ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাল্লা স্থলবন্দর ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে

প্রকাশিত: ১৭:০৫, ২২ অক্টোবর ২০২১

বাল্লা স্থলবন্দর ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে

নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ ॥ হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট দক্ষিণাঞ্চলের প্রাণের দাবি বাল্লা স্থলবন্দর। নির্মাণ কাজ শেষ হলে দেশের ২৩তম স্থলবন্দর হবে এটি। উপজেলার কাটানীপার মৌজার মোঃ আতাউর রহমান খানের ১০০ একশ শতক (এক একর) জমি অধিক গ্রহণের মাধ্যমে উক্ত জমিতে আবাসিক প্রকল্পের জন্য নির্ধারণ করা হয়। চলতি বছরের ২৮ আগস্ট থেকে স্থলবন্দরের আবাসিক প্রকল্পের সীমানা প্রাচীরের কাজ শুরু করা হয়। ২৫ কোটি টাকার বরাদ্দে উন্নয়ন কাজ চলমান। ২ জন প্রকৌশলীর সার্বক্ষণিক দেখভালে পুরোদমে চলছে কাজ উন্নয়ন কাজ। বাল্লা স্থলবন্দরের আমদানি ও রফতানিকারক সমিতির নেতা জালাল আহমেদ জানান, বন্দরের কাজ সমাপ্ত হলে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হবে এখানে। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদির লস্কর বলেন, হবিগঞ্জের উন্নয়নে বাল্লা স্থলবন্দর একটি মাইলফলক হিসাবে কাজ করবে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। জানা গেছে, ১৯৫১ সালে চুনারুঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী বাল্লা নামক স্থানে ৪ দশমিক ৩৭ একর জায়গা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত বাল্লা স্থল শুল্কস্টেশন চালু করা হয়। সেই স্থল শুল্কস্টেশনটি দিয়ে সিমেন্টসহ বিভিন্ন পণ্য রফতানি হয়ে থাকে। দুই দেশের সীমান্ত দিয়ে বয়ে চলছে খোয়াই নদী। বর্ষায় নৌকা আর শুকনো মৌসুমে শ্রমিকরা মাথা ও কাঁধে করে পণ্য আনা-নেয়া করে থাকেন। ফলে একদিকে ঝুঁকি, অন্যদিকে আমদানি-রফতানিকারকদের অর্থ ব্যয় হয় বেশি। এ সমস্যা দূর করতে ২০১২ সালের ১১ জুন ভারত ও বাংলাদেশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ প্রতিনিধি দল কেদারাকোট এলাকাটি পরিদর্শন শেষে উভয়পক্ষই শুল্কস্টেশনের দেড় কিলোমিটার দক্ষিণে কেদারাকোটে স্থলবন্দর করার ব্যাপারে একমত হয়। ২০১৭ সালের ৮ জুলাই স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষর চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী বন্দর পরিদর্শনে এসে জানান, একনেক সভায় স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠার অনুমোদন পেয়েছে এবং এটি দেশের ২৩তম স্থলবন্দর। অবকাঠামো তৈরির জন্য অর্থও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরপর স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালের জুলাইয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে ২১ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব পাঠায়। প্রস্তাবিত জমিতে বসতবাড়ি থাকায় আপত্তি জানান স্থানীয়রা। এ অবস্থায় থমকে যায় পুরো প্রক্রিয়াটি। তবে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি প্রশাসন ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে স্থলবন্দরের জন্য ১৩ একর ভূমি অধিগ্রহণে ভূমি জরিপ সম্পন্ন করা হয়। ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের কেদারাকোর্ট নামক স্থানে বাল্লা স্থলবন্দরকে দেশের ২৩তম স্থলবন্দর ঘোষণা করেন তৎকালীন নৌপরিবহন মন্ত্রী মো. শাজাহান খান।
×