অনলাইন রিপোর্টার ॥ ডাক বিভাগের বিশাল নেটওয়ার্ক ও জনবল কাজে লাগিয়ে ডাকসেবাকে ডিজিটাল করতে ‘ডিজটাল ডাকঘর’-এর রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাকভবন মিলনায়তনে ‘ডিজিটাল ডাকঘর’-এর মহাপরিকল্পনা ও কর্মকৌশল প্রণয়নের চূড়ান্ত প্রতিবেদন ও উন্নয়ন প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়।
ডাক অধিদপ্তর ও এটুআই প্রোগ্রামের যৌথ উদ্যোগের এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাব (ডিএসডিএল) কর্মশালায় প্রণীত প্রস্তাব ডিজিটাল ডাকঘর প্রতিষ্ঠায় একটি ঐতিহাসিক মাইল ফলক। এর ফলে উৎপাদনমুখী কর্মকাণ্ডের ডিজিটালাইজেশনের ভিত তৈরি হয়েছে।
ডাক বিভাগের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি করা এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সহসাই ডাকসেবা কাঙ্ক্ষিত মানে উন্নীত হবে বলে মন্ত্রী দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. কামাল হোসেন ও ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।
এটুআই-এর চিফ ই-গবর্নেন্স ট্র্যাটেজিস্ট ফরহাদ জাহিদ শেখ অনুষ্ঠানে ডিজিটাল ডাকঘর মহাপরিকল্পনা ও কর্মকৌশল উপস্থাপন করেন।
ডাকমন্ত্রী ডাকঘরের মাধ্যমে জনগণকে সেবা দেওয়ার বিশাল সুযোগ কাজে লাগানোর দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, বিস্তীর্ণ নেটওয়ার্ক, বিশাল অবকাঠামো ও জনবল ব্যবহার করে প্রত্যন্ত এলাকাসহ দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষমতা ডাক বিভাগের আছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী পলক দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাক বিভাগকে ডিজিটাল ডাকঘরে রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ৫২টি মন্ত্রণালয় ও ৩৯৪টি প্রতিষ্ঠানে তিন হাজারটি ডিজিটাল সেবা চিহ্নিত করা হয়েছে।
ডিজিটাল ইকো সিস্টেম কাজে লাগিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে তা চালু করা সম্ভব।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আফজাল হোসেন বলেন, ডাকঘরকে ডিজিটাল করতে ‘ডিজিটাল ডাকঘর’-এর মহাপরিকল্পনা ও কর্মকৌশল প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে ডাকঘর নতুন দিগন্তে পৌঁছে যাবে।
শীর্ষ সংবাদ: