ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাবুলের মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে নারাজির শুনানি

প্রকাশিত: ২৩:২৮, ২৮ অক্টোবর ২০২১

বাবুলের মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে নারাজির শুনানি

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যা প্রথম মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বাবুল আক্তারের নারাজি আবেদনের শুনানি বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আদেশের জন্য আগামী ৩ নবেম্বর তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। স্ত্রী খুনের ঘটনায় প্রথম মামলাটির বাদী ছিলেন পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তার। বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালতে নারাজি আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বাবুল আক্তার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ১৪ অক্টোবর স্ত্রী খুনের ঘটনায় প্রথম মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন দাখিল করা হয়েছিল। বাবুল আক্তারের আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, স্ত্রী হত্যার ঘটনায় নিজের করা মামলায় পিবিআই দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের শুনানি শেষে আদালত আগামী ৩ নবেম্বর আদেশের জন্য রেখেছেন। আমরা শুনানিতে জানিয়েছি যে, মুছার সঙ্গে বাবুলের কোন যোগাযোগের প্রমাণ পায়নি তদন্তকারী সংস্থা। অথচ পাঁচ বছর পর বাবুল আক্তারকেই ফাঁসাতে মনগড়া প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত সংস্থা। এর ফলে বুঝা যাচ্ছে, এটি উদ্দেশ্যমূলক। মামলায় ৫১ জনের বেশি সাক্ষীর ১৬১ ধারায় জবানবন্দী নেয়া হয়েছে। কেউ বাবুলের সম্পৃক্ততার বিষয়ে কোন অভিযোগ করেননি। সাড়ে চার বছর পর ১৬৪ ধারায় দুজন সাক্ষীর জবানবন্দী নেয়া হয়েছে। তারা বলেছেন, বাবুল আক্তার ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা লেনদেন করেছেন। তদন্ত কর্মকর্তা এটার ওপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিলেন। মূলত বাবুল আক্তার মহল বিশেষের ষড়যন্ত্রের শিকার। বাবুলকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে জড়ানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে। শুনানিতে বাবুল আক্তার তার করা মামলার আলোকে পুনঃতদন্ত দাবি করেছেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী। বাবুল আক্তারের পক্ষে আরও একটি আবেদন জমা দাখিল করা হয়েছিল জানিয়ে আইনজীবী বলেন, প্রথম মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা মিতুর বাবা-মাকে সিএমপির গোয়েন্দা কার্যালয়ে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল, যা বিভিন্ন মিডিয়ার প্রকাশ হয়েছিল। কিন্তু সে বিষয়ে মামলার নথিতে কোন তথ্য নেই বলে বাদী জানতে পেরেছেন। সেই বিষয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত আবেদনটি নামঞ্জুর করেছেন। মিতু হত্যা মামলার আসামি ভোলাকে গত ২২ নবেম্বর যশোরের বেনাপোল থেকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। মিতু হত্যা মামলার অন্যতম তিন আসামির মধ্যে অস্ত্র সরবরাহের দায়িত্ব ছিল ভোলার। এই ভোলাই জবানবন্দীতে জানায়, মুছাকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে বাবুল আক্তার স্ত্রী কিলিং মিশনের দায়িত্ব দেন।
×