বাংলাদেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রবৃদ্ধির সূচকগুলো লক্ষ্যমাত্রা দিকে যেতে অব্যাহত প্রচেষ্টা চলছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে আধুনিক ও প্রযুক্তির বাংলাদেশ কোনভাবেই পিছিয়ে নেই। গত দেড় বছর ধরে করোনার মহাদুর্বিপাকে পড়া বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব এক অসহনীয় ক্রান্তিকাল অতিক্রম করে যাচ্ছে। করোনা সহনীয় মাত্রায় পৌঁছলে নতুন করে উন্নয়ন খাতগুলো গতি ফিরে পাওয়াও পরিস্থিতির অনিবার্য দাবি। সবার আগে দৃষ্টি ফেরানো দরকার তথ্যপ্রযুক্তির সমৃদ্ধ বলয় কিভাবে অতিমারীর দুঃসময়ে এগিয়ে যাওয়া বিভিন্ন খাতকে সহযোগী শক্তির ভূমিকায় চালিত করেছে। গত ১২ বছর ধরে বর্তমান সরকার উন্নয়নের নিরন্তর অভিযাত্রায় সমৃদ্ধির যে অনন্য আঙ্গিনা তৈরি করেছে সেখানে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার নিত্যনতুন মাত্রায় সাধারণ মানুষের যাপিত জীবনকে চালিত করতে নিয়ামক শক্তির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। করোনাকালেও তার ব্যত্যয় ঘটায়নি। এই তথ্যপ্রযুক্তিই অসময়ের সুহৃদ হয়ে মানুষের পাশে থেকে তার দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে। জাতির মেরুদন্ড শিক্ষা কার্যক্রম লাগাতার সংক্রমণে বিপন্ন অবস্থায় পৌঁছলে প্রযুক্তির বিশ্বে পাঠদান ও গ্রহণ কর্মযোগ সচল রেখে জ্ঞানচর্চার এই সমৃদ্ধ আলোয়টি ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে আইন-আদালত, প্রাতিষ্ঠানিক উৎসব থেকে জরুরী সভা ভার্চুয়াল জগতে সম্পন্ন করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির এই বিশ্বকে বাংলাদেশে অবারিত করেতে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় স্থপতির ভূমিকায় সর্বাত্মক দায়-দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।
সব কর্মযোগেই ইতি এবং নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া বিশেষভাবে লক্ষণীয়। উন্নয়নশীল দেশগুলো যখন নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় এগিয়ে যায় সেখানে হরেক সমস্যা তৈরি হতেও সময় লাগে না। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। প্রযুক্তির অপব্যবহারেও দেশে সৃষ্টি হয়েছে নানা ধরনের সঙ্কট। শিক্ষা পাঠক্রমে প্রযুক্তি উপকারের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আসক্তিও বেড়েছে। এমন দুঃসহ চিত্র উঠে আসতে দেরি হয়নি। বাণিজ্যের বলয়েও হঠকারিতা ও প্রতারণা বেড়েছে। এক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ এসেছে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে। সমৃদ্ধ গোয়েন্দা সংস্থা পরিচালনার ক্ষেত্রে দক্ষ মানবসম্পদ এবং অভিজ্ঞতার বিকল্প নেই। র্যাবের প্রযুক্তির আধুনিকায়ন কার্যক্রম উদ্বোধনকালে উপস্থিত বক্তারা তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রযুক্তির আধুনিকায়নের যাত্রা শুরু করে র্যাব যৌক্তিকভাবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রত্যয় ব্যক্ত করে। নতুন উদ্ভাবিত ডাটা হাবে সংযুক্ত হয়ে র্যাব আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত হলো।
নতুন প্রযুক্তি অপরাধ শনাক্ত এবং দমনে যেমন ভূমিকা রাখে তেমনি অনেক অপরামূলক উস্কানিও পরিস্থিতিকে বেসামাল করতে পারে। সম্প্রতি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজামন্ডপে সংঘটিত অনাহূত ঘটনা প্রযুক্তির মাধ্যমে সারাদেশকে অস্থির করে তোলে। এমন জঘন্য অপকর্ম থেকেও প্রযুক্তির বলয়কে মুক্ত রাখতে হবে। এব্যাপারে প্রযুক্তি ব্যবহারকারীকে আরও সচেতন এবং যত্নশীল হতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রযুক্তির বলয়ে এক অনন্য কর্মযোগ। সারাবিশ্বের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়ারও গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। সঙ্গত কারণে এমন স্পর্শকাতর মাধ্যমে কোন ধরনের আপত্তিজনক ছবি কিংবা পোস্ট যেন উঠে না আসে। প্রযুক্তির অবাধ ও গতিশীল আঙ্গিনাকে অত্যন্ত রুচিসম্মত এবং পরিশীলিতভাবে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলাও সংশ্লিষ্টদের দায়বদ্ধতা।
শীর্ষ সংবাদ: