ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চাটমোহরে গো খাদ্যের তীব্র সংকট

প্রকাশিত: ১৬:২৬, ২৮ অক্টোবর ২০২১

চাটমোহরে গো খাদ্যের তীব্র সংকট

সংবাদদাতা, চাটমোহর, পাবনা ॥ পাবনার চাটমোহরের খাল বিল জলাশয়ের পানি কমলেও এখনো কমছে না গবাদী পশুর খাদ্য সংকট। বর্ষায় বিলগুলোতে বন্যার পানি প্রবেশ করার ফলে গোচারণ ভূমি ও ঘাস খেত ডুবে যাওয়ায় গবাদী পশুর খাদ্য সংকট শুরু হয়। এক দিকে খড়ের মূল্য বৃদ্ধি অন্য দিকে চাষ কৃত উন্নত জাতের ঘাস ক্ষেতগুলো পানিতে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় গরু মহিষ, ছাগল, ভেড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাটমোহরের পশু মালিকেরা। গরু মহিষের খাদ্য চাহিদা মেটাতে বিকল্প হিসেবে পশু মালিকেরা পানিতে ভাসমান কচুরী পানা ও রাস্তার পার্শ্ববর্তী লতা গুল্ম ও গাছের পাতার উপর নির্ভরশীল হয়ে পরেছেন। এ এলাকার অনেক পশু মালিক অর্থ সাশ্রয়ের জন্য অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি গরু মহিষকে এখনো এসব খাবার খাওয়াচ্ছেন। বৈশাখ জৈষ্ঠ্য মাসে কৃষক বোরো ধান কাটলে বোরো ধানের কিছু খড় পাওয়া গেলেও তা চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট নয়। ভাটি এলাকায় খড়ের দাম অপেক্ষাকৃত বেশি হওয়ায় সেসব এলাকার খড় ব্যবসায়ীরা চলনবিল অধ্যুষিত এলাকায় এসে চড়া দামে বোরো ধানের খড় কিনে নিয়ে যান। চাটমোহর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নুরে আলম জানান, চাটমোহরে ৩শ ২৮ টি গাভীর খামার, ২৩২টি গরু মোটা তাজাকরণ খামার, ৩৮ টি ছাগলের খামার ও ৩২ টি ভেড়ার খামার রয়েছে। এসব খামারসহ অন্যান্য কৃষকের মিলে মোট ৯৯ হাজার গরু, দুই হাজার ৭শ মহিষ, ১ লাখ ২৪ হাজার ছাগল ও ৪ হাজার ৭শ ভেড়া রয়েছে। তিনি আরো বলেন, গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় আমরা গত বছর কিছু খামারিদের খাদ্য দিয়েছি এবছর এখনো সরকারি কোন খাদ্যসহায়তা আসেনি। বর্ষার পানি কমে মাঠ জেগেছে, এখন গো খামারিরা উন্নত জাতের ঘাস চাষ শুরু করেছে। এ ঘাস বড় না হওয়া পর্যন্ত খাদ্য সংকট থাকবে। তবে বর্তমানে আগের তুলনায় খাদ্য সংকট অনেকটাই কম। বর্তমান এ এলাকায় ছোট বড় প্রকার ভেদে একশ আটি খড় প্রায় ৫শ থেকে ৬শ টাকা ও এক কেজি খড় ৫ টাকা থেকে ৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে। পশু মালিকেরা চড়া দামে পশুখাদ্য কিনে খাওয়াতে হিম শিম খাচ্ছেন। পশু খাদ্য সংকটে অনেকে পশু পালন ছেড়ে দিচ্ছেন মর্মে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
×