিত্তে যৌথ তদন্ত কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এমআরটি লাইন-২ ॥ ২০৩০ সালের মধ্যে গাবতলী থেকে চট্টগ্রাম রোড পর্যন্ত উড়াল ও পাতাল সমন্বয়ে প্রায় ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ জিটুজি ভিত্তিতে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) পদ্ধতিতে এমআরটি-২ নির্মাণের লক্ষ্যে প্রাথমিক জরিপ স্টাডি ৬২ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।
×