ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পর্যটক প্রিয় হয়ে উঠেছে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান

প্রকাশিত: ১১:৩৭, ১৭ অক্টোবর ২০২১

পর্যটক প্রিয় হয়ে উঠেছে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান

নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ ॥ উন্নত মানের চায়ের কথা মনে পড়তেই যেকটি জেলার নাম চোখের সামনে ভেসে ওঠে, তারমধ্যে হবিগঞ্জ অন্যতম। এ জেলার উত্তরে সুনামগঞ্জ ও সিলেট, পূর্বে মৌলভীবাজার, দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য এবং পশ্চিমে কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। ৯টি উপজেলা নিয়ে গঠিত এ জেলার এক পাশে হাওড়। অপর পাশে পাহাড়ি এলাকা। মাঝে শিল্পাঞ্চল, গ্রাম ও শহর। এখানে দর্শনীয় স্থানের মধ্যে মাধবপুর উপজেলায় তেলিয়াপাড়া চা বাগান সংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ, শাহাজিবাজার রাবার বাগান, চুনারুঘাট উপজেলার কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, মুড়ারবন্দ সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দিনের (রঃ) মাজার, বিভিন্ন চা ও রাবার বাগান, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, বানিয়াচংয়ের সাগরদিঘী, বিথঙ্গঁল আখড়া, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার উচাইল শংকরপাশা শাহী মসজিদ উল্লেখযোগ্য। জানা গেছে, ইতোমধ্যে পর্যটকদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। এ উদ্যানে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পর্যটকদের অবস্থান লেগেই থাকে। কারণ এখানে সহজেই আসা যায়। উদ্যানের গভীর অরণ্যে দেখা যাচ্ছে নানা নতুন প্রাণী। আশেপাশে রয়েছে চা বাগান। পাশেই তেলিয়াপাড়া মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ। উদ্যানে রয়েছে থাকা-খাওয়ার সু-ব্যবস্থা। রয়েছে নিরাপত্তা। করোনাভাইরাসের কারণে দুই দফা বন্ধ থাকার পর জেলার চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ও রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য খুলে দেওয়া হয়েছে। সাতছড়ি বন্যপ্রাণী রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, করোনার কারণে প্রথম দফা ২০২০ সালের ১৯ মার্চ পর্যটন স্পটটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর থেকে প্রায় ৮ মাস বন্ধ থাকার পর ১ নবেম্বর এ উদ্যান খুলে দেওয়া হয়। করোনা পরিস্থিতি জটিলতর হওয়ায় চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় দফায় উদ্যান বন্ধ রাখার ঘোষণা আসে। এরপর প্রায় সাড়ে তিন মাস পর ২১ আগস্ট থেকে আবার এই উদ্যান খোলা হলো। তিনি জানান, দুই দফা উদ্যান বন্ধ থাকায় হতাশায় ছিলেন দর্শনার্থীরা। আর এসব স্থানে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধে কঠোর অবস্থানে ছিল কর্তৃপক্ষ। কলেঙ্গা রেঞ্জ কর্মকর্তা খলিলুর রহমান বলেন, কালেঙ্গাও চালু আছে। পর্যটকরা আসছে। তবে সাতছড়ির ন্যায় পর্যটক কালেঙ্গায় আসে না। আমরা পর্যটক আকর্ষণে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।জানা গেছে, খোলা থাকলে সাতছড়িতে প্রতিদিন ৫০০ থেকে পাঁচ হাজার পর্যন্ত পর্যটক আসেন। বয়স্কদের টিকিট বিক্রি হয় ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২৫ টাকা।দুই দফায় প্রায় একবছর বন্ধ থাকার পর হবিগঞ্জের বিনোদন স্পটগুলো চালু হওয়ায় দর্শনার্থীরা উচ্ছ্বাস ও আনন্দে মেতেছেন। তারা (পর্যটক) সাতছড়ি, কালেঙ্গাসহ বিনোদন স্পটগুলোতে আসতে শুরু করেছেন। পূর্ববতী জরিপে ৩৭ প্রজাতির ন্তন্যপায়ী, ১৬৭ প্রজাতির পাখি, ৭ প্রজাতির উভচর, ১৮ প্রজাতির সরীসৃপ এবং ৬৩৮ প্রজাতির উদ্ভিদ ছিল। জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, হবিগঞ্জের হাওর ও পাহাড়কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা পর্যটক স্পটগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
×