ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রূপগঞ্জে বৃত্তি ও উপবৃত্তির টাকা পেতে ভোগান্তি

প্রকাশিত: ২২:২২, ১৬ অক্টোবর ২০২১

রূপগঞ্জে বৃত্তি ও উপবৃত্তির টাকা পেতে ভোগান্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ ॥ প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা তহবিলের দেয়া মেধা তালিকায় থাকা সাধারণ বৃত্তি কিংবা দরিদ্রদের উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর টাকা পেতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রূপগঞ্জের শতাধিক শিক্ষার্থী। এর আগে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কতিপয় কমিশনভোগীদের দুর্নীতি রুখতে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করেন। ফলে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে মোবাইলে দেয়া হচ্ছে বৃত্তি ও উপবৃত্তির টাকা। কিন্তু নানা জটিলতায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত রয়েছেন এ টাকা থেকে। এদিকে বৃত্তিপ্রাপ্ত আর উপবৃত্তি প্রাপ্তদের মোট সংখ্যা এমনকি হয়রানির শিকারদের অভিযোগও গ্রহণ করছেন না উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। এতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। রূপগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ৩৯টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫টি নন এমপিও। এসব প্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ৩২ হাজার ৪শত ৪৪ জন। আবার বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এ উপজেলা মাধ্যমিক শাখার প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১৯টি। এসব প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকটিতে যুক্ত রয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক এমনকি দ্বাদশ শিক্ষার্থীদের পাঠদান। ফলে এখানে ৫ হাজার ২শত ৬০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। একই উপজেলায় পূর্ণাঙ্গ কলেজ রয়েছে ৪টি। যাতে ৭ হাজার ৬শত ৮ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। সরকারী বিধি মোতাবেক, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মনোযোগী করতে ওইসব প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪০ শতাংশ হারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রদেয় শিক্ষা সহায়তা তহবিল থেকে দেয়া হচ্ছে উপবৃত্তি নামে অনুদান। এছাড়াও বিশেষ দুর্যোগকালীন প্রদেয় অনুদানও দেয়া হয়েছে ওই তহবিল থেকে। সম্প্রতি শিক্ষকদের মাঝে করোনাকালীন দেয়া ৫ হাজার টাকার অনুদানও দেয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, বৃত্তি ও উপবৃত্তির টাকা তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে পৌঁছানো সঠিকভাবে। একশ্রেণীর শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের একটি সিন্ডিকেট কমিশন কেটে রেখে নামে মাত্র সহায়তা পৌঁছাতো। এমন নানা অভিযোগ পাওয়ার পর সরকার এ সহায়তা পৌঁছাতে নেয় বিশেষ ব্যবস্থা। সে ব্যবস্থায় শিক্ষার্থী কিংবা তাদের অভিভাবকদের মোবাইল নাম্বারে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে টাকা। এ টাকা গত ২০১৪ সাল থেকে শুরু করে সরকার। তবে শিক্ষার্থীদের সেই টাকা পেতেও নানাভাবে ডিজিটাল অজ্ঞতায় হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। কারণ হিসেবে জানা যায়, মোবাইল নাম্বারের রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক এ্যাকাউন্টে অমিল, ফরম ফিলাপে ত্রুটি, সার্ভার সেবায় ত্রুটি থাকায় এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে। উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের পাঁচাইখা মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক গিয়াসউদ্দিন জানান, তার মাদ্রাসার ২১ শিক্ষার্থী উপবৃত্তির তালিকায় রয়েছে। ওই শিক্ষার্থীদের টাকা পেতে নিয়ম মেনে অনলাইনের নির্ধারিত সার্ভারে আবেদন করি।
×