ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

অনৈতিক লেনদেন

প্রকাশিত: ২১:২১, ২৮ অক্টোবর ২০২১

অনৈতিক লেনদেন

সমগ্র বাংলাদেশে চলছে মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও রেন্ট-এ কারের রমরমা ব্যবসা। যত্রতত্র বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চলছে এতে দিন দিন পথচারীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চলে পথে-ঘাটে। ট্রাফিক আইন মানছেন না কেউ, হর্ন বাজাতে থাকে নিজেদের ইচ্ছামতো। সারা বাংলাদেশে চলছে কয়েক কোটি মোটরসাইকেল। শতকরা ৬০ থেকে ৭০ ভাগ গাড়ি ইঞ্জিনসহ অন্যান্য যান্ত্রিক বিষয়ও ত্রুটিপূর্ণ। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে যাত্রীসহ সামনের বাস অথবা ট্রাকে মুখোমুখি মেরে দিচ্ছে। এর প্রথমত কারণ গাড়ির দুর্বলতা, চালকের অনাভিজ্ঞতা সর্বোপরি প্রশাসন কর্তৃপক্ষের গাফিলতি, অবৈধভাবে ঘুষ গ্রহণপূর্বক এ সমস্ত গাড়ি সড়ক পথে চালানোর অবৈধ অনুমতি এমন কী কোন কোন অঞ্চলে এই সমস্ত গাড়িকে চালানোর জন্য প্রশাসন গাড়ির চালকদের সঙ্গে মাসিক চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। যার কারণে এই গাড়ির চালকরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তারা সাধারণ পথচারীদের কোন তোয়াক্কা করে না বা তাদের কাছে যাত্রী পরিবহন সংক্রান্ত আইনের কোন মূল্যই নেই। আইনের ভাষা তাদের কাছে নীরবে নিভৃতে কাঁদে। শুধু তাই নয় সন্ধ্যার পরে কোন স্থানে দূর-দূরান্ত থেকে আসা অচেনা-অজানা যাত্রীদের তাদের গন্তব্যস্থানে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে অতিরিক্ত টাকা চুক্তি করে তাদের নিয়ে যায়। এদের অনেকের কাছেই না থাকে গাড়ির লাইসেন্স, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং গাড়ি সংক্রান্ত বা চালক সংক্রান্ত উপযুক্ত কাগজপত্র বা সড়ক পরিবহন সংক্রান্ত কোন অনুমতিপত্র। চলমান গাড়িগুলোর কোন ইন্স্যুরেন্স নেই এবং সরকারকে কোন ট্যাক্স দেয় না। এতে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে। আর লাভবান হচ্ছে হাইওয়ে এবং ট্রাফিক পুলিশ। এরা ভয় দেখিয়ে প্রতিটি গাড়ির কাছ থেকে প্রতিনিয়ত টাকা নিয়ে গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়। আর টাকা না দিলে মামলা দিয়ে গাড়ি আটকে দেয়। এতেও তারা লাভবান। এরা মামলার টাকা থেকেও ২০ থেকে ৩০% কমিশন পায় বাকি টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দেয়। তবে মামলা দেয়ার সংখ্যা খুবই কম। বেশিরভাগ হাতে হাতে টাকা নিয়ে গাড়ি ছেড়ে দেয়। এতে যারা গরিব চালক, যাদের অন্ন সংস্থান এই গাড়ির ওপর, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশি। এভাবেই কি চলবে? মোহাম্মদপুর, ঢাকা থেকে
×