ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শেয়ারবাজারে আতঙ্ক ধরানো পতন ॥ ঠিক যেন ফিরছে ২০১০

প্রকাশিত: ১৬:৫৯, ১৮ অক্টোবর ২০২১

শেয়ারবাজারে আতঙ্ক ধরানো পতন ॥ ঠিক যেন ফিরছে ২০১০

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মনে আতঙ্ক ধরানোর মতো পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। শেয়ার বিক্রির চাপে এক পর্যায়ে বেশিরভাগ কোম্পানির ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছিল না। দিনশেষে প্রধান শেয়ারবাজারে মাত্র ৩৩টি কোম্পানির দর বেড়েছে। উল্টো কমেছে ৩২৪টি কোম্পানির দর। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত কয়েকদিনের মতো সোমবারও সূচকের ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছিল। কিন্ত বিনিয়োগকারীদের আশঙ্কা সত্যি করে কিছুক্ষণ পরেই শেয়ারবাজারে ফিরে আসে সেই ভয়ঙ্কর বাস্তবতা। সোমবারের পতন দেখে মনে হচ্ছিল ঠিক এক দশক আগে ২০১০ সালের শেয়ারবাজারের পরিস্থিতি। বিনিয়োগকারীদের পোর্টফলিওতে যেন হঠাৎ করেই টাকা হাওয়া হয়ে যাচ্ছিল। শেয়ার বিক্রির চাপে সোমবারও বড়পতন হয়েছে। এই নিয়ে টানা ছয় কার্যদিবস পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। এই ছয় কার্যদিবসে ২৭০ পয়েন্ট সূচক কমেছে। এতে করে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একপ্রকার অস্থিরতা বিরাজ করছে। আহমদ রফিক নামের এক বিনিয়োগকারী বলেন, শেয়ারবাজার ভালোর দিকেই যাচ্ছিল। তবে হঠাৎ করে আবার পতন ধারায় চলে যাচ্ছে। এতে করে আমার মতো স্বল্প পুঁজির বিনিয়োগকারীদের মাঝে এখন আবার অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিভিন্ন সময় আমাদের এই বাজারে নিরাপদ বিনিয়োগের আশ্বাস দেয়া হলেও তা মূলত লোক দেখানো মনে হচ্ছে। এছাড়া নানা দেশে বিএসইসির রোড শো কোন কাজে আসছে না। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮৯.১৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ৯৭.২৭ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২১.১৪ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৬.৫৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৫২৫.১৭ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৬৭৮.৫৫ পয়েন্টে। ডিএসইতে এক হাজার ৩৯৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ২৬১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৬৫৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার। ডিএসইতে ৩৭৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৩৩টির বা ৮.৮২ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ৩২৪টির বা ৮৬.৬৩ শতাংশের এবং ১৭টির বা ৪.৬৫ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
×