ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিপর্যস্ত তিস্তা অববাহিকা পরিদর্শনে বাপাউবোর প্রতিনিধি দল

প্রকাশিত: ১৪:০৬, ২৪ অক্টোবর ২০২১

বিপর্যস্ত তিস্তা অববাহিকা পরিদর্শনে বাপাউবোর প্রতিনিধি দল

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত উত্তরের তিস্তা অববাহিকা এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ক্ষত বিক্ষত বসতভিটা, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি, নদীর ডানতীর প্রধান বাঁধ, ক্রস বাঁধ গ্রোয়েন বাঁধ ও চলাচলের রাস্তা। নদীর চরের ফসলি জমিগুলো খাঁ খাঁ করছে। বানের পানিতে ফসল ভেসে গেছে। কোথাও কোথাও বিশুদ্ধ পানি সংকট। খাদ্য সংকটে গবাদীপশু। কোথাও কোথাও এখনও বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ। এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় বিদ্যুত সংযোগও চালু করা যাচ্ছেনা। গত চারদিন আগে (২০ অক্টোবর) উজানের ঢলে স্মরনকালের ভয়াবহ বন্যা ও ভারী বৃস্টির জেরে সব মিলিয়ে লন্ডভন্ড হয়ে আছে উত্তরবঙ্গের তিস্তা অববাহিকার নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও রংপুরের বিভিন্ন এলাকা। প্রতি দিনই সমস্যায় পড়ছেন স্থানীয় মানুষেরা। সরকারী ভাবে ত্রাণ ও শুকনো খাবার পর্যাপ্ত ভাবে বরাদ্দ ও বিতরণ করা হচ্ছে। তবে ক্ষতিগ্রস্তরা দ্রুত পুর্ণবাসন দাবি করছে। আজ রবিবার (২৪ অক্টোবর) থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সমুহ পরিদর্শন শুরু করেছেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) মহাপরিচালক ফজলুর রশিদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পশ্চিম রিজিয়ন) এ,কে, এম সামছুল আলম ও বোর্ডটির প্রধান প্রকৌশলী ( নকশা ও গবেষক) মোঃ এনায়েত উল্লাহ। এ ছাড়াও সঙ্গে রয়েছেন বোর্ডটির উত্তরাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ, রংপুর পওর সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহবুববর রহমান, ডালিয়া পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাফাউদদৌলা। পরিদর্শনের প্রথম দিন সকালে বাপাউবো মহাপরিচালক নীলফামারীর তিস্তা অববাহিকার বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখেন। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি জানান, আমরা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন ও নক্সা করছি তাৎক্ষতিকভাবে। যা ঢাকায় ফিরে মন্ত্রনালয়ে জমা দিয়ে দ্রত বরাদ্দের সুপারিশ করা হবে।যেন দ্রুততার সাথে এসব মেরামতের কাজ শুরু করা হবে। উত্তরাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ জানান, হঠাৎ করে উজানের ঢলে তিস্তা নদীতে যে বন্যা সৃস্টি হয়। এতে তিস্তার প্রবেশদ্বার বাংলাদেশের নীলফামারীর কালিগঞ্জ থেকে লালমনিরহাট, রংপুর ও কুড়িগ্রাম পর্যন্ত ব্যাপক কইত হয়েছে। বিশেষ করে দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাড ফিউজ(ফ্লাড বাইপাস) এর ৩ শত মিটার, গ্রোয়েন বাঁধের ১ মিটার, বেশ কিছু স্পার্ক ও প্রধান বাধের বিভিন্ন স্থান বিধ্স্থ হয়েছে। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ক্ষতির পাশাপাশি বসতভিটা, ফসলি জমি ও রাস্তা ঘাট, ব্রীজ ভেসে গেছে। স্থানীয়দের মতে তিস্তা অববাহিকায় উজানের হঠাৎ বন্যার কারনে টাকার অংকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় দুইশত কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
×