ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় তসলিমাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

প্রকাশিত: ১৯:২০, ১৪ অক্টোবর ২০২১

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় তসলিমাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় লেখিকা তসলিমা নাসরিনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দিয়েছে পুলিশের সিটিটিসি ইউনিট। চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হচ্ছে, উইমেন চ্যাপ্টার নামক ওয়েবসাইটের সম্পাদক সুপ্রীতি ধর লিপা ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সুচিষ্মিতা সিমন্তিম। এদিকে তিন আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সিটিটিসি ইউনিটের পরিদর্শক নাজমুল নিশাত। বৃহস্পতিবার আদালতের সাধারন নিবন্ধন জিআর শাখা থেকে এসব তথ্য জানান। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিটিটিসি ইউনিটের পরিদর্শক নাজমুল নিশাত ধর্মী অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় তসলিমা নাসরিনসহ তিন জনকে অভিযুক্ত করে গত ৩ অক্টোবর এই চার্জশিট দাখিল করেন। তবে এই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর এক আসামি উইমেন চ্যাপ্টারের উপদেষ্টা লীনা হককে অব্যাহতির আবেদন করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। তাসলিমা নাসরিনসহ তিন আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতার পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক নাজমুল নিশাত। সিটিটিসি’র সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মাসিক পত্রিকা আল বাইয়েনাত সম্পাদক আল্লামা মুহম্মদ মাহবুব আলম বাদী হয়ে তসলিমা নাসরিনসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত শাহজাহানপুর থানাকে মামলাটি এজাহার হিসাবে নথিভুক্তের নির্দেশ দেন। পরে থানা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় দায়েরের পর সিটিটিসি মামলাটি তদন্ত শুরু করে। মামলার এজাহারে বলা আছে, উইমেন চ্যাপ্টার নামক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সুপ্রীতি ধর, সুচিষ্মিতা সিমন্তি ও লীনা হকরা প্রায়ই পবিত্র ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক লেখা প্রকাশ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ১৭ এপ্রিল বিকেলে তসলিমা নাসরিনের ‘ধর্ষকের কাছে নারীর কোনও ধর্ম নেই’ শীর্ষক একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। ওই নিবন্ধে লেখা হয়েছিল, ‘পয়গম্বরও আরব দেশে ইহুদি পুরুষদের মেরে ওদের মেয়েদের নিজের সঙ্গীদের মধ্যে বিতরণ করেছিলেন।’ লেখিকার এই বক্তব্যে মামলার বাদীর দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাত লাগে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা আছে।
×