ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নেপথ্যের কুশীলবদেরও খোঁজা হচ্ছে

অবশেষে কুমিল্লাকাণ্ডের হোতা ইকবাল গ্রেফতার

প্রকাশিত: ২৩:২৭, ২২ অক্টোবর ২০২১

অবশেষে কুমিল্লাকাণ্ডের হোতা ইকবাল গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরান শরিফ রাখা সেই ইকবাল অবশেষে কক্সবাজারে গ্রেফতার হয়েছে। জানা গেছে, কুমিল্লার নানুয়ার দিঘীর পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরান শরিফ রাখার ঘটনায় সন্দেহভাজন প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনকে কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মো: হাসানুজ্জামান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে নিজস্ব সংবাদাতা কুমিল্লা থেকে জানান, পুলিশের একটি দল গ্রেফতার হওয়া ইকবাল হোসেনের ছবির সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়ায় তাকে কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ইকবাল কুমিল্লাকা-ে জড়িত সেই ইকবাল কিনা জেলা পুলিশ তা নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে রাত সোয়া ১১টায় কুমিল্লা জেলা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, ছবির সঙ্গে মিল পাওয়ায় কক্সবাজারে ইকবাল নামে একজনকে আটক করে রাতেই কুমিল্লার পথে রওনা হয়। কুমিল্লা পৌঁছালে তার নাম পরিচয়সহ বিস্তারিত জানা যাবে। তবে রাত ১২টায় কক্সবাজারের স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, কক্সবাজারে অবস্থানরত কুমিল্লা পুলিশের একটি টিমসহ কক্সবাজার পুলিশ ইকবালকে আটক করে। পরে তাকে কুমিল্লা পুলিশের ওই টিমের নিকট বুঝিয়ে দেয়া হয়। এ বিষয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদের মোবাইল নম্বরে ফোন করা হলে রিসিভ না হওয়ায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে কুমিল্লা জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল কোন সূত্র থেকে কক্সবাজারে আটক ইকবাল কুমিল্লা কা-ে জড়িত সেই ইকবাল কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিশেষ প্রতিনিধি জানান, এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, কুমিল্লার পূজাম-পে কোরান শরিফ রাখা ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই ব্যক্তিকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে বলে সন্দেহ করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ, দুর্গাপূজায় প্রতিমা ভাংচুর, হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে মারধর, লুটপাট, নির্যাতনের অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে ৭২টি। মামলার আসামির সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার। গ্রেফতার হয়েছে ৪৫০ জন। পুলিশ সদর দফতর সূত্রে এ খবর জানা গেছে। যেভাবে কোরান শরিফ আসল কুমিল্লার ম-পে ॥ ১২ অক্টোবর, মঙ্গলবার রাত ১০টা: পূজা শেষে বাসায় ফেরেন এই অস্থায়ী পূজাম-পের পুরোহিতের দায়িত্ব পাওয়া শিমুল ও রাজিব। তখন পূজাম-পে কোরান ছিল না। রাত ১২টা ৩০ মিনিট : পূজা কমিটির সভাপতি সুবোধ রায় বন্ধুদের সঙ্গে ম-পে আড্ডা দিয়ে সাড়ে ১২টায় বাসায় যান। পূজার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন তরুণ কান্তি মোদক। তিনিও একই সময় নৈশপ্রহরী শাহিনের কাছে ম-পের নিরাপত্তার দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে বাসায় ফেরেন। তখনও পূজাম-পে কোরান ছিল না। রাত ২টা ৩০ মিনিট ॥ সাধারণ ছেলে ভক্তসহ সকলেই ম-প ছেড়ে নিজ নিজ বাসায় চলে যান। ম-পে নৈশপ্রহরী মোহাম্মদ শাহিন একা পাহারায়। তখনও কিন্তু কোরান ছিল না। এবার এই শাহিনের একটু পরিচয় দেয়া যাক। শাহিন এ্যালার্ট সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এ্যাটেনডেন্ট সার্ভিসেস নামের নিরাপত্তাসেবা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ৪৫ বছর বয়স্ক শাহিনের বাসা নগরীর সংরাইশ এলাকায়। এ্যালার্ট সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এ্যাটেনডেন্ট সার্ভিসেসের ব্যবস্থাপক শাহাজাদা ইকরাম রিপন বলেছেন, বছর দুয়েক আগে শাহিন আমাদের কোম্পানিতে চাকরি নেয়। পরে আবার চাকরি ছেড়ে দেয়। তবে মাস দেড়েক আগে সে আবার আমাদের কোম্পানিতে যোগ দেয়। মাঝে সে কোথায় ছিল আমরা জানি না। শাহিন কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপির মিছিল মিটিংয়ে দেখা যেত তাকে। এর বেশি কিছু আমি জানি না। রাত ৩টা ॥ পূজাম-পের পাশেই পরিবার নিয়ে থাকেন মনিরুজ্জামান। রাত ৩টার দিকে হঠাৎ দমকা বাতাস বইতে থাকে। এ সময় বিদ্যুত চলে যায়। এর পরেই নানুয়ার দীঘিরপাড় এলাকা নিস্তব্ধ হয়ে যায়। মণ্ডপে নৈশপ্রহরী শাহিন ছিল কি না বলতে পারি না। রাত ৩টা থেকে সকাল ৬টা ৩০ মিনিট। ভোরবেলায় স্থানীয় এক ব্যক্তি কোরান শরিফটি রেখে যান ম-পে, যার নাম পরে জানা গেল ইকবাল হোসেন। এ সময় হনুমানের হাতের গদাটি সরিয়ে নেন তিনি। গদা হাতে তার চলে যাওয়ার দৃশ্যও ধরা পড়েছে ওই এলাকারই কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরায়। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ম-পে পূজা দিতে আসে দুজন নারী ভক্ত। তারাই প্রথম কোরানটি দেখতে পান। যখনই দুই নারী ভক্ত কোরান শরিফটি দেখতে পান, তখনই সেখানে বিস্ময় প্রকাশ করে ছুটে আসেন ইকরাম হোসেন নামে একজন। ম-পে এসে চিৎকার করে বলেন, হনুমানের কোলে কোরান, কেউ এখানে থাকবেন না। আর যে কোরান এখান থেকে সরিয়ে নেবে তার হাত কেটে ফেলা হবে। ইকরামের এই কথাগুলো দুই নারী ভক্তসহ চিনু রানি নামের একজন মহিলাও শুনতে পান। তিনিও ম-পের পাশেই ছিলেন। সকাল ৬টা ৩০ মিনিট থেকে সকাল ৭টা। ইকরাম নিজের ভুয়া পরিচয় দিয়ে ৯৯৯-এ কল করেন। ইমরানের সঙ্গে নারীভক্তদের মধ্যে বাক-বিত-া শুরু হয় এবং আশপাশের মানুষ আসতে থাকে। প্রায় ৩০-৪০ জন মানুষ মুহূর্তেই উপস্থিত হন। এর মধ্যে ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে ওসি আনওয়ারুল আজিম ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি কোরান শরিফটি উদ্ধারের পাশাপাশি ইকরামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যান। সেই সঙ্গে নৈশপ্রহরী শাহিনকেও নিয়ে যান। কে এই ইকরাম হোসেন ॥ ইকরাম নগরীর কাঁসারীপট্টির রিক্সাচালক বিল্লাল হোসেনের ছেলে। ইকরাম বিবাহিত হলেও স্ত্রীর সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই। মাদকাসক্ত হওয়ায় তিনি পরিবার থেকেও বিচ্ছিন্ন। ইকরাম পাইপ মিস্ত্রির কাজ করেন। কোতোয়ালি থানার ওসি আনওয়ারুল আজিম ম-প থেকে কোরান শরিফ উদ্ধারের সময় সেটি ফেসবুকে লাইভ করেন ফয়েজ নামের এক যুবক। সেই লাইভের পরেই উত্তেজিত মানুষ জড়ো হন ঘটনাস্থলে, একপর্যায়ে শুরু হয় সহিংসতা, ভাংচুর। সিসি টিভির ফুটেজে পাশের মসজিদ থেকে কোরান এনে ম-পে রাখেন ইকবাল ॥ প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন মাজারের মসজিদ থেকে কোরান শরিফ নিয়ে রওনা হয় ম-পের দিকে। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে নেয়া ছবি। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল গভীর রাতে শাহ আবদুল্লাহ গাজীপুরি (রা.)-এর মাজারের মসজিদ থেকে কোরান শরিফটি নেন। এই মাজার থেকে ম-পে হেঁটে যেতে সময় লাগে ২ থেকে ৩ মিনিট। আরেকটি ফুটেজে ইকবালকে ম-পে কোরান রেখে ফিরে আসতে দেখা যায়। কুমিল্লার নানুয়ার দীঘির পাড়ের পূজাম-পে পবিত্র কোরান শরিফ রাখায় প্রধান সন্দেহভাজন ইকবাল হোসেন কোরানটি নিয়েছিলেন ম-পের পাশের এক মাজারের মসজিদ থেকে। দুর্গাপূজা ম-পে সহিংসতার আগের রাতে তিনি কোরান শরিফটি হাতে নিয়ে ম-পের দিকে রওনা হন। এরপর মূল ম-পের বাইরে পূজার থিম হিসেবে রাখা হনুমানের মূর্তির ওপর কোরান রেখে ফিরে আসেন ইকবাল। এসব দৃশ্য ধরা পড়েছে ওই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরায়। প্রধান অভিযুক্ত ইকবালের সহযোগী হিসেবে অন্তত চারজন এরই মধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মনে করছে, ইকবাল গ্রেফতার হলেই এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। নানুয়ার দীঘির পাড়ের ম-পে গত ১৩ অক্টোবর কীভাবে উত্তেজনার শুরু এবং মূল ম-পের বাইরে হৈ চৈ শুরু হয়, যা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রধান আসামি ইকবাল হোসেন কোরান শরিফ হাতে নিয়ে পূজা ম-পের দিকে যখন রওনা দেন তখন সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে সময়টি তখন রাত ২টা ১০ মিনিট। নানুয়ার দীঘির পাশেই শাহ আবদুল্লাহ গাজীপুরি (রা.)-এর মাজারটির অবস্থান। ম-প থেকে হেঁটে যেতে সময় লাগে ২ থেকে ৩ মিনিট। দারোগাবাড়ী মাজার নামে কুমিল্লাবাসীর কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিতি রয়েছে মাজারটির। এর মসজিদের বারান্দায় তিলাওয়াতের জন্য রাখা থাকে কয়েকটি কোরান শরিফ। রাত-দিন যেকোন সময় যে কেউ এখানে এসে তিলাওয়াত করতে পারেন। ম-পে কোরান শরিফ রাখার হেঁটে যাওয়া ইকবালের হাতে হনুমানের গদা ॥ আরেকটি সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, ম-পে হনুমানের মূর্তির ওপর কোরান রেখে ইকবাল ফিরে আসছে। কোরান রাখার সময় হনুমানের হাতের গদাটি সরিয়ে নেয়। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে সময়টি তখন রাত সোয়া ৩টার মতো। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছেন, দারোগাবাড়ী মাজারের মসজিদে নিয়মিত নামাজ আদায় করতে যাওয়া ইকবালসহ তিনজন ঘটনায় সরাসরি জড়িত। তাদের মধ্যে হুমায়ুন কবীরসহ (২৫) দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইকবালকে গ্রেফতারের পর তাদের পেছনে আরও কেউ আছেন কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। অনেকেই মাজারে এসে কোরান শরিফ দিয়ে যান। এসব কোরান শরীফে মসজিদের ভেতরের সেলফ পূর্ণ হয়ে গেছে। তাই কিছু কোরান শরিফ বারান্দায় রাখা হয়েছিল। তাছাড়া বারান্দায় রাখলে যেকোন সময় যে কারও জন্য তিলাওয়াতেরও সুবিধা হয়। কেউ এখান থেকে কোরান শরিফ নিয়ে গিয়ে এমন কাজ করবে তা চিন্তা করতে পারেননি বলেছেন মাজারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। পুলিশের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ইকবালের পাশাপাশি ইকরামও রাতে নেশা করেছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, ওই রাতে ৩ পিস ইয়াবা সেবন করেন। পরে ম-পের পাশে অবস্থান নেন। ম-পে কোরান শরিফ রাখে ইকবাল। আর ইকরামের দায়িত্ব ছিল ভোরে বিষয়টি পুলিশকে জানানোর। সে অনুযায়ী তিনি ৯৯৯-এ ফোন করে। ওসি আনওয়ারুল আজিম ম-প থেকে কোরান উদ্ধারের সময় সেটি ফেসবুকে লাইভ করে ফয়েজ নামের এক যুবক। সেই লাইভের পরেই উত্তেজিত মানুষ জড়ো হন ঘটনাস্থলে, শুরু হয় সহিংসতা। এই ফয়েজকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইকবালের শাস্তি চান মা ॥ কুমিল্লার পূজাম-পে পবিত্র কোরান রাখা যুবক ইকবাল হোসেনের (৩০) দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তার মা বিবি আমেনা। স্থানীয়রাও তাকে গ্রেফতার করে শাস্তির পাশাপাশি দাবি জানিয়েছেন জড়িত অন্যদেরও বিচারের আওতায় আনার। তাদের বক্তব্য, মানসিক ভারসাম্যহীন ইকবাল একা এ কাজ করেননি, তাকে দিয়ে কেউ করিয়েছে। ইকবালের পেছনে থাকা অশুভ শক্তি কারা ॥ মাদকাসক্ত ও অনেকটা ভবঘুরে জীবনযাপন করা ইকবাল হোসেনকে সামান্য কিছুতেই ম্যানেজ করা যেত। স্থানীয় নগরবাসীদের অনেকের ধারণা তাকে কোন কিছুর লোভ দেখিয়ে, অথবা যে কোন মূল্যে ম্যানেজ করে পূজাম-পে পবিত্র কোরান শরিফ রাখার মতো ন্যক্কারজনক ঘৃণ্য এ ঘটনার জন্ম দিয়েছে। ফেসবুকে লাইভ করা ফয়েজ রিমান্ডে ॥ গত ১৩ অক্টোবর পূজাম-পে পবিত্র কোরান শরিফ রাখার ঘটনায় ফেসবুকে লাইভ প্রচার করে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হওয়া আসামি মোঃ ফয়েজকে দুই দিনের রিমান্ডে এনে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করছিল পুলিশ। কুমিল্লায় মন্দিরে হামলায় আহত একজনের মৃত্যু ॥ কুমিল্লায় মন্দিরে হামলা, ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগের সময় আহত এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার নাম দিলীপ দাস (৭৫)। তিনি গত ১৩ অক্টোবর থেকে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি ছিলেন।
×