স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ টেকনাফে শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যা ও শ্যালিকার হাত কেটে বিচ্ছিন্ন করার অপরাধে নিহতের মেয়ের জামাতাকে পৃথক ভাবে ৪০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ঈসমাইল। আজ বুধবার দুপুর ১২টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসামি শামসুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এই আদেশ দেন। শাশুড়িকে হত্যার দায়ে ৩০ বছর ও শ্যালিকা রমিজার হাত বিচ্ছিন্ন করে ফেলার অপরাধে ১০বছরসহ মোট ৪০বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি সিনিয়র আইনজীবী ফরিদুল আলম জনকণ্ঠকে বলেন, ২০১৩ সালের ১১ ডিসেম্বর দুপুরে টেকনাফ সদরের খোন্দকার পাড়ায় আবদুল গফুরের বাড়িতে ঢুকে তার মেয়ের জামাই আসামি শামসুল আলম শাশুড়ি হালিমার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। কিছু বুঝে উঠার আগেই দা নিয়ে শাশুড়ি হালিমা খাতুনকে কুপাতে থাকে। মায়ের চিৎকারে মেয়ে রমিজা খাতুন মা’কে উদ্ধারকল্পে এগিয়ে আসলে ধারালো দা’র কোপে রমিজার একটি হাত বিচ্ছিন্ন করে ফেলে আসামি শামসুল আলম। স্থানীয় পাড়া প্রতিবেশীরা মারাত্মক জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার হালিমাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহত হালিমার স্বামী আবদুল গফুর বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় হত্যা মামলা করেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: