ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ৭৫৬ প্রসূতির সন্তান প্রসব

প্রকাশিত: ২১:১৩, ১৩ অক্টোবর ২০২১

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ৭৫৬ প্রসূতির সন্তান প্রসব

নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ ॥ হবিগঞ্জ শহরে পুল এলাকায় জেলা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র অবস্থিত। এ কেন্দ্রের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যে কোন সময় এ ভবনটি ভেঙ্গে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঝুঁকির মধ্যেই দায়িত্বপ্রাপ্তরা মা ও শিশু এবং কিশোরীদের সেবা প্রদান করছেন। আর গত ৯ মাসে এ কেন্দ্রে নরমাল ডেলিভারি ৭৫৬টি ও সিজার হয়েছে ১০টি। জানা গেছে, ১৯৬৫ সালে ভবন নির্মাণ হওয়ার পর এ কেন্দ্রে সেবা শুরু হয়। শুরুতে ১০ শয্যায় মা ও শিশুর সেবা হয়ে আসছিল। পরবর্তীতে তৃণমূল মানুষের সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ ভবন সম্প্রসারণ করা হয়। ১৯৯২ সালের ৩০ ডিসেম্বর উদ্বোধন করা হয় সম্প্রসারিত ভবনের। পরে ১৯৯৫ সাল থেকে নরমাল ডেলিভারির পাশাপাশি সিজার সেবাও শুরু হয়। সেই সাথে নতুন করে যুক্ত হয় কিশোর-কিশোরীদের সেবা। বর্তমানে এ কেন্দ্র থেকে মা ও শিশুদের জন্য ১১ এবং পরিবার পরিকল্পনায় ৮ রকমের সেবা প্রদান করা হচ্ছে। সরেজমিনে গেছে- জেলা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। দেয়াল ও ছাদ থেকে প্লাস্টার খসে পড়া শুরু হয়েছে। ২য় তলার টয়লেটের ময়লা পানি নিচ তলার রোগীর রুমে এসে প্রবেশ করে। এতে দেখা দেয় দুর্গন্ধ। রাস্তা থেকে নিচু হওয়ায় বর্ষায় জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। তবে এ অবস্থায়ও রোগীদের যতœসহকারে সেবা প্রদান করছে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। কয়েক রোগীর সাথে কথা বলে জানা গেছে এ কেন্দ্র থেকে সেবা পাওয়া যাচ্ছে। তবে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় রোগীদের মাঝেও কিছুটা আতঙ্ক রয়েছে। দ্রুত এখানে নতুন একটি ভবন নির্মাণের জন্য তৃণমূল থেকে দাবি জানানো হয়েছে। কেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার (ক্লিনিক) ডাঃ আকলিমা তাহেরী জানান- চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত নরমাল ডেলিভারি ৭৫৬টি ও সিজার হয়েছে ১০টি। এছাড়া মা ও শিশু এবং কিশোরী সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ভবনের এ অবস্থার কথা জেলা অফিসে জানানো হয়েছে। হবিগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুর রহিম চৌধুরী বলেন- ভবনের সংস্কার ও নতুন ভবনের জন্য লিখিতভাবে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে জানানো হয়েছে। সংস্কারের বরাদ্দ দ্রুত আসার কথা। বরাদ্দ সাপেক্ষে পুরনো ভবন ভেঙ্গে নতুন ভবন করা হবে।
×