ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

পূর্বাচলে প্রদর্শনী কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:৩৬, ২১ অক্টোবর ২০২১

পূর্বাচলে প্রদর্শনী কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক ॥ পূর্বাচলে ঢাকা বাণিজ্যমেলার নবনির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বিশ্বমানের এ প্রদর্শনী কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ১৯৯৫ সাল থেকে ঢাকা বাণিজ্যমেলার গত ২৫টি আসর রাজধানীর শেরেবাংলানগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাশের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এবার বাণিজ্যমেলার ২৬তম আসর পূর্বাচলে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে আয়োজন করা হবে। প্রথা অনুযায়ী আগামী জানুয়ারি মাসে মেলার ২৬তম আসর বসবে। বিগত বছরগুলোতে শেরেবাংলানগরে অস্থায়ী মাঠে মেলার আয়োজন করার ফলে স্টল-প্যাভিলিয়ন নির্মাণ করতে গিয়ে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে অপ্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় করতে হতো। এছাড়া শেরেবাংলানগর, আগারগাঁও, শ্যামলীসহ আশপাশের সড়কগুলোতে মাসজুড়ে যানজটসহ অন্যান্য সমস্যায় আগামীতে আর কষ্ট পেতে হবে না নগরবাসীকে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জানায়, ২০০৭ সালে এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণের জন্য চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রথম ডিজাইন চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পুরনো বিমানবন্দরের প্রায় ৪০ একর জমি নিয়ে এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণের প্রথম ডিপিপি অনুমোদিত হয় ২০০৯ সালে, তবে তা কার্যকর হয়নি। পরে প্রধানমন্ত্রী পূর্বাচলে এক্সিবিশন সেন্টারের স্থান নির্বাচনের নির্দেশনা দেন। ২০১৫ সালের ১৮ মার্চ রাজউক প্রথম পর্যায়ে ২০ একর জমি বরাদ্দ দেয়। চীনা কর্তৃপক্ষ নির্মাণকাজ শুরু করে ২৬ অক্টোবর ২০১৭। কাজ শেষ হয় ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর। ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি নবনির্মিত অবকাঠামো ইপিবিকে বুঝিয়ে দেয় চীনা কর্তৃপক্ষ। এক নজরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার আধুনিক প্রদর্শনী কেন্দ্রটির নিজস্ব পানি শোধনাগার, ইন্টারনেটের জন্য ওয়াইফাই সিস্টেম, একটি আধুনিক ঝরনা, রিমোট-কন্ট্রোল প্রবেশদ্বার, ক্যাফেটেরিয়া/রেস্টুরেন্ট, শিশুদের খেলার জায়গা, নামাজ কক্ষ, মেডিক্যাল সেন্টার, ডরমেটরি, ১৩৯টি টয়লেট, আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা এবং সিসি ক্যামেরা রয়েছে। ১৩০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০ একর জায়গাজুড়ে নির্মাণ করা প্রদর্শনী কেন্দ্রটি। এই প্রকল্পে চীন ৬২৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা দিয়েছে। কেন্দ্রটির ফ্লোর স্পেস ৩৩ হাজার স্কয়ার মিটার। এরমধ্যে ১৫ হাজার ৪১৮ স্কয়ার মিটারের প্রদর্শনী হল রয়েছে।
×