স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টি২০ বিশ্বকাপ ইতিহাসে সেরার কাতারে পৌঁছে গেছেন সাকিব আল হাসান। ইতোমধ্যেই এই ফরমেটের বিশ্বকাপে সর্বাধিক ৩৯ উইকেট শিকার করে ছুঁয়েছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি শহীদ আফ্রিদিকে। এখন আরেকটি উইকেট নিলেই টি২০ বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বাধিক উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়বেন তিনি। ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপে অলরাউন্ডার হিসেবে ব্যাট-বলের নৈপুণ্যে সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে সাকিব। সব বিশ্বকাপে খেলা সাকিব ২৮ ম্যাচে ৩৯ উইকেটের পাশাপাশি ব্যাট হাতে করেছেন ৬৭৫ রান। তিনিই এক্ষেত্রে আছেন শীর্ষে। সাকিব ছাড়া ৫ শতাধিক রান ও ৩০টির বেশি উইকেট শুধু আছে আফ্রিদির। এখন নিজের অলরাউন্ড রেকর্ডকেও সমৃদ্ধ করার সুযোগ সাকিবের। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৬০৬ রানের পাশাপাশি ১১ উইকেট নিয়ে বিস্ময়কর নৈপুণ্য দেখিয়েছিলেন, হয়েছিলেন সেরা অলরাউন্ড পারফর্মার। এবার ক্ষুদ্র ফরমেটের টি২০ বিশ্বকাপেও একাই ব্যাটে-বলে বিস্ময় ছড়িয়ে আরও সেরা হওয়ার অপেক্ষায় সাকিব।
এবার টি২০ বিশ্বকাপে নামার আগেই বাঁহাতি স্পিনার সাকিবের সামনে সুযোগ ছিল টি২০ ইতিহাসে সর্বাধিক উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়ার। ১০৬ উইকেট নিয়ে শুরু করেন তিনি এবার বিশ্বকাপ। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ২ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার পেসার লাসিথ মালিঙ্গাকে ছাড়িয়ে যান তিনি। মালিঙ্গার ছিল ৮৪ ম্যাচে ১০৭ উইকেট। তিনিই ছিলেন আন্তর্জাতিক টি২০ ক্রিকেটে সর্বাধিক উইকেটের মালিক। তাকে ছাড়িয়ে যান সাকিব। সেই সঙ্গে বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ৩ ফরমেট মিলিয়ে ৬০০ উইকেট ও ১২ হাজার রানের অনন্য রেকর্ডও গড়েন তিনি। রেকর্ড দিয়ে নিজে বিশ্বকাপ শুরু করলেও দল হেরে যায় প্রথম ম্যাচে। কিন্তু পরের দুই ম্যাচে ব্যাটে-বলে জ্বলে ওঠেন তিনি এবং ম্যাচসেরাও হন বাংলাদেশকে জিতিয়ে। ওমানের বিপক্ষে ৪২ রান করে বল হাতে ২৮ রানে নেন ৩ উইকেট এবং পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ৪৬ রান করার পর ৯ রানে নেন ৪ উইকেট। ৩ ম্যাচ থেকে ৯ উইকেট শিকার করে ছুঁয়ে ফেলেন আফ্রিদির বিশ্বকাপ রেকর্ড।
আফ্রিদি ৩৪ ম্যাচ খেলে ৩৯ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপে সর্বাধিক উইকেটের মালিক ছিলেন। তাকে ২৮ ম্যাচেই স্পর্শ করা সাকিবের এখন বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা বোলার হতে প্রয়োজন মাত্র ১ উইকেট। সুপার টুয়েলভে ৫ ম্যাচ পাবেন তিনি। তাই এই রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা খুবই প্রবল তার। এছাড়া এই বিশ্বকাপেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬০০ উইকেটের পাশাপাশি ১২ হাজার রান করা একমাত্র ক্রিকেটারে পরিণত হয়েছেন সাকিব।
রেকর্ড আছে আরও সামনে। পাকিস্তানের সাবেক স্পিনার সাঈদ আজমল ২৩ ম্যাচে ৩৬ উইকেট নিয়ে তালিকায় তিনে আছেন। তিনি বিশ্বকাপে সর্বাধিক ৩ ইনিংসে ৪ উইকেট শিকার করেছেন। সাকিব ছুঁয়েছেন তাকেও, এখন তার ঝুলিতেও আছে বিশ্বকাপের ৩ ইনিংসে ৪ উইকেট শিকারের রেকর্ড। ২ বার করে ৪ উইকেট আছে আফ্রিদি ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেসার মরনে মরকেলের।
আর একটি ম্যাচে ৪ উইকেট শিকার করলেই সাকিব এক্ষেত্রেও হবেন সেরা। অর্থাৎ আরও অনেক রেকর্ড হাতছানি দিয়ে ডাকছে সাকিবকে। এখন সেই রেকর্ডগুলো দেখার অপেক্ষা মর্যাদার সুপার টুয়েলভ পর্বে। তার ওপরই নিশ্চিতভাবে এই পর্বে ভরসা করবে বাংলাদেশ দল।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: