ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

খাগড়াছড়িতে বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান

প্রকাশিত: ১৩:৪৯, ২২ অক্টোবর ২০২১

খাগড়াছড়িতে বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান

পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি ॥ ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে নানান আনুষ্ঠানিকতায় খাগড়াছড়ির বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্টান অনুষ্টিত হযেছে ।এর মধ্যে ঐতিহ্যবাহী য়ংড বৌদ্ধ বিহার, কলৗনপুর মৈত্রী বৌদ্ধ বিহার, ধর্মপুর আর্য্য বন বিহার ও পানছড়ি শান্তিপুরারন্য কুঠির সহ বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার বিহার গুলোর দায়ক দায়িকাদের আয়োজনে সকাল থেকে শুরু হয়েছে দিনব্যাপী কঠিন চীবর দান উৎসব। দিনব্যাপী দানোত্তম কঠিন উপলক্ষে দূর দূরান্ত থেকে পূণ্য সঞ্চয়ী করার জন্য শতশত পূণ্যার্থীরা বিহার গুলোতে সমবেত হয়েছে। কঠিন চীবর দান উপলক্ষে এ সব বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধ পুজা, পঞ্চশীল গ্রহণ, সংঘদান, অষ্ট পরিস্কার দান, পানীয় দান , কল্পতরু দানসহ সকল দানীয় বস্তু দান করেন। এসময় ধর্মীয় গুরুরা পূন্যার্থীর উদ্যেশ্যে ধর্ম দেশনা প্রদান করেন। এসময় জগতের সকল প্রাণীর সুখ শান্তি ও মঙ্গল কামনা করা হয়। এ সময় ধর্মীয় আলোচনা করেন শ্রীমৎ বোধিপাল মহাস্থবির, শ্রীমৎ প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবির, শ্রীমৎ ভদ্দজী মহাস্থবির প্রমুখ। দায়ক দায়িকারা এসময় যে যার সাধ্যমত প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, ফুল-ফল, ছোয়াইং (খাবার) প্রদান করে বৌদ্ধসহ ভান্তিদের কে তা দান করে। সন্ধ্যায় ভগবান বৌদ্ধের উদ্দেশ্যে আকাশে আকাশ প্রদীপ (ফানুস বাতি) উড়িয়ে দেয়া হবে। উল্লেখ্য আজ থেকে আড়ায় হাজার বছর আগে মহামতি গৌতম বুদ্ধের জীবদ্দষায় তার প্রধান সেবিকা মহা পূণ্যবর্তী বিশাখা ২৪ ঘন্টা মধ্যে তুলা থেকে সুতা তৈরী করে সুতা গুলো রং করে বয়ন করে সেলাই শেষে চীবর বিশেষ পরিধেয় বস্ত্র দান কার্য সম্পাদন করেন। ২৪ ঘন্টার মধ্যে মহা যঙ্গ সম্পাদন করার কারণে বৌদ্ধরা এই ধর্মীয় উৎসবকে কঠিন চীবর দান বলে। এ দান অন্য যে কোন দানের চেয়ে শ্রেষ্ঠদান হিসেবে মনে করা হয়। প্রবারণা পূর্ণিমা অর্থাৎ আশ্বিনী পূর্ণিমার পর দিন থেকে এক মাসব্যাপী বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে শুভ কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। কার্তিকী পূর্ণিমা পর্যন্ত এই দানানুষ্ঠান চলবে।
×