ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বড়দের যত্ন নিন

প্রকাশিত: ২১:০৬, ১৪ অক্টোবর ২০২১

বড়দের যত্ন নিন

যেই মানুষটি শিশুকালে বড্ড অসহায় থাকে ঠিক সেই মানুষটিই আবার বৃদ্ধকালে বড্ড অসহায় হয়ে পড়ে। তখন অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাফেরা করতে খুব কষ্ট করতে হয়। আর তিনিই মধ্যবর্তী সময়টুকু সংসার উন্নত করার জন্য শ্রম দিয়ে থাকেন। আমাদের সমাজে দেখা যায় যে, যেই মানুষটি পরিবারের জন্য নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে থাকে, সেই মানুষটি বৃদ্ধকালে অবহেলার পাত্রে পরিণত হয়। বৃদ্ধ মানুষটিকে অনেক পরিবারের তাঁর সদস্যরা বোঝা মনে করে থাকে।কেননা তখন তিনি কর্মহীন হয়ে পড়ে। আগের মতো সংসারে টাকা পয়সা দিতে পারে না। এসব নেতিবাচক চিন্তা ছাড়তে হবে। যদি বৃদ্ধ মা- বাবা থেকে যে কোন একজন মারা যায়, তাহলে বেঁচে যাওয়ার মানুষটির প্রাণে আর সাহস সঞ্চার হয় না। তখন তাঁর লাঠি ও চশমা পথ চলার একমাত্র সম্বল। অনেক সময় দেখা যায় যে, পরিবারে অনেক সদস্যরা বৃদ্ধের দোষ চর্চা করে। এটা অনেক জঘন্য কাজ। অনেক পরিবারে দেখা যায়, বিয়ের পর সন্তান পৃথক হয়ে যায়। পৃথক হওয়াটা অন্যায় নয়। অন্যায় হয় পৃথক হওয়ার পর, মা বাবার ভরণ পোষণের দায়িত্বে অবহেলা করলে। প্রবীণের প্রতি আমার করণীয়-প্রথমত, প্রবীণের স্বাস্থ্যর প্রতি নজর রাখতে হবে। যেহেতু মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। ফলে সহজেই যে কোন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তখন বিশেষ করে ডায়বেটিস, শ্বাসকষ্ট, শরীরের দুর্বলতা, জ্বর ও কাশি নানান রোগে আক্রান্ত হবে। দ্বিতীয়ত, খাবারের অরুচি থাকবে। ফলে ওজন কমতে থাকে। তাই প্রবীণের সুষম খাবারে একটি তালিকা প্রয়োজন। যে খাবারগুলো খেলে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়বে এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা থাকবে। বৃদ্ধ বয়সে অনেক জিনিসই খেতে চাইবে তবে যথাসাধ্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা রাখতে হবে। তৃতীয়ত, প্রবীণের প্রতি অবহেলা করা যাবে না। তাঁদের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। পরিবারের সদস্যের মধ্যে একজন সব সময় পাশে থাকতে হবে। কেননা কোন সময় কি প্রয়োজন বা দুর্ঘটনা ঘটে তা বলা যায় না। তাচ্ছিল্যভরা ভাষায় কথা বলা যাবে না। সুনামগঞ্জ থেকে
×