ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন ডেসকাটে

প্রকাশিত: ১৬:২০, ২৩ অক্টোবর ২০২১

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন ডেসকাটে

অনলাইন ডেস্ক ॥ বছরের শেষ দিকে বিদায় বলবেন সব ধরনের ক্রিকেটকে, আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন রায়ান টেন ডেসকাটে। এর কিছুটা আগেই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টেনে দিলেন নেদারল্যান্ডসের এই অলরাউন্ডার। ডাচদের বিশ্বকাপ দলে ৪১ বছর বয়সে ডেসকাটের ডাক পাওয়াটা চমকের জন্ম দেয়। কিন্তু এবারের বৈশ্বিক আসরে ছাপ রাখতে পারলেন না তিনি। প্রাথমিক পর্বের প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পান গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ। নামিবিয়ার বিপক্ষে দলে থাকলেও পাননি ব্যাটিং। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাকে রাখাই হয়নি একাদশে। তার মতো নেদারল্যান্ডসেরও বিশ্বকাপ ভালো কাটেনি। তিনটি ম্যাচেই হারল তারা, খালি হাতে শেষ করল টুর্নামেন্ট। শুক্রবার তো লঙ্কানদের বিপক্ষে মাত্র ৪৪ রানে গুটিয়ে যায় দলটি। ম্যাচ শেষের কিছুক্ষণ পরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ডেসকাটে। “কঠিন একটা সফর শেষ হলো এবং এই প্রচেষ্টার অংশ হতে পারাটা অনেক আনন্দের ছিল। নেদারল্যান্ডসের প্রতিনিধিত্ব করাটা সবসময়ই ছিল দারুণ এক পাওয়া। এই দল এবং এর সাপোর্ট স্টাফ যে পেশাদারিত্ব ও নিবেদন দেখিয়েছে তা দারুণ অনুপ্রেরণার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দারুণ কিছু মুহূর্ত যে আমি উপভোগ করতে পেরেছি, তার জন্য খেলোয়াড়, কোচ ও কেএনসিবির (ক্রিকেট নেদারল্যান্ডস) সঙ্গে জড়িত সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।” শেষটা রাঙাতে পারলেন না ডেসকাটে। তবে নেদারল্যান্ডসের হয়ে স্মরণীয় সব পারফরম্যান্স আছে তার। ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা এই ক্রিকেটার ৩৩ ওয়ানডে খেলে ৫ সেঞ্চুরিতে রান করেন ১ হাজার ৫৪১, ব্যাটিং গড় ৬৭। হাজার রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তার এই গড় ওয়ানডে ইতিহাসের সেরা। মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে উইকেট ৫৫টি, চারটি করে উইকেট তিন ম্যাচে। টি-টোয়েন্টিতে ২৪ ম্যাচে ৫৩৩ রান ৪১.০০ গড় ও ১৩২.৯১ স্ট্রাইক রেটে। উইকেট ১৩টি। ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুটি সেঞ্চুরি ও একটি ফিফটি করেন তিনি, উইকেট নেন ৭টি। ওই বিশ্বকাপের পর নানা টানাপোড়েনে দীর্ঘ ৭ বছর আর খেলেননি নেদারল্যান্ডসের হয়ে। ২০১৮ সালে লর্ডসে টি-টোয়েন্টি দিয়ে ফেরেন ডেসকাটে। পরে ২০১৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে আবার ডাচদের হয়ে মাঠে নেমে ৯ ম্যাচে ২৩৩ রান করেন ৪৬.৬০ গড় ও ১৩৬.২৫ স্ট্রাইক রেটে। ওই আসর শেষেই বলেছিলেন, আরেকটি বিশ্বকাপ অন্তত খেলতে চান। তার সেই আশা পূর্ণ হয়েছে, কিন্তু মনের মতো হলো না নিশ্চিতভাবেই।
×