ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় কিশোরীকে গলা কেটে হত্যা ॥ কিশোর আহত

প্রকাশিত: ১৬:০৯, ২৭ অক্টোবর ২০২১

টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় কিশোরীকে গলা কেটে হত্যা ॥ কিশোর আহত

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল ॥ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় এক কিশোরীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই স্থান থেকে গলাকাটা অবস্থায় আহত এক কিশোরকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার সকালের দিকে এলেঙ্গা পৌরসভার শামসুল হক কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই কিশোরীর নাম সুমাইয়া আক্তার (১৬)। সে কালিহাতী উপজেলার পালিমা গ্রামের ফেরদৌসুর রহমানের মেয়ে। এলেঙ্গা পৌরসভার পালিমা গ্রামে ভাড়া বাসায় পরিবারসহ বসবাস করে তারা। নিহত ওই কিশোরী এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। আহত ওই কিশোরের নাম মনির হোসেন (১৭)। সে এলেঙ্গা পৌর এলাকার মশাজান গ্রামের মেহের আলীর ছেলে। তিনি বাস চালকের সহকারী। নিহত সুমাইয়ার বাবা ফেরদৌসুর রহমান বলেন, সকাল ৬টায় তার মেয়ে প্রাইম একাডেমিতে প্রাইভেট পড়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সকাল আটটায় স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পান, তার মেয়েকে কে বা কারা জবাই করে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখেছে। তবে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা ছেলেটিকে তিনি চিনেন না। এদিকে আহত মনিরের খালা রোজিনা বেগম বলেন, মঙ্গলবার রাতে বাড়ি থেকে মনির বের হয়ে যায়। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে স্থানীয় লোকজনদের কাছে খবর পেয়ে মনিরকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে তার সঙ্গে যে মেয়েটিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে তাকে তিনি চিনেন না। কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, সকালে স্থানীয় লোকজন শামসুল হক কলেজের সামনে গলাকাটা এক কিশোরী ও এক কিশোরকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ওই কিশোর জীবিত ছিল। পরে ওই কিশোর মনিরকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত ওই কিশোরের ঘাড়সহ বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাদের চিহ্ন রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রেমঘটিত কোনো কারণে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এ ঘটনার ক্লু জানা যায়নি। এলেঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর বরকত আলী জানান, স্থানীয়দের ভাষ্যমতে আহত মনির ও নিহত সুমাইয়ার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মনির ভাবলা গ্রামের মেহের আলীর ছেলে। সে পেশায় পরিবহন শ্রমিক। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার ডা. রাজিব পাল চৌধুরী জানান, মনিরের পেট থেকে ভুরি বেরিয়ে পড়েছে। তার গলায়, ঘাড়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা ক্ষত আছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বিধায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
×