ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ক্রিপ্টো প্রশ্নে ফেসবুককে বিশ্বাস করেন না মার্কিন সিনেটররা

প্রকাশিত: ১৩:৩৩, ২০ অক্টোবর ২০২১

ক্রিপ্টো প্রশ্নে ফেসবুককে বিশ্বাস করেন না মার্কিন সিনেটররা

অনলাইন ডেস্ক ॥ “ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রশ্নে ফেসবুক বিশ্বাসযোগ্য নয়” বলে মন্তব্য করেছেন একদল মার্কিন সিনেটর। সম্প্রতি ‘নোভি (Novi)’ নামের একটি ক্রিপ্টোওয়ালেট পাইলট প্রকল্প চালু করেছে শীর্ষ সামাজিক মাধ্যমটি। অবিলম্বে প্রকল্পটি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন ওই আইনপ্রণেতারা। ফেসবুক ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারে প্রবেশের লক্ষ্যে কাজ করছে বছর দুয়েক ধরে। তবে প্রতিষ্ঠানটি ‘নোভি’ নিয়ে পাইলট প্রকল্প শুরু করেছে মঙ্গলবার। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রথম দিনেই প্রকল্পটি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক পার্টির সিনেটর ব্রায়ান শাটজ, শেরড ব্রাউন, রিচার্ড ব্লুমেন্থাল, এলিজাবেথ ওয়ারেন এবং টিনা স্মিথ। আপত্তি জানিয়ে ফেসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে সিনেটররা বলেছেন, “ফেইসবুক আবারও আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে ডিজিটাল মুদ্রা পরিকল্পনা এগিয়ে নিচ্ছে। ওই পরিকল্পনা বর্তমান আর্থিক নীতিমালার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হলেও ইতোমধ্যেই একটি লেনদেন অবকাঠামো নেটওয়ার্কের পাইলট প্রকল্প চালু করেছে।” “ঝুঁকি মোকাবেলা ও ব্যবহারকারীদের নিরাপদ রাখতে ফেইসবুকের সক্ষমতা অপর্যাপ্ত প্রমাণিত হওয়ায়, একটি লেনদেন কাঠামো অথবা ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ফেসবুক বিশ্বাসযোগ্য নয়।” রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট নিয়েও ফেসবুক যে আইনপ্রণেতা ও নিয়ন্ত্রকদদের কঠোর সমালোচনার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে, তারই পরিষ্কার ইঙ্গিত সিনেটরদের লেখা চিঠিটি। অ্যান্টিট্রাস্টসহ বিভিন্ন বিষয়ে ফেসবুকের আন্তরিকতা ও কর্মকাণ্ড নিয়ে আগেও প্রশ্ন তুলেছেন মার্কিন সিনেটররা। ই-কমার্স ও বৈশ্বিক লেনদেন খাতে ব্যবসা প্রসারের লক্ষ্যে ফেসবুক ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রকল্প উন্মোচন করেছিল ২০১৯ সালের জুন মাসে। তবে শুরুতেই আন্তর্জাতিক নীতিনির্ধারকদের প্রবল বিরোধীতার মুখে পড়ে প্রকল্পটি। ফেসবুকের প্রকল্পটির কারণে লেনদেন ব্যবস্থার উপর নিয়ন্ত্রণ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা করছেন নীতিনির্ধারকরা। ফেইসবুক ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রচলন করলে তাতে ব্যবহারকারীদের গোপনতা আরও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়বে এবং প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে অপরাধ কর্মকাণ্ড বাড়বে-- এমনটাও আশঙ্কা করছেন তারা।
×