ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিয়ন্ত্রণ জরুরী

প্রকাশিত: ২১:২০, ২৮ অক্টোবর ২০২১

নিয়ন্ত্রণ জরুরী

বেপরোয়া মোটরসাইকেল বর্তমান সময়ে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম একটি কারণ। যার ফলে দেশের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ সেন্টারের সাবেক পরিচালক বলেন, মোটরসাইকেল একটি ঝুঁকিপূর্ণ বাহন। পাশাপাশি চার চাকার বাহনের তুলনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ঝুঁকি ৩০ গুণ বেশি। চলতি বছরের একটি গবেষণার পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বছরে সারাদেশে ১৩৭৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪৬৩ জন নিহত হয়েছেন। যা মোট নিহতের ২৬. ৯৩ শতাংশ। এবং মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ২৯.১০ শতাংশ। বর্তমানে মোটরসাইকেল একটি মরণযান হিসেবে পরিচিত হয়েছে। গবেষকগণ বলেন, সড়কে সবচেয়ে বেশি অনিরাপদ, মোটরসাইকেল এবং পথচারীরা। কারণ তারাই বেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। মোটরসাইকেল যত বেশি বৃদ্ধি পাবে, তত দুর্ঘটনার হারও বৃদ্ধি পাবে। সম্প্রতি এ্যাপভিত্তিক ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল বৃদ্ধির কারণেও সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। দ্রুত কর্মস্থলে পৌঁছতে কর্মজীবীরা ভাড়ায় চালিত এসব মোটরসাইকেল বেছে নেয়। আর চালকগণ সময় বাঁচিয়ে যাত্রীকে দ্রুত গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিতে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। অতএব, রাজধানীসহ সড়ক-মহাসড়ক ও শাখা রুটে বেপরোয়া মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সমাজের সকল শ্রেণীপেশার মানুষ স্বেচ্ছায় দায়িত্বশীল হতে হবে। এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে স্পিড রাডার বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি নির্দিষ্ট গতি সীমায় মোটরসাইকেল ড্রাইভিংয়ের ব্যাপারে উৎসাহিত করতে হবে। এবং এক্ষেত্রে শ্রেণী ভেদাভেদ ভুলে সকলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে, যারা ট্রাফিক সিগন্যাল মানবে না, আইন ভঙ্গকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশকে আরও কঠোর দায়িত্বশীল হতে হবে। পরিশেষ বলব একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। জীবিকার তাগিদে বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল ড্রাইভিং করে জীবন হারানোর চেয়ে, নিয়ন্ত্রণ গতি সীমা বজায় রেখে, ট্রাফিক আইন মেনে, সুশৃঙ্খলভাবে ড্রাইভিং করে জীবিকা অর্জন অধিকতর শ্রেয়। নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা থেকে
×