ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জেলেদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ ধরা

প্রকাশিত: ১৬:৫৩, ২৫ অক্টোবর ২০২১

মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ ধরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা ॥ ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মা ইলিশ রক্ষার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ সোমবার মধ্য রাত ১২ টা থেকে মাছ ধরা শুরু হচ্ছে। জেলেরা নতুন উদ্দ্যোমে নদীতে মাছ ধরার জন্য ইতো মধ্যেই সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। মৎস্য আড়ৎ গুলোতে আবার প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসছে। জেলেরা আশা করছে নদীতে অভিযান শেষে প্রচুর পরিমান ইলিশ পাবে। এদিকে নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনেও জেলেদের জন্য সরকারি সহায়তার চাল বহু জেলে পায়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, ইলিশের প্রধান প্রজজন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষার জন্য গত ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর মধ্য রাত পর্যন্ত ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞার জারি করা হয়। অবশেষে সোমবার মধ্যরাত থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় জেলেরা নদীতে যাওয়ার জন্য জাল নৌকাসহ মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে মাছ ধরার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ইতিমধ্যে ইলিশ ধরার জাল সেলাই করা থেকে শুরু করে নৌকার ভাঙা অংশ মেরামত ও ইঞ্জিনসহ সকল কিছু ঠিক করে নিয়েছেন জেলেরা। ভোলা সদরের ইলিশা ফেরীঘাট, তুলাতলী, ভোলার খাল, ইলিশা বিশ্বরোডসহ মেঘনা পাড়ের জেলেদের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। নদীর কুল ঘেষে বাঁধের উপর রাখা হয়েছে সারি সারি নৌকা ও ইঞ্জিন চালিত ট্রলার। কেউ পুরনো জালকে নতুন করে রিপু করছে। কেউবা নতুন জাল বুনতে ব্যস্ত। আবার কেউ নৌকা-ট্রলার মেরামত করছে। কেউ নৌ-যানের নিচের অংশে পুডিং ও আলকাতরা লাগাচ্ছেন। নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেদের জালে কাঙ্খিত ইলিশ ধরা পড়লে বিগত দিনের যে ধার-দেনা রয়েছে তা পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে জানান জেলেরা। এদিকে নিষেধাজ্ঞা চলাকালিন সরকার জেলেদের সহয়াতার জন্য চাল বরাদ্ধ দেয়। কিন্তু অভিযান শেষ হলেও জেলেদের জন্য সরকারি সহায়তার চাল বহু জেলে পায়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকা স্বর্তেও কিছু কিছু অসাধু জেলে মাছ শিকারে লিপ্ত ছিলো। তাদের মধ্যে ৪৫০ জনকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- ও অর্থদ- করা হয়। ভোলায় সরকারি হিসেবে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা এক লক্ষ ৪০ হাজার। এ বছর নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে সরকারি প্রণোদনার অংশ হিসেবে ১ লক্ষ ৩২ হাজার জেলেকে ২০ কেজি করে চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়। ভোলা সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: জামাল হোসাইন জানান, অভিযান চলাকালে জেলেদের জন্য বিশেষ ভিজিএফ এর বরাদ্ধকৃত চাল দ্রুততার সাথে দেয়া হয়েছে। ২২ দিনের মা ইলিশ রক্ষার অভিযান তাদের সফল হয়েছে। এতে করে তাদের লক্ষমাত্র অর্জন হয়েছে। তিনি আশা করছেন জেলেদের জালে প্রচুর পরিমান ইলিশ ধরা পড়বে।
×