ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

৫ ট্রলার জব্দ, চরাঞ্চলে ৩সংরক্ষনাগার সন্ধান শতাধিক অস্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদ

মাদারীপুরে মা ইলিশ রক্ষায় ব্যতিক্রমধর্মী অভিযান

প্রকাশিত: ২১:৩০, ১৩ অক্টোবর ২০২১

মাদারীপুরে মা ইলিশ রক্ষায় ব্যতিক্রমধর্মী অভিযান

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর ॥মাদারীপুরের মা ইলিশ রক্ষায় শিবচরের পদ্মা ও তীরবর্ত্তী চরাঞ্চলে ব্যতিক্রমধর্মী অভিযান পরিচালনা করেছে প্রশাসন। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে চরাঞ্চলে ৩ সংরক্ষনাগারের সন্ধান পাওয়া গেছে। অভিযানে শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ ও ৫টি ট্রলার জব্দ করা হয়। প্রশাসনিক সুত্রে জানা গেছে, শিবচরের কাঁঠালবাড়ি, চরজানাজাত, বন্দরখোলা এলাকায় পদ্মা নদী জেলেরা মাছ ধরে সেই মাছ দুর্গম চরের গভীর কাঁশবনে অস্থায়ী হাট বসিয়ে বিক্রি করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, নৌপুলিশ কোষ্টগার্ডসহ মৎস্য বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ টিম ওই সব এলাকায় অভিযান চালায়। এদিন প্রশাসনের অনুরোধে অভিযানে যোগ দেন জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। অভিযানকালে মা ইলিশ সংরক্ষন ও বিক্রির জন্য ৩টি গোপন আস্তানার সন্ধান পায়। এসকল আস্তানা থেকে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় ৫টি মাছ ধরার ট্রলার জব্দ এবং প্রায় ১০লাখ মিটার কারেন্ট জাল ধ্বংস করা হয়েছে। নদীর পাড়েই একত্রে জড়ো করে জাল পুড়িয়ে দেয়। নিষিদ্ধ সময়ে পদ্মা নদীতে ইলিশ ধরার ব্যাপারে জেলেদের সর্তক করে দেওয়া হয়। শিবচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আসাদুজ্জামান এর নেতৃত্বে অভিযানে উপজেলা চেয়ারম্যান আঃ লতিফ মোল্লা, পৌর মেয়র মোঃ আওলাদ হোসেন খান, সহকারী পুলিশ সুপার মো: আনিসুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম রকিবুল হাসান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাবুল কৃষ্ণ ওঝা, শিবচর থানা অফিসার ইনচার্জ মো: মিরাজ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান বিএম আতাহার হোসেন বেপারি, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ইলিয়াস পাশা, সাধারণ সম্পাদক খায়রুজ্জামান খান, র‌্যাব ব্যাটালিয়ান, গোস্টগার্ড সদস্যরা যৌথ অভিযানে অংশ নেন। উল্লেখ্য, গত ৪আগষ্ট থেকে এ পর্যন্ত ১৫৪ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৩৬ জনের প্রত্যেককে ১ বছর করে জেল দেয় ভ্রাম্যমান আদালত। বাকীদের অর্থ দন্ড করা হয়। বুধবার সন্ধায় শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা আজ নদীর চরাঞ্চলে অভিযান চালিয়ে ৩ আস্তানার ১শ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। ১০ লাখ ঘনমিটার অবৈধ জাল ধ্বংস করেছি। আজকের অভিযানে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে।’
×