ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আসুন আমরা জাতিসংঘকে আমাদের আশার বাতিঘর বানাই ॥ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০:৪০, ২৪ অক্টোবর ২০২১

আসুন আমরা জাতিসংঘকে আমাদের আশার বাতিঘর বানাই ॥ প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আসুন আমরা পারস্পারিক শ্রদ্ধা, অংশীদারিত্ব, সহযোগিতা ও সংহতির ভিত্তিতে একটি অধিকতর শক্তিশালী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতিসংঘ (ইউএন) গড়ে তোলার জন্য প্রচেষ্টা চালাই। আসুন আমরা জাতিসংঘকে আমাদের আশার বাতিঘর বানাই। শনিবার (২৩ অক্টোবর) জাতিসংঘের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক বার্তায় এ আহ্বান জানান তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, বিগত ৭৬ বছরে জাতিসংঘ শান্তি ও নিরাপত্তা, মানবাধিকার, নারী ক্ষমতায়ন ও টেকসই উন্নয়নসহ বহু ক্ষেত্রে মানব জাতির সমৃদ্ধিতে পাশে থেকেছে। তবে আমরা বিশ্বের অনেক অংশের মানুষকে তাদের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করতে দেখছি। ফিলিস্তিনী জনগণের ন্যায্য অধিকারের সংগ্রাম এবং মিয়ানমারে কয়েক দশক ধরে চলা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর উৎপীড়ন, এমনই কিছু দৃষ্টান্ত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন জলবায়ু পরিবর্তন, নিরস্ত্রীকরণ, সন্ত্রাসবাদ, জাতিগত এবং ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার মতো অনেক অমীমাংসিত সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জ রয়েছে তখন বিশ্ব একটি অদৃশ্য, মারাত্মক মহামারির সম্মুখীন হয়েছে। যা গত দুই বছর ধরে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যৃর সঙ্গে জীবন ও জীবিকা ধ্বংস করছে। তিনি বলেন, এ প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ সনদের কালজয়ী মূল্যবোধ ‘আমাদের জনগণকে’ সেবা করার জন্য ‘আমাদের শক্তিকে একত্রিত করা’- আগের চেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে রূপ লাভ করেছে। তার (বঙ্গবন্ধুর) সুদৃঢ় ঘোষণা ‘বাঙালী জাতি বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তুলতে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করছে, যেখানে শান্তি ও ন্যায়বিচারের জন্য সব মানুষের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত হবে’ আমাদের জনগণের জন্য নির্দেশনামূলক নীতি হিসেবে কাজ করে। তিনি বলেন, তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা বিশ্ব শান্তির জোরালো প্রবক্তা, আন্তর্জাতিক উন্নয়নে সক্রিয় অবদানকারী এবং সর্বজনীন মূল্যবোধের বিশ্বস্ত সমর্থক হিসাবে জাতিসংঘের সঙ্গে অংশীদারিত্ব বজায় রেখেছি। শান্তিরক্ষা কার্যবক্রমে বাংলাদেশের অবদানের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, শান্তির সংস্কৃতির অন্যতম অগ্রণী প্রবক্তা বাংলাদেশ আজ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে একটি ব্র্যান্ড নাম হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসডিজি বাস্তবায়ন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন, জনকেন্দ্রিক উন্নয়ন উদ্যোগ জোরদার এবং স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির জন্য উদ্ভাবনী সমাধানের ক্ষেত্রে আমাদের বিশাল অর্জন সুস্বীকৃত। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির আক্রমণ সত্ত্বেও আমরা ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত এবং ২১০০ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ বদ্বীপে পরিণত হওয়ার সঠিক পথে আছি।
×