ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাথরঘাটায় পিতা-পুত্রের হয়রানী থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ১৬:২৩, ২২ অক্টোবর ২০২১

পাথরঘাটায় পিতা-পুত্রের হয়রানী থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাথরঘাটা ॥ বরগুনার পাথরঘাটায় পিতা ও পুত্রের হয়রানী থেকে বাঁচতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের ভুক্তভোগীরা। আজ শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা প্রেসক্লাবে ওই এলাকার ২'শ পরিবারের পক্ষে মো. দুলাল মুন্সী লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন। এ সময় এলাকাবাসীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,মো. শফিকুল ইসলাম, মো. হাচান, আবু মুন্সী, মাহাফুজুল আলম, মজিবর মাহাবুব, নুরহোসেন, আনোয়ার হোসেন ও রহিমসহ অনেক ভুক্তভোগী। অভিযুক্ত নুরু মুন্সি উপজেলার সদর ইউনিয়নের পদ্মা এলাকার মৃত আব্দুল জব্বার মুন্সীর ছেলে ও নুরু মুন্সির ছেলে শাহিন মুন্সি। তিনি লিখিত বক্তব্যের বলেন, নুরু মুন্সি ও শাহিন মুন্সি তারা দুজনে পিতাপুত্র হওয়ার এলাকাবাসীকে ফাসানোর জন্য নিজেরা ঝগড়া করে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আমাদের স্বাক্ষী দিয়ে পরে আবার সেই মামলায় আমাদের হয়রানী শুরু করে দেয়। ছেলে শাহিন তার স্ত্রীকে দিকে বাবা নুরু মুন্সির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দিয়ে সেখানেও আমাদেরকে টেনে হয়রানী করে আসছে। এ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ দিয়েও কোন সমাধান পাইনি বলেও অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন, বাবা ও ছেলে বিভিন্ন স্থানে মামলা ও অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করে আসছে। যা সবসময় মিথ্যা প্রমানিত হয়। আমরা প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি যাতে তাদের হয়রানী থেকে এই পরিবার গুলো বাঁচতে পারে। নুরু মুন্সির ছোট ভাই আবু মুন্সি জানান, তার বড় ভাই ও ভাইয়ের ছেলের জন্য তাদের বংশের সহ আসপাশের প্রায় ২ শতাধীক পরিবার তাদের হয়রনীর শিকার হচ্ছে। তারা নিজেরা ঝামেলা করে সেই ঝামেলায় আমাদের জড়িয়ে মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে। আমরা এই হয়রানী থেকে রেহাই পেতে চাই। এ বিষয়ে অভিযুক্ত নুরু মুন্সি মুঠোফোনে তার সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, যে সকল অভিযোগ তারা আমাদের বিরুদ্ধে দিয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাকে হয়রানী করার জন্যই তারা এগুলো করছে। তাছারা উল্টো এই এলাকার লোকজনকে তারা হয়রানী করে আসছে। পাথরঘাটা থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় মজুমদার জানান, এ রকম কোন অভিযোগ আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কেউ করেনি বা আমাদের জানা নেই। কেউ যদি লিখিত অভিযোগ করে তবে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
×