ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রদ্ধাই প্রাপ্য

প্রকাশিত: ২১:০৬, ১৪ অক্টোবর ২০২১

শ্রদ্ধাই প্রাপ্য

প্রত্যেকটি সমাজ তার নিজস্ব কিছু আদর্শ নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম-কানুন বা নীতিমালাকে সামনে রেখে পরিচালিত হয়। তবে প্রতিটি আদর্শ সমাজব্যবস্থায়ই কিছু অভিন্ন নীতি-ধারা পরিলক্ষিত হয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু নীতি হলো ন্যায়পরায়ণতা, মানবিকতা, অগ্রজদের প্রতি অনুজদের শ্রদ্ধা ভক্তি ইত্যাদি। প্রবীণদের প্রতি নবীনদের শ্রদ্ধা ভক্তি এবং অনুকরণীয় মনোভাব একটি আদর্শ সমাজব্যবস্থার মৌলিক ধারা হিসেবে বিবেচিত হয়। আর একইভাবে এর বৈপরীত্যকে নিন্দার চোখে দেখা হয়। কেননা আদিকাল থেকেই যে সকল সমাজে প্রবীণদের প্রতি শ্রদ্ধা-ভক্তি পরিলক্ষিত হয় না সে সকল সমাজব্যবস্থাকে যুগে যুগে দার্শনিকগণ বর্বর বা অন্ধকারাচ্ছন্ন সমাজ বলে অবহিত করেছেন। স্বাভাবিক নিয়ম অনুসারে, পৃথিবীর সূচনা লগ্ন থেকে এই পর্যন্ত প্রত্যেকটা জাতিই তাদের পূর্বসূরিদের মাধ্যমে ইতিহাস-ঐতিহ্যের মতো মূল্যবান সম্পদ লাভ করে থাকে। বস্তুত প্রবীণগণ ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক হিসেবে কাজ করে থাকেন। আর এই ধারাবাহিকতা যুগ যুগ ধরে অব্যাহত। তাই শ্রদ্ধা ও ভক্তি প্রাপ্তির যোগ্য অধিকারী হিসেবে প্রবীণগণ সর্বদিক থেকেই বিবেচিত। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও প্রবীণদের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। প্রত্যেকটা ধর্মই তার অনুসারীদের প্রবীণদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভক্তির নির্দেশনা দিয়েছে। সর্বোপরি, পারিবারিক, সামাজিক ও জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রবীণদের অবদান অপরিসীম। পরিবার গঠন, উন্নয়ন ও সমাজ কল্যাণে কর্মময় জীবনের দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে এক সময়ে তারা বার্ধক্যে উপনীত হন। তখন প্রবীণদের সার্বিক কল্যাণ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং তাদের প্রতি পর্যাপ্ত সম্মান ও ভক্তি প্রদর্শন করা সমাজের নবীনদের আবশ্যিক কর্তব্য। ডেমরা, ঢাকা থেকে
×