ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাঁশের সাঁকোয় বন্ধি হয়ে আছে ৫০ হাজার মানুষের উন্নয়ন

প্রকাশিত: ১৬:৩৩, ১৬ অক্টোবর ২০২১

বাঁশের সাঁকোয় বন্ধি হয়ে আছে ৫০ হাজার মানুষের উন্নয়ন

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নে ইছামতী নদী পারাপারের জন্য স্থানীয় লোকজনদের স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি বাঁশের সাঁকোটি এখন ১৩টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা। এই নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর ও খানসামা উপজেলার ১২টি এবং নীলফামারী সদর উপজেলার একটি গ্রামের মানুষ। কিন্তু এরপরও চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলাচলে করতে হচ্ছে তাদের। তাই বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে জরুরি ভিত্তিতে একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি এই তিন উপজেলার ৫০ হাজার মানুষের। শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের রানিরবন্দর হাট-সংলগ্ন ইছামতী নদীর ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি বর্তমানে বেহাল হয়ে পড়েছে। বিকল্প উপায় না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ। স্থানীয় লোকজন জানান, এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন আটকে আছে শুধু এই সাঁকোর কারণে। কিছুদিন আগে এলাকাবাসী নিজেরা চাঁদা তুলে স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি করে এই বাঁশের সাঁকো। এই সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর, চকগোবিন্দ, আলোকডিহি, ফতেজংপুর, উত্তর পলাশবাড়ী, খানসামা উপজেলার দুবলিয়া, গোয়ালডিহি, লালদিঘী, নীলফামারী জেলার সদর উপলোর বড়য়াসহ ১৩টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ চলাচল করছে। তারা বলছে, সাঁকোর স্থানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হলে, খুব সহজেই রানীরবন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, আলোকডিহি জেবি উচ্চবিদ্যালয়, রানীরবন্দর এন আই বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, কুমড়িয়া দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়, রানীরবন্দরহাট ও নশরতপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এলাকার লোকজন যাতায়াত করতে পারবে। রানীরবন্দর এন আই বালিকা উচ্চবিদ্যালয়-এর দশম শ্রেনির ছাত্রী গুলনাহার বেগম বলেন, পাকা সেতু না থাকায় প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে আসতে হয় আমাদের। বৃষ্টির সময় দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়। আমরা এখানে পাকা সেতু চাই। স্থানীয় কৃষক অনিক ঘোষ জানান, এই এলাকার মানুষ মূলত কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এখানে ধান, আলু, পটল, শাকসবজিসহ প্রচুর কৃষিপণ্য উৎপাদিত হয়। কিন্তু পাকা সেতু না থাকায় নদীর পূর্ব পাশের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল সাঁকো দিয়ে হাটে যেতে পারেন না। প্রায় চার-পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে তাদের হাটে যেতে হয়। এতে ভোগান্তি চরমে পৌঁছে এবং উৎপাদন খরচও অনেকটা বেড়ে যায়। এ ব্যাপারে নশরতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর ইসলাম বলেন, পাকা সেতুর ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে। শিগগিরই এটি নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নিবে বলে আশা করছি।
×