ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ২১:২৯, ২৬ অক্টোবর ২০২১

ঢাকার দিনরাত

অক্টোবরের শেষে এসে ভোরবেলা আর এসি/ফ্যান চালিয়ে রাখার প্রয়োজন পড়ছে না অনেক ঘরে। মিষ্টি একটা হিমহিম ভাব। তবে করোনা আর তেমন পাত্তা পাচ্ছে না। মানুষ কানে আর মাস্কের ফিতা ঝোলাতে চাইছে না। দেশে এরই মধ্যে ডবল ডোজ টিকা নিয়ে ফেলেছেন দুই কোটি মানুষ। যারা ভাবছেন দেশ থেকে করোনা বিদায় নিয়েছে, তারা ভুল করছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় গড়িমসি করলে বড় বিপদ আসতে পারে। ওদিকে অক্টোবরেই ডেঙ্গু মৌসুম শেষ হবে বলে লোকে ভেবেছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, না, ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু চোখ রাঙাবে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ঢাকা পুরোপুরি তার প্রাণ ফিরে পেয়েছে। ফিরে গেছে করোনাপূর্ব কালে। এখন নাটকপাড়া, সিনেমা হলই শুধু জমে ওঠেনি, রাস্তায় ব্যাপক জনসমাবেশও হচ্ছে, হচ্ছে প্রতিবাদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে লাইভ কনসার্ট। হোটেল-রেস্টুরেন্ট দারুণ জমজমাট। ঢাকার এমন সরব সক্রিয়তা এবং প্রতিবাদী রূপ সত্যিই ঢাকাবাসীর মনে প্রাণচাঞ্চল্য এনে দেয়। ঢাকা নামের ছবি লাইফ ফ্রম ঢাকা, ঢাকা ড্রিম একটি লেখায় বা একটি চিত্রকর্মে মহানগরী ঢাকাকে কতটুকু আর তুলে আনা সম্ভব? তবে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে এটি ভালভাবে সম্ভবপর। সিনেমায় জীবন বিপুলভাবেই তুলে আনা যায়। দেশে ঢাকা নাম দিয়ে কম সিনেমা হয়নি। কিন্তু কয়টি ছবি সত্যিই ঢাকার মানুষের জীবনধারাকে ধারণ করেছে? অধুনা রেহানা মারিয়াম নূর সিনেমা নিয়ে তুমুল আলোচনা হয়ে গেল দেশে-বিদেশে। কিন্তু এ ছবির পরিচালক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ বেশ কবছর আগে নির্মাণ করেছিলেন লাইফ ফ্রম ঢাকা। সে ছবি আমরা কয়জন দেখেছি? হাসান মাহবুব ব্লগে লিখেছিলেন এ ছবি সম্পর্কে। সেখান থেকে তুলে দিচ্ছি পাঠককে ধারণা দিতে। ‘একটা খোঁড়া লোক। শেয়ারবাজারে দরপতন। প্রেমিকার সঙ্গে অসুস্থ সম্পর্ক। ড্রাগ এ্যাডিক্টেড ভাই। পাওনাদার... ‘আমি আর নিতে পারতেছি না, আমি তো একটা মানুষ!’ নিতে না পারলেও নিতে হবে। তেতে ওঠা এই শহর না দিয়ে ছাড়বে? ১২ মিলিয়ন মানুষ একে অপরের সঙ্গে লেগে আছে রাত-দিন, শহর কি আসতে বলেছিল আপনাদের? ভাললাগে না, বমি আসে, হাসিমুখ নেই, সুন্দর স্পর্শ নেই, বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন? দূষিত বাতাস বুকে ঢুকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে? পালান! বরফের দেশে চলে যান। রাশিয়া? হলো না। মালয়েশিয়া? তাই সই! প্রেমিকাটা বমি করে মরে যাক, ড্রাগ এ্যাডিক্ট ভাইটা খুপড়ি ঘরে মুখে কষ জমে পড়ে আছে। এখনই তো যাবার সময়! কিন্তু এই শহরের প্রতিহিংসা থেকে বাঁচা কি অত সহজ? হ্যালো, ঢাকা থেকে লাইভ বলছি...লাইভ ফ্রম ঢাকা একটি বিষণœ, গুমোট, এবং অনেকটাই বিমূর্ত চলচ্চিত্র। সাদাকালো এই সিনেমাটিতে সাদা কম, কালো বেশি। চরিত্র কম, দৃশ্যকল্প বেশি। মূল চরিত্র সাজ্জাদ গাড়ি চালিয়ে এখানে ওখানে যায়, একে ওকে ফোন করে, একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি বারবার ঘটে, তবে প্রতিবারই কিছু না কিছু নতুন চরিত্র যুক্ত হয়। এই যেমন শেয়ার মার্কেটে দরপতনের খবর চলছে টিভিতে, রেডিওতে বলছে বিশ্ববিদ্যালয়ে মারপিটের খবর, গাড়ির হর্ন, ট্রেনের হুইসেল, লঞ্চের ভেঁপু, সবসময় আমাদের জানিয়ে দিচ্ছে, এই শহরে প্রাণ নেই, এই শহর যাদুর শহর না। সিনেমাটির বাজেট শুনেছি মাত্র ১০ লাখ টাকা ছিল। ভাল সিনেমা বানাতে চাইলে যে বাজেট সমস্যা না, দরকার ভাল চিত্রনাট্য এবং সিনেমা সেন্স, লাইভ ফ্রম ঢাকা এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ।’ যা হোক, ঢাকা শহরের নামযুক্ত আরেকটি চলচ্চিত্র সদ্য মুক্তি পেল। এটি নিয়ে আলোচনা হবে বলেই মনে হচ্ছে। কারণ এটি হৃদয় ও মনন যোগ করেই বানিয়েছেন পরিচালক প্রসূন রহমান। পরিচালকের প্রথম কাজ ‘সুতপার ঠিকানা’। বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে ছবিটি। এবার তিনি করলেন ‘ঢাকা ড্রিম’। এর চিত্রনাট্য ২০১৪ সালে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন আয়োজিত নবীন নির্মাতা প্রকল্পের অধীনে চিত্রনাট্য প্রতিযোগিতায় প্রস্তাবিত ১৩৪টি চিত্রনাট্য থেকে নির্বাচিত সেরা ১০ এর একটি। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২২ অক্টোবর মুক্তির আগে কানাডার দক্ষিণ এশীয় চলচ্চিত্র উৎসব ‘ইফসা টরন্টো’তে এটির আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হয়। মহামারির মাঝে আরো কয়েকটি উৎসবে নির্বাচিত এবং আমন্ত্রিত হলেও উৎসবগুলো ভার্চুয়াল হওয়ায় পাইরেসির আশঙ্কায় নির্মাতা অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। এ ছবির গল্পের প্লট একদমই আলাদা। হতে পারে পরিচালক এবারও নিজেকে আবিষ্কার করতে চাইছেন নতুন করে, আরও একবার। সংবাদপত্রে ঢাকা ড্রিম নিয়ে লেখা হয়েছে: ‘প্রসূন রহমানের এবারের স্বপ্নে আছে যৌনকর্মী, ছাত্র, স্বল্পশিক্ষিত বেকার, অন্ধ ভিক্ষুক, স্বামী পরিত্যক্তা নারী, খুনী, রিক্সাচালক, নরসুন্দর, রিয়েলিটি শোর প্রতিযোগী এবং নদীভাঙনে গৃহহারা পরিবারের ছায়া। যারা প্রত্যেকেই দেখছে গ্রাম থেকে যাদুর শহর ঢাকায় আসার স্বপ্ন- যার যার অবস্থান থেকে। পরিচালক জানান, ‘ঢাকা ড্রিম’ প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে জীবিকার প্রয়োজনে ঢাকার পথে পাড়ি জমানো কিছু প্রান্তিক মানুষের গল্প দিয়ে সাজানো হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা পেশার মানুষের ঢাকায় আসার পেছনের কারণ আর যাত্রার দিনের অন্য রকম এক ভ্রমণ অভিজ্ঞতার গল্প বলার চেষ্টা করব এবার।’ হতাশার আগুন যানজটের শহর ঢাকার বহু মানুষ এখন গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর জন্য মোটরবাইক কোম্পানির সার্ভিস নিচ্ছেন। ফলে ঢাকার রাস্তায় মোটরবাইকের দাপট লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একইসঙ্গে ট্রাফিক আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানোর উদাহরণও বাড়ছে। রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর এ্যাপে পাওয়া মোটরসাইকেলে প্রাইভেটকার, বাস, সিএনজির ফাঁকফোকর দিয়ে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানো যাচ্ছে। তাই যানজটের ঢাকায় স্মার্ট নগরবাসী উবার, পাঠাওয়ের মতো মোটরসাইকেল সেবার দিকে ঝুঁকছেন। পাল্লা দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর আওতাধীন মোটরসাইকেল ও চালকের সংখ্যাও বাড়ছে। একইসঙ্গে ব্যবহারকারীদের দিক থেকে মোটরসাইকেল সেবা নিয়ে অভিযোগ-অসন্তুষ্টিও বেড়ে চলেছে। বহু বেকার যুবকই এই পেশায় নিয়োজিত হচ্ছেন এবং সাধারণ চাকরির তুলনায় বেশি টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হচ্ছেন। সত্য প্রকাশের দায়বোধ থেকে বলতেই হবে যে গত কয়েক বছরে ঢাকার সড়কচিত্র নেতিবাচকভাবে বদলে গেছে। রাস্তার বড় একটা অংশ চলে গেছে মোটরবাইকের দখলে। তাছাড়া চলতি পথে সড়কের বাম কিনার ঘেঁষে তারা অলিখিত অদৃশ্য লেনও বানিয়ে নিয়েছে। সে লেনে অন্য কারও যেন প্রবেশাধিকার নেই। গণপরিবহন কিংবা প্রাইভেটকার যদি একটু বাঁয়ে চলে আসে তবে তীব্র হর্নে বাইক চালকরা বাধ্য করে তাদের সরে যেতে। জনকণ্ঠে সমাজ ভাবনার এবারের বিষয় বেপরোয়া মোটরসাইকেল। যত লেখা এসেছে সারা দেশ থেকে তাতে দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ মানুষই এদের ওপর বিরক্ত। তারা বিরক্তির কারণ হয়ত হচ্ছে কখনও কখনও, কিন্তু এটাও বিবেচনা করতে হবে এই করোনাকালে বহু পরিবারই বেঁচেবর্তে আছে মোটরসাইকেল চালকদের উপার্জনে। এদের সম্পর্কে চলতি কলামে লিখছি পরপর দুই মাসে দুটি দুঃখজনক, কিছুটা নৈরাজ্যকরও বটে, ঘটনা ঘটায়। সেটি হলো- বাইকচালক ট্রাফিক পুলিশের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিবাদস্বরূপ নিজের মোটরবাইকে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। কয়েকদিন আগে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের কারণে মাস কয়েক আগে চার হাজার টাকা জরিমানা করে মামলা দিয়েছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট। নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও সেই জরিমানার টাকা দিতে পারেননি মোটরসাইকেল চালক। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ নীলক্ষেত এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। কাগজপত্র পরীক্ষা করতে গিয়ে সার্জেন্ট দেখেন, আগের হওয়া একটি মামলার জরিমানার চার হাজার টাকা চালক এখনও জমা দেননি। জমা না দেয়ায় ওই সার্জেন্ট চালককে এবার এক হাজার টাকা জরিমানা করে আরও একটি মামলা দেন। আর এতে ক্ষোভে–হতাশায় নিজের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন ওই ব্যক্তি। অনেকেরই মনে আছে মামলায় ত্যক্তবিরক্ত হয়ে গত সেপ্টেম্বরে রাজধানীর বাড্ডায় এক ব্যক্তি নিজের বাইকে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন। এ ধরনের সংবাদ সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্রের অনলাইন ভার্শনেও থাকে। সেখানে সুযোগ আছে মন্তব্য করার। একজন ভুক্তভোগী বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে যেটি লিখেছেন সেটি ভাবনার বিষয়। এ অবস্থা চলা ঠিক নয়। এতে সড়ক ব্যবস্থাপনার কোন উন্নতি সাধিত হবে না। নাম প্রকাশ না করে ঢাকাবাসী এক বাইকচালক লিখেছেন- ‘গত মঙ্গলবারের ঘটনা, আমি আজিমপুর থেকে হাতিরপুল হয়ে কারওয়ান বাজার গিয়ে উঠলাম, আমি সাধারণত রাপা প্লাজা দিয়ে যাই, সেদিন প্রথম কারওয়ান বাজার দিয়ে ট্রাই করলাম যাবার কিন্তু সেখানে এমনভাবে টিনের বেড়া দেয়া বুঝতে পারছিলাম না ফার্মগেট কিভাবে যাব। পরে অনেক গাড়ি আর রিক্সার দেখাদেখি একদিক দিয়ে ঢুকলাম, ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই দেখি এক ট্রাফিক পুলিশ আমাকে সিগনাল দিচ্ছেন। থামলাম, বলে কাগজ দেখান। দেখালাম। আমার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য এ্যাপ্লাই করা আছে আর লার্নার কাগজ দিয়ে চালাচ্ছিলাম। বলে আপনার লাইসেন্স কই। বললাম দেখেন এ্যাপ্লাই করেছি। কিন্তু ডেট দিচ্ছে না। বলল ডেট দেবে কিভাবে? খরচ করছেন কিছু? আমি বললাম ঘুষ দিয়ে লাইসেন্স করাব না। আপনারা এতকিছু করেন লাইসেন্স পেতে আমাদের হেল্প করেন। উনি উত্তর দিলেন সেটা আমাদের কাজ না। আপনার নামে ২৫ হাজার টাকার মামলা হবে। লাইসেন্স নাই এবং উল্টা আসছেন। আমি তাকিয়ে দেখি একই রাস্তায় আরও অনেক প্রাইভেটকার, জিপ ঢুকল। আমি বললাম উনাদের আটকান, উনারাও তো উল্টা রাস্তায় ঢুকেছেন। বলল সেটা আমার ইচ্ছা। আমি বললাম আইন হলে সবার জন্যই প্রজোয্য হবে। উনাদের আটকান। মিনটাইম উনি আরেকটা মোটরসাইকেল আটকালেন একই রাস্তায় আসা। উনারও ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। কিন্তু উনি কার সঙ্গে যেন ফোনে কথা বলানোর চেষ্টা করলেন। পুলিশ উনাকে ছেড়ে দিলেন। আমাকে বললেন আপনি কি করবেন? আমি উত্তর দিলাম উনাকে যেহেতু ছেড়ে দিয়েছেন আমাকেও দেবেন। আর আমি আজ প্রথম এদিকে ঢুকলাম, কোনদিক দিয়ে কারওয়ান বাজারে বের হওয়া যায় আমার জানা ছিল না। উনি বললেন আপনাকে কিছু একটা করতে হবে। আমি বললাম আমার পকেটে কোন টাকা নেই। পুলিশ উত্তর দিলেন বিকাশে আনেন। আমি বললাম আমাকে এই মুহূর্তে বিকাশে টাকা দেয়ার মতো কোন লোক নেই। আপনার বিকাশ নম্বর দেন আমি পরে পাঠিয়ে দেব। উনি বললেন এসব কাজ বাকিতে হয় না। পরে উনি উনার সার্জেন্টের কাছে নিয়ে গেলেন। আর হাঁ সেই পুলিশ আবার সুকৌশলে মোবাইল তার বুক পকেটে এমনভাবে রেখেছেন যেন তার নামটা দেখা না যায়। তাকেও উপরের একই কথাগুলো বললাম। আর বললাম ঢাকা শহরে ফিটনেস ছাড়া বাস টেম্পোগুলো চলছে। ড্রাইভারদের অনেকের লাইসেন্সও নেই। তারা আবার মাঝে মধ্যে এক্সিডেন্টও করে। কই সেসব তো বন্ধ করছেন না? আর ড্রাইভিং লাইসেন্স তো আমার হাতে না। আমি এ্যাপ্লাই করেছি, অথরিটি যদি না দেয় সেজন্য তো আমি দায়ী না। উনি বললেন- সেসব দেখার দায়িত্ব আমাদের না। আপনাকে কি করব তাই বলেন। আমি বললাম ভাই ভুল হয়ে গেছে, সরি। আমার অফিসে লেট হচ্ছে যেতে দেন। উনি তখন আমাকে ৪০০০ টাকার মামলা দিলেন। ৪০০০ টাকা একটা মানুষ কতদিনে ইনকাম করে? উপরোক্ত ঘটনা থেকে আপনারাই বলেন- পুলিশের উদ্দেশ্য কি ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষা না অন্য কিছু? যদি ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষাই হবে, একই রাস্তায় আসা গাড়ি আর রিক্সাগুলোকে তারা কেন ধরলেন না? কেন ফিটনেস সনদ ছাড়া, লাইসেন্স ছাড়া বাস, টেম্পো কিভাবে চলছে?’ প্রসঙ্গত, দুটো জরুরি কথা বলতে চাই। এক, সড়কে বিবিধ যান চলাচল করে, মোটর বাইকও। এখন পেশাগতভাবে কতজন বাইক চালককে ঢাকার রাস্তায় চলার অনুমতি দেয়া হবে সেটি আগেই ভেবে দেখা প্রয়োজন ছিল। কেননা এই যান-চাপ পড়বে গিয়ে সড়ক তথা শহরের ওপরেই। দুই, একজন-দু’জন কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের ওপর রাগ করে বিরক্ত হয়ে হতাশা থেকে এই যে নিজের বাইকে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছেন চালকেরা, এটিকে উপেক্ষা করা চলে না। করোনায় কোনঠাসা মানুষ বেঁচে থাকার একটা পথ করে নিচ্ছে, তাকে সহানুভূতি না দেখাতে পারেন, নিষ্ঠুর হবেন না। ২৪ অক্টোবর ২০২১ [email protected]
×