ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড

ঝিনাইদহে জাকির মন্ডল হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

প্রকাশিত: ১৪:৫২, ১৮ অক্টোবর ২০২১

ঝিনাইদহে জাকির মন্ডল হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝিনাইদহ ॥ ঝিনাইদহে জাকির হোসেন মন্ডল ওরফে শান্তি (৪৫) হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। আজ সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহ অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো: শওকত হোসাইন এ রায় ঘোষনা করেন। মামলায় মোট আসামী ছিল ১১ জন। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হলো, শান্তি হোসেন (পলাতক), আ: করিম, লাভলু, আবু জাহিদ মনি, মিজানুর রহমান ওরফে টাক মিজান, মুকুল, নাসির ও ইব্রাহীম খলিল ওরফে ইদ্রিস ওরঠে ইদু (পলাতক)। এ মামলা অপর আসামী গান্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মালিতাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মশিয়ার রহমান ও উজ্জল হোসেন নামে ২ আসামী মামলা চলাকালীন সময়ে মারা গেছে। মামলা বিবরণে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৭ জুলাই ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের শাহার মন্ডলের ছেলে জাকির হোসেন মন্ডল ওরফে শান্তি (৪৫) মোটরসাইকেলযোগে পার্শ্ববতি গান্না বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল। সেসময় কাশিমপুর গ্রামের মাঠের মধ্যে চরমপন্থিরা তাকে লক্ষ্য করে ২টি বোমা নিক্ষেপ করে। বোমার স্প্রিন্টারে জাকির হোসেন গুরুতর আহত হয়। তাকে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে ফরিদপুর মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়। সেখানেও তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ১১ জনকে আসামী করে ২০২১০ সালের ৯ জুলাই নিহতের শশুর মো: সিরাজুল ইসলাম মালিতা বাদি হয়ে ঝিনাইদহ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এ মামলা ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে আদালত ১০ জনের সম্পৃক্ততা খুঁজে পায়। এর মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া অপর এক আসামী গান্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মালিতাকে আদালত বেকসুর খালাস প্রদান করেছে। বাকি ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ ও ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা অনাদায়ে আরো ৬ মাস করে দান্ডাদেশ করেছেন ঝিনাইদহ অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো: শওকত হোসাইন। এ মামলায় রাস্ট্রপক্ষে ছিলে পিপি এডভোকেট মো: ইসমাইল হোসেন বাদশা ও আসামী পক্ষে ছিলেন এডভোকেট মো: আশরাফুল ইসলাম জোয়ারদার, এডভোকেট মো: দবির হোসেন, এডভোকেট গৌতম কুমার বিশ্বাস ও এডভোকেট মো: তরিকুল ইসলাম।
×