জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে ফরাসী ফটোগ্রাফার মার্ক রিবুদের তোলা ছবিগুলোর চলমান প্রদর্শনী বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীতে দুই দেশের মধ্যকার বিশ্বাস ও বন্ধুত্বের নিদর্শন। গত ১৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক চিঠিতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বলেন, আমাদের দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পঞ্চাশতম বার্ষিকী উদ্যাপনে এই প্রদর্শনী যে অবদান রেখেছে, তাতে আমি আনন্দিত। যুদ্ধ শেষের পর থেকেই শুরু সেই বিশ্বাস আর বন্ধুত্বের সম্পর্কে অদ্যাবধি ব্যত্যয় ঘটেনি।
১৬ অক্টোবর ঢাকার স্বাধীনতা জাদুঘরে শুরু হওয়া মার্ক রিবুদের ‘বাংলাদেশ ১৯৭১ : শোক ও সকাল’ শিরোনামে ৫০টি ছবিসহ একক ফটোগ্রাফি প্রদর্শনী ১৬ নবেম্বর শেষ হবে।
ম্যাক্রোঁ প্রদর্শনী নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ছবিগুলোতে মহান মানবতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, যে ঘটনাবলীর পরিণতিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার অভ্যুদয় ঘটে।
ম্যাক্রোঁ তার চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, মার্ক রিবুদ তখন মুক্তিযোদ্ধাদের ‘মুক্তি বাহিনী’-এর সঙ্গে এক মাস কাটিয়েছিলেন এবং ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় লাভের পর ঢাকায় প্রথম প্রবেশকারীদের মধ্যে একজন ছিলেন।
ফরাসী প্রেসিডেন্ট আরও লিখেছেন, এই অনন্য ছবিগুলোতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালী জনগণের স্বাধীনতা, ভাষা ও তাদের সংস্কৃতি রক্ষা করার প্রশংসনীয় সাহসিকতার চিত্র উঠে এসেছে।
ম্যাক্রোঁ আরও বলেন, তারা একটি প্রতিশ্রুতিশীল ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ জাতি, যারা সেদেশের জন্য ফ্রান্স এবং ফরাসী জনগণের আগ্রহ প্রত্যক্ষ করেছে, যেমনটি আন্দ্রে মালোরাঁ স্বাধীনতা ঘোষণার ঠিক পরেই প্রকাশ করেছিলেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, এটি বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময়কার এ যাবতকালের অপ্রদর্শিত ছবির এক অনন্য প্রদর্শনী।