ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

টি২০ বিশ্বকাপ

কিউইদের হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় পাকিদের

প্রকাশিত: ০০:৫৬, ২৭ অক্টোবর ২০২১

কিউইদের হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় পাকিদের

জাহিদুল আলম জয় ॥ নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে চলমান টি২০ বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে ফেবারিট পাকিস্তান। মঙ্গলবার রাতে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সুপার টুয়েলভের (গ্রুপ ২) ম্যাচে টস জিতে কিউইদের ব্যাটিং পাঠায় পাকিরা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রানের মামুলি পুঁজি গড়ে নিউজিল্যান্ড। ১৩৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামে বাবর আজমের দল। এক পর্যায়ে ৮৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেললেও ষষ্ঠ উইকেটে অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক ও তরুণ আসিফ আলী দুর্দান্ত ব্যাটিং করে দুজনেই অপরাজিত থেকে ১৮.৪ ওভারে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত (১৩৫ রান) করেন। কিউইদের স্বল্প রানে গুটিয়ে দেয়ার কারিগর পেসার হারিস রউফ মাত্র ২২ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন। দুর্দান্ত এই জয়ে আসরের সেমিফাইনালে খেলার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গেছে ২০০৯ আসরের চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান। গ্রুপ দুইয়ে এখন দুই ম্যাচে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে আনপ্রেডিক্টেবল খ্যাত দলটি। নিজেদের প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে ১০ উইকেটের রেকর্ড ব্যবধানে হারায় বাবর আজমের দল। অন্যদিকে আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচ হেরে সেমির রেসে হোঁচট খেল নিউজিল্যান্ড। টস জিতে অধিনায়ক বাবর আজমের ফিল্ডিং নেয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করেন পাকিস্তানী বোলাররা। উদ্বোধনী জুটিতে দুই কিউই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও ড্যারেন মিচেল ৩৬ রান করলেও হাত খুলে খেলতে পারেননি। এই রান করতে ৫.২ ওভার খেলতে হয় দুজনকে। এরপর গাপটিল ম্যাচ সেরা হওয়া হারিস রউফের শিকার হন দারুণ এক ডেলিভারিতে। দ্রুত রান তুলতে যাওয়া মিচেলকে ইনিংসের নবম ওভারে ফখর জামানের ক্যাচ বানান ইমাদ ওয়াসিম। সাজঘরে ফেরার আগে মিচেল করেন ২০ বলে ২৭ রান। ইনিংসটি তিনি সাজান দুটি ছক্কা ও এক চারে। দুই ওপেনার সাজঘরে ফেরার পর কিউই মিডলঅর্ডার হুরমুর করে ভেঙ্গে পড়ে। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকা দলটি বড় সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়। দশম ওভারের প্রথম বলে মোহাম্মদ হাফিজকে তুলে মারতে গিয়ে আউট জিমি নিশাম। তখন নিউজিল্যান্ডের স্কোর ৩ উইকেটে ৫৬ রান। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে বরাবরের মতো কিছুটা লড়াই করেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। কাপ্তানকে সাপোর্ট দেন ইনিংসের যৌথভাবে সর্বোচ্চ ২৭ রান করা ডেভন কনওয়ে। সেট হয়ে ২৫ রান করে রানআউট হন উইলিয়ামসন। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান করে নিউজিল্যান্ড। শেষ পাঁচ ওভারে ৩৫ রান তুলতেই ৪টি উইকেট হারায় তারা। যে কারণে সংগ্রহটা হৃষ্টপুষ্ট করতে পারেনি। পাকিস্তানী বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল হারিস রউফ। ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হওয়া এই পেসার খেলা শেষে বলেন, ‘আমার পারফরমেন্সে আমি খুব খুশি। ধন্যবাদ জানাই আমার দলকে, কোচিং স্টাফ ও ভক্তদের যারা আমাকে সমর্থন জুগিয়েছেন। আমাদের ফিল্ডিং ছিল দুর্দান্ত। এই জয়ে আমাদের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়েছে। আমরা এখানে (সংযুক্ত আরব আমিরাত) এসেছি বড় লক্ষ্য নিয়ে।’ ১৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অবশ্য খুব স্বস্তিতে ছিলেন না পাকি ব্যাটাররা। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রান করতে বেগ পেতে হচ্ছিল তাদের। এক পর্যায়ে ৯০ রানের আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসলে হারের শঙ্কায় পড়ে পাকিস্তান। কিন্তু শেষ দিকে আসিফ আলীর তিন ছক্কা ও শোয়েব মালিকের দারুণ ইনিংসে দুর্দান্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। আট বল হাতে রেখেই ৫ উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় ১৩৫ রান করে পাকিস্তান। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন ওপেনার ও উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ান। তিন ছয় ও এক চারে মাত্র ১২ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন আসিফ আলী। দুই চার ও এক ছয়ে ২০ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন পাকিদের সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিক। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ইশ সোধি ২ উইকেট লাভ করেন।
×