ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবি

টিসিবির ৩০ টাকা কেজির পেঁয়াজ কিনতে মধ্যবিত্তদের ভিড়

প্রকাশিত: ২১:০৫, ১২ অক্টোবর ২০২১

টিসিবির ৩০ টাকা কেজির পেঁয়াজ কিনতে মধ্যবিত্তদের ভিড়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টিসিবির ৩০ টাকা কেজির পেঁয়াজ কিনতে এবার মধ্যবিত্তদের ভীড় বাড়ছে। সরকারী বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার (টিসিবি) ট্রাকসেলের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে অন্যান্য নিত্যপণ্যও সংগ্রহ করছেন তারা। অনেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। ফিরে যাচ্ছেন পণ্য না নিয়েই। উর্ধমুখী বাজারে টিসিবি এখন ভরসা হয়ে উঠঠে। বাজারে জাত ও মানভেদে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে টিসিবি ভর্তুকি দিয়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৩০ টাকায় বিক্রি করছে। নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। দেশের বিভিন্ন স্থানে মানববন্দন ও বিক্ষোভ মিছিল করে ভোক্তারা এ দাবি জানাচ্ছেন। এতদিন প্রতি ট্রাকে ৩০০ থেকে ৫০০ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হলেও গত সোমবার থেকে প্রতি ট্রাকে ৭০০ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে সংস্থাটির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির জনকণ্ঠকে বলেন, তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেছে টিসিবি। সে কারণে বিক্রির পরিমাণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এই বরাদ্দের পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে। জনপ্রতি দুই থেকে চারকেজি করে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন ক্রেতারা। এছাড়া টিসিবির ট্রাক থেকে একজন ক্রেতা সাশ্রয়ী দামে সর্বোচ্চ দুই লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল, দুই কেজি চিনি ও দুই কেজি মসুর ডাল কিনতে পারছেন। সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১০০ টাকা এবং মসুর ডাল ও চিনি প্রতিকেজি ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নিত্যপণ্যের বাজারে দাম বেশি হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ ছুটছে টিসিবির পণ্য কিনতে। এবার সেই তালিকায় মধ্যবিত্তদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে থেকে টিসিবির পণ্য কিনতে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন একটি বেসরকারী ব্যাংকের তৃতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা নাজমুল হাসান। তিনি জানান, কিছুটা কম দামে পণ্য কিনতে তিনি লাইনে দাঁড়িয়েছেন। দ্রব্যমূল্য বাড়ায় কষ্টে আছে তার পরিবার। তার মতো আরও অনেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনছেন। এদিকে, গত কয়েক মাস ধরে চাল, ডাল, চিনি, পেঁয়াজ, ব্রয়লার মুরগি ও সবজির দাম চড়া থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করছে। তারা দ্রুত নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবি জানাচ্ছেন। ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। আয়-উপার্জনের তুলনায় ব্যয় বেশি হওয়ার কারণে অনেক পরিবার সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। এ অবস্থায় ভোগ্যপণ্যের দাম কমানোর উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে ভোগ্য ও নিত্যপণ্যের বাজার সিন্ডিকেট মুক্ত করার উপর জোর দেয়া হয়েছে। পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল ও চালসহ নিত্যপণ্য বাড়ার পেছনে অবৈধভাবে পণ্যের মজুতকারী ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেট চক্র দায়ী বলে অভিযোগ রয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নিত্যপণ্য আমদানিকারক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জরুরি কয়েকটি বৈঠক করা হলেও তাতে সুফল মেলেনি। ব্যবসায়ীরা কথা দিয়ে কথা রাখছে না। এ কারণে নিত্যপণ্যের বাজার বেসামাল হয়ে উঠছে বলে জানা গেছে।
×