নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, পটুয়াখালী ॥ স্বামীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে গলায় ফাসঁ লাগিয়ে আত্মহত্যা করলেন লাকি আক্তার (২০) এক গৃহবধু । পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সোমবার সকালে পটুয়াখালী মর্গে পাঠিয়েছেন। লাকি আক্তার পৌরশহরের ৭নং ওয়ার্ডের একটি ভাড়া বাসায় সন্তান নিয়ে বসবাস করত। লাকির স্বামীর নাম মেহেদি হাসান ।
জানা গেছে, বাউফল সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের লিটন প্যাদার মেয়ে লাকি আক্তার (২০) এর সঙ্গে তিন বছর আগে মেহেদী হাসান তোহার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন না যেতেই স্বামী স্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে তাদের পরিবারের আসে মাহিন ইসলাম। মেহেদি হাসান ঢাকার একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি স্ত্রী সন্তানের কোন প্রকার ভরন পোষন ও খোঁজ খবর পর্যন্ত নিতেন না। এ অভিযোগে লাকি আক্তার স্বামী তোহাকে প্রধান আসামী করে পটুয়াখালী বিজ্ঞসিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে তোহার সঙ্গে স্ত্রী লাকি আক্তারের বাকবিতন্ডা হয়।
কয়েক প্রতিবেশি জানিয়েছেন, স্বামীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলার ৩০ মিনিট পড়েই ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওরনা গলায় পেচিয়ে ফাঁস দেয় লাকি। পরে স্বজনরা দরজা ভেঙে লাকির ঝুলন্তদেহ উদ্ধার করে । এসময় লাকির শিশুপুত্র মাহিন ঘুমিয়ে ছিল।
বাউফল থানার ওসি আল-মামুন বলেন, ‘লাকি আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তে রিপোর্ট পাওয়ার পরে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয় হবে।’
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: