ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারীতে টিআইবি ও সনাকের মানববন্ধন

প্রকাশিত: ১৪:১৫, ২৮ অক্টোবর ২০২১

নীলফামারীতে টিআইবি ও সনাকের মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক সহিংসতাসহ সমস্তঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার এবং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবিতে নীলফামারীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে টিআইবি ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল দশটায় জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে রাজনৈতিক দোষারোপ নয়, সহিংসতা রোধে অবিলম্বে সমস্ত ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হোক এই আহ্বান জানানো হয় । মানববন্ধনে টিআইবি পরিচালিত সনাক, স্বজন, ইয়েস ও ইয়েস ফ্রেন্ডস সদস্যগন অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন ও সমাবেশে “চাই মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, রাজনৈতিক দোষারোপ না, সহিংসতা রোধে অবিলম্বে সমস্ত ঘটনার সুষ্ঠ বিচার হোক এমন আহবান জানিয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নীলফামারী সনাক, এর সভাপতি তাহমিনুল হক ববী। তিনি বলেন, আজকের মানববন্ধন ও সমাবেশ নীলফামারী স্বাধীনতার অম্লান চত্ত্বরের সামনে চৌরঙ্গী মোড়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যে স্বপ্ন ও আকাঙ্খা নিয়ে মহান বীর মুক্তিযোদ্ধাগন ৯ মাসের যুদ্ধে দেশ স্বাধীন করেছে। আমরা সোনার বাংলাকে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দেখাতে চাই। আমরা আগামী প্রজন্ম আর দেখতে চাইনা সাম্প্রদায়িক হামলা ও অরাজকতা। ”কুমিল্লা ,রংপুর সহ দেশের বিভিন্নস্থানে সহিংসতার যারা সৃষ্টি করেছে এর জন্য তীব্রনিন্দা জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে অবিলম্বে সকল সহিংসতার প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি করেন তিনি। ইয়েসসহ-দলনেতা মো: সুমন ইসলাম সাম্প্রদায়িক সহিংসতা রোধে সরকারের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে সনাক এর পক্ষে সুপারিশসমূহ উপস্থাপন করেন: ১. সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সমস্ত ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার এবং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান; ২. সহিংস ঘটনার যেন বিস্তৃতি না ঘটে সেজন্য প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক তাৎক্ষণিক জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ; ৩. শাহাবুদ্দিন কমিশন কর্তৃক দাখিলকৃত প্রতিবেদন প্রকাশ এবং এতে উল্লেখিত সুপারিশের আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ; ৪. সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রতি রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা চিরতরে নির্মূল করতে হবে এবং প্রশাসনিক ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পরিপূর্ণ নিরপেক্ষতা ও পেশাগত উৎকর্ষ নিশ্চিত করতে হবে; ৫. ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সহিংসতা রোধে শিক্ষাক্রমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিষয় পাঠ্য হিসেবে অন্তভুক্তকরণ; ৬. ভবিষ্যতে যেন সাম্প্রদায়িক সহিংসতার মতো জঘন্য অপরাধ সংঘটিত না হয় সেজন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
×