ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ ও চীনের সাংস্কৃতিক দূত শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্কর

প্রকাশিত: ২৩:৫৬, ১৯ অক্টোবর ২০২১

বাংলাদেশ ও চীনের সাংস্কৃতিক দূত শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্কর

এক হাজার বছর আগের সেই ভোর থেকেই বলছি। ৯৮২ খ্রিস্টাব্দে প্রাচীন ভারত উপমহাদেশের পূর্বদিকে অবস্থিত বর্তমান বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলার জহোর রাজ্যের ভাস্বর রাজপ্রাসাদে একটি ছেলে শিশুর জন্ম হয়। তিনি শান্তশিষ্ট হয়ে তার মা শ্রী পাবাভতির স্নেহময়ী কোলে শুয়েছিলেন। তার মার নির্ভরশীল সেই মহাপুরুষ ছিলেন তার বাবা। অর্থাৎ, জহোর রাজ্যের রাজা। চন্দ্র্র্র রাজবংশের তৃতীয় শাসক হিসেবে তিনি শীঘ্রই অভিসিক্ত হবেন। এই শিশু ছিলেন তাদের দ্বিতীয় সন্তান। তার নাম চন্দ্রগর্ভ। শিশুটি চারদিকে অস্পষ্ট ১৩টি সোনালি ছাদের রাজপ্রাসাদ ও প্রাসাদের ভেতরকার কুঞ্জবনের সৌন্দর্যের দিকে তাকাচ্ছিলেন। রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে তার বাবা-মাও তখন এই শিশুটির ভিন্নতা অনুভব করতে পারতেন না। সেই সময় কেউই জানতে পারতেন না, বিশ্ববাসী অদূর ভবিষ্যতে চন্দ্রগর্ভকে দীপংকর শ্রীজ্ঞান অতিশের সম্মানে ভূষিত করেন। পরে তিনি চীনের তিব্বতী বৌদ্ধধর্মের মহত্ত্ব-পরবর্তী সময়পর্বের স্থপতি হন। তিনি হয়ে ওঠেন চীন ও বাংলাদেশের ধর্মীয় সংস্কৃতির আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে একটি নিদর্শন। তার সুনাম সবসময় চীনের বিশাল ভূমিতে প্রচলিত থাকবে। এক হাজার বছর পরেও তার হাঁটা প্রতিটি ইঞ্চি ভূমি, তার কাঁধে নেয়া প্রতিটি খ- বৌদ্ধশাস্ত্র এবং তার বপন করা প্রতিটি আশা সকলের মুখে মুখে প্রশংসিত হচ্ছে এবং আজকের পূর্বনির্দিষ্ট লোকেরা অনবরত তাকে অনুসরণ করছেন। অতিশের জন্ম রাজপরিবারে। ছোটবেলা থেকেই তিনি তার পরিবারের সুগভীর ধর্ম-বিশ্বাসের পরিবেশে প্রভাবিত হন। পাশাপাশি তিনি উত্তম শিক্ষা লাভ করেন। ৩ বছর বয়সে তিনি লেখাপড়া শুরু করেন। ৫ বছর বয়স থেকে তিনি বৌদ্ধশাস্ত্র পড়তে শুরু করেন। ১১ বছর বয়সে তিনি নালন্দা মন্দিরে গিয়ে বৌদ্ধশাস্ত্র নিয়ে গবেষণা করেন। ১৮ বছর বয়সে তিনি এসোটেরিক অধ্যয়ন করে কিং কোং লাভ করেন। ২০ বছর বয়সে তিনি রাজার মর্যাদা পরিত্যাগ করেন এবং আজীবন বৌদ্ধধর্মের জন্য আত্মত্যাগ করতে সংকল্পবদ্ধ হন। ২১ বছর বয়সে তিনি বিদ্যায় পারদর্শী হন। ২৯ বছর বয়সে তিনি বোধিজায়া মন্দিরে গিয়ে ধর্মীয় অনুশাসন অধ্যয়ন করেন। তার ধর্মীয় নাম ছিল দীপংকর শ্রীজ্ঞান অতিশ। ১০১৩ সালে বৌদ্ধশাস্ত্র অন্বেষণের জন্য ৩২ বছর বয়সের অতিশ ১২৫ জন শিষ্য সঙ্গে নিয়ে জাহাজে করে ১৩ মাস ধরে সাগরে পাড়ি দিয়ে তখনকার সুবর্ণ দ্বীপে (বর্তমান সুমন্ত্র) পৌঁছেন। সুবর্ণ দ্বীপে পৌঁছার পর তিনি গভীর মনোযোগ দিয়ে সেখানকার বৌদ্ধপ-িতদের কাছে বৌদ্ধশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। তিনি প্রধানত ম্যাট্রেয়া ও অসঙ্গের অনুসৃত <বর্তমান সোলেমনিটি>এবং ম্যানজুশ্রি ও শান্তিদেবের অনুসৃত <বুদ্ধত্ব লাভ তত্ত্ব>প্রভৃতি বৌদ্ধশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। সুবর্ণ দ্বীপে ১২ বছর অধ্যয়নের পর অতিশ গোপনীয়তা উদ্ঘাটন ধর্মের শাস্ত্রে পারদর্শী হন। স্বদেশে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিক্রমশিলা মন্দিরের হেড মোন্ক হন। তিনি বাওশেং শান্তি, বোধিভদ্র,আফুদুদিবোতো, জিসিয়ান প্রমুখ লোকের সঙ্গে বিক্রমশিলা মন্দিরের আটজন শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি বলে পরিচিত ছিলেন। ৯ শতাব্দীতে চীনের তিব্বতী অঞ্চলের শাসক লাংদার্মা বৌদ্ধধর্মকে নিষিদ্ধ করেন। এর ফলে তিব্বতী অঞ্চলের বৌদ্ধ ধর্ম মহলে অপপ্রচারের প্রচলন হয়, তত্ত্বগত মতভেদ দেখা যায় এবং জনমন বিনষ্ট হয়। তিব্বতের বৌদ্ধ ধর্মকে পুনরুদ্ধারের জন্যে ১১ শতাব্দীর গোড়ার দিকে আলিগুগের রাজা লাল ছুওয়ো লামা তার চাচা ইসিওয়ো লামার অন্তিম বাণী অনুসারে পর পর তিব্বতী জাতির শীর্ষ অনুবাদক জিয়া জুনজিসেংগ ও নাগ্ট্সো চুয়েছেংজিয়েওয়াকে পাঠিয়ে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারের জন্য শ্রীজ্ঞান অতিশকে তিব্বতে যাওয়ার সাদর আমন্ত্রণ জানান। কয়েক দফা টানাপোড়েনের পর শেষ পর্যন্ত অতিশ আলিগুগের রাজার বিশ্বস্ততায় বিমুগ্ধ হয়ে উত্তরদিকে তিব্বতের উদ্দেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ১০৪০ সালে ৫৮ বছর বয়সের অতিশ অবিচলভাবে উত্তরদিকে রওনা হন। তার পেছনের বিক্রমশিলা মন্দির তার কাছ থেকে ক্রমেই দূর হয়ে যাচ্ছিল। তিনি জানতেন না, এবারের যাত্রায় তিনি দশ হাজার মাইল অতিক্রম করবেন এবং এক হাজার বছর ধরে এটি হবে প্রশংসার দাবিদার। প্রায় দুই বছরের দীর্ঘ পদযাত্রার পর ১০৪২ সালের শেষদিকে অতিশ নেপাল হয়ে চীনের তিব্বতের আলি এলাকার আলিগুগ রাজ্যে পৌঁছেন। তখন থেকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তিব্বী মহত্ত্ব-পরবর্তী সময়পর্বের বৌদ্ধধর্ম প্রচারের কাজ শুরু করেন। অতিশ তিব্বতে মনোনিবেশের সঙ্গে বৌদ্ধধর্ম প্রচার করেন এবং <বোধি পথ প্রদীপ>সংকলন করেন। পাশাপাশি তিনি বৌদ্ধধর্ম লঙ্ঘনকারী নানা ধরনের অপপ্রচারের খ-ন-বিখ- করেন এবং প্রার্থনার তিনটি নিয়মকানুনের প্রবর্তন করেন । তিনি নানা স্থানে গিয়ে বৌদ্ধধর্মের শাস্ত্র পড়ান। বহু লোক তার শিষ্য হয়ে পড়েন। তিব্বতে তিনি সঠিক বৌদ্ধধর্মের প্রচার করেন, এসোটেরিক ও গোপনীয়তা উদ্ঘাটন ধর্মের সংমিশ্রণ করে তা প্রসারিত করেন। এভাবে তিনি বৌদ্ধধর্মের সংস্কার করে তিব্বতী বৌদ্ধধর্মকে পুনরুদ্ধার করেন। ১০৫৪ সালে (তিব্বতী পঞ্জিকার নবম মাসের ১৮তারিখে) শ্রীজ্ঞান অতিশ লাসার পশ্চিম দিকে অবস্থিত নিয়ে থাংয়ে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি তিব্বতে অবস্থানকালে ১২ বছর ধরে তিব্বত অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন। তার সৃষ্ট গেতান গোষ্ঠীর প্রভাব সুদূরপ্রসারী। এটি হলো বর্তমান প্রচলিত দালাই লামা ও পানছেন লামার গেলুগ গোষ্ঠীর শামাননিজমের উৎপত্তি। সময় পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অতিশ তিব্বতের লাসার নিয়ে থাং মন্দিরে দীর্ঘ ৯০০ বছরের বেশি সময় ধরে শুয়ে আছেন। জন্মভূমি সবসময় তার প্রত্যাবর্তন কামনা করে। ১৯৬৩ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ বৌদ্ধধর্ম কৃষ্টি প্রচার সংঘের প্রেসিডেন্ট (বাংলাদেশের ফাওয়াং মন্দিরের হেড মোন্ক) সংঘনায়াকা সুথানান্দ মহাথেরো একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়ে এশিয়ার ১১টি দেশের বৌদ্ধধর্মের শান্তি সম্মেলনে অংশ নেয়ার উদ্দেশ্যে চীন সফরে যান। সফরকালে তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই ও চীনা বৌদ্ধধর্ম সমিতির সহসভাপতি চাও ফু ছুর প্রাণঢালা অভ্যর্থনা লাভ করেন। প্রেসিডেন্ট সুথানান্দ প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই ও চীনা বৌদ্ধধর্ম সমিতির কাছে শ্রীজ্ঞান অতিশের ভস্মাবশেষ তার নিজের জন্মভূমিতে ফিরিয়ে আনা এবং সম্মান প্রদর্শনের জন্য তার জন্য স্মৃতি ভবন নির্মাণ করার অনুরোধ করেন। এতে প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই সম্মত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ১৯৭৮ সালে সভাপতি চাও ফু ছু একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়ে সযতেœ শ্রীজ্ঞান অতিশের আংশিক ভস্মাবশেষ নিয়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় পৌঁছেন এবং ঢাকাবাসীরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে তাদের সংবর্ধনা জানায়। অতিশের ভস্মাবশেষ বাংলাদেশের ফাওয়াং মন্দিরে সংরক্ষিত রয়েছে। প্রায় দশ শতাব্দীর পর শ্রীজ্ঞান অতিশ নিজের জন্মভূমিতে ফিরে এসেছেন। ইতিহাসের বিরাট লেখনী তার এই পদযাত্রার জন্য দাঁড়ি টেনেছে। তখন থেকে চীন ও বাংলাদেশের বৌদ্ধধর্মের সংস্কৃতির সফর-বিনিময়ের এক অভিনব অধ্যায়ের সূচনা হয়। ২০১৮ সালে চীনা বৌদ্ধধর্ম সমিতির উপ-সভাপতি মিং শেং বাংলাদেশ সফর করেন এবং ‘আন্তধর্মীয় সংলাপের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি উন্নয়ন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ নেন। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ বৌদ্ধধর্ম কৃষ্টি প্রচার সংঘের প্রেসিডেন্ট সুথানান্দ মহাথেরো আবার চীন সফর করেন এবং পঞ্চম বিশ্ব বৌদ্ধধর্ম ফোরামে অংশ নেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা দূতাবাস, বাংলাদেশ প্রবাসী চীনা ও চীনা বংশোদ্ভূত বাংলাদেশী ফেডারেশন এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো বরাবরই বিভিন্ন ধরনের অনুদান ও নির্মাণকাজে সহায়তার মতো উপায় দিয়ে বাংলাদেশের বৌদ্ধধর্মের উন্নয়নকে সমর্থন দিয়ে আসছে। অপরদিকে বাংলাদেশের বেসরকারী সংগঠনগুলোও সবসময় দাতব্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যাতে বাংলাদেশের সমাজের উপকার হয় এবং চীন ও বাংলাদেশের মৈত্রী আরও বাড়ানো যায়। এই দাতব্য কাজের মধ্যে রয়েছে বৌদ্ধ মন্দির নির্মাণ, অনাথ স্কুল প্রতিষ্ঠা, পাড়া হাসপাতাল নির্মাণ, দরিদ্র জনতার সহায়তা, বাংলাদেশে নিহত চীনা বংশোদ্ভূত বাংলাদেশীদের শেষকৃত্য কাজে সাহায্য দান এবং করোনাকালে জনসাধারণের জন্য কল্যাণ কামনা করা ও মাদকের মতো রোগ-প্রতিরোধক পণ্যদ্রব্য বিতরণ। আরেকটি দলের লোক কোদাল-শাবল-বেলচা হাতে নিয়ে নিশব্দে অত্যন্ত গোপনীয় ও মহান পথ উদ্ধার করেছেন। ২০১৪ সালে একটি রহস্যময় ও গম্ভীর কর্তব্য চীনের হুনান প্রাদেশিক পুরাকীর্তি ও প্রত্নতত্ত্ব গবেষণাগারের কাঁধে ন্যস্ত হয়েছে। এই কর্তব্য হচ্ছে বাংলাদেশে গিয়ে প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান চালানো। গন্তব্যস্থল হচ্ছে প্রাচীন নগর বিক্রমপুরের নাটেশওয়ারের ধ্বংসাবশেষ, অর্থাৎ, লোকের মুখে মুখে কথিত শ্রীজ্ঞান অতিশের জন্মভূমি জহোর রাজ্য। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ের মধ্যে চীনের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের সার্বিক সমর্থনে প্রফেসর ছাই হুয়ান পোওয়ের নেতৃত্বে পরিচালিত চীনা প্রত্নতাত্ত্বিক দল ছয়বার বাংলাদেশে গিয়েছেন। তারা বাংলাদেশের বিক্রমপুর ফাউনডেশনের সঙ্গে মিলে চীন-বাংলাদেশযুক্ত প্রত্নতাত্ত্বিক টিম গঠন করেন। তারা প্রাচীন নগর বিক্রমপুরের নাটেশওয়ারের ধ্বংসাবশেষে ছয়বার ব্যাপক আকারের প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান চালিয়েছেন। এটি হলো চীন ও দক্ষিণ এশীয় উপমহাদেশের মধ্যে প্রথমবার যুক্ত প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে সহযোগিতা। উদ্ধার কাজের মাধ্যমে উদ্ঘাটিত হয়েছে, নাটেশওয়ারের ধ্বংসাবশেষ হচ্ছে একটি বৌদ্ধ মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ। পরিশ্রম করলেই সুফল পাওয়া যাবে। ছয় বছরের প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানের কাজের ফলে সংশ্লিষ্ট ধ্বংসাবশেষের পুরাকীর্তিগুলো একের পর এক উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতœতাত্ত্বিক ফল সমৃদ্ধ থেকে সমৃদ্ধতর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই প্রত্নতাত্ত্বিক প্রকল্প চীন ও বাংলাদেশের সরকারের উচ্চতর স্বীকৃতি ও দুই দেশের জনগণের ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে। যুক্তভাবে প্রত্নতাত্ত্বিক কাজ চালানোর এই সহযোগিতার পদ্ধতিও মানুষের মুখে মুখে প্রশংসিত হচ্ছে। এই প্রকল্প ২০১৯ সালে চীনের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ‘এক বেল্ট, এক রোডের’ আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রত্নতাত্ত্বিক প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। [অনুবাদক : শি চিং উ (প্রফেসর, চীনা মিডিয়া গ্রুপের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন পরিচালক] লেখক : বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের সাংস্কৃতিক বিভাগে কর্মরত
×