ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পরিস্থিতি সরকারের তীক্ষ পর্যবেক্ষণে

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করোনা নিয়ে আতঙ্কের কারণ নেই

প্রকাশিত: ২৩:৩০, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করোনা নিয়ে আতঙ্কের কারণ নেই

কাওসার রহমান ‌॥ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার খবরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। এ বিষয়ে সরকারও উদ্বিগ্ন। শিক্ষার্থীদের করোনা আক্রান্তের বিষয়টি সরকার তীক্ষè পর্যবেক্ষণে রাখছে। যাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসার কারণে একজন থেকে আরেকজনের সংস্পর্শে এসেই কেউ সংক্রমিত না হয়। এ কারণে শ্রেণী পাঠদানে আরেকটি বিষয় যুক্ত করার পরিকল্পনা নেয়া হলেও তা আপাতত হচ্ছে না। সংক্রমণ হার এখনও কম থাকায় কোন শিক্ষার্থী আক্রান্ত হলেও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে না। এছাড়া প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের এখনই ক্লাস করার অনুমতি দেবে না সরকার। তাদের আপাতত বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা করতে হবে। তিন সপ্তাহ পার হলে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর মনে করছে, কয়েকজন শিক্ষার্থীর সংক্রমিত হওয়ার খবরে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে। তবে নতুন করে আর ক্লাস যুক্ত হচ্ছে না। সংক্রমণের হার এখনও এতটাই কম যে, প্রতিষ্ঠান বন্ধের প্রয়োজন নেই। লক্ষণ দেখা দিলে আইসোলেশনে নেয়া হচ্ছে। অন্য শিক্ষার্থীদের করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে। তাই প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে না। জানা যায়, করোনা (কোভিড-১৯) সংক্রমণের গতি কিছুটা নিম্নমুখী হওয়ায় সরকার অক্টোবর থেকে দেশের সব স্কুল-কলেজে স্বাভাবিক ক্লাস কার্যক্রম শুরুর চিন্তাভাবনা করছিল। এই অবস্থায় দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কিছু শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবরে সরকার বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবছে। এজন্য বুধবার দুই মন্ত্রণালয়ের (শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের) বৈঠক ডাকা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির সভাপত্বিতে এতে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের দুই সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ও একই মন্ত্রণালয়ের সচিবের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। বৈঠকে করোনার বর্তমান অবস্থা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সংক্রমণ এবং স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম কীভাবে নিয়মিত করা সম্ভব, সেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। গৃহীত সিদ্ধান্তে জাতীয় পরামর্শক কমিটি সম্মতি দিলে তা বাস্তবায়ন করা হবে। গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণীকক্ষে আংশিক পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। স্কুল-কলেজগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান চলছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয়েরও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের দুই জেলার স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তবে স্থানীয় প্রশাসন ও শিক্ষা কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের করোনায় সংক্রমিত হওয়ার সঙ্গে স্কুলে আসা যাওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। ঠাকুরগাঁও ও মানিকগঞ্জে কয়েকটি স্কুল মিলিয়ে মোট ১৪ শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সামাজিক মাধ্যমেও বিভিন্ন স্কুলে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের দাবি করেছে শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলছেন, সামাজিক মাধ্যমে অনেকে বিভিন্ন স্কুলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য দিলেও বাস্তবে অনুসন্ধান করে তার সত্যতা পাওয়া যায়নি। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিটি ঘটনা আমলে নিয়ে সরকার তদন্ত করে দেখছে। কেউ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগও গ্রহণ করেছেন তারা। সর্বশেষ গত শনিবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, আমরা অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি। এখনও অতিমারী শেষ হয়নি। যে কেউ যে কোন সময় আক্রান্ত হতে পারেন। মহামারী বড় আকার ধারণ করলে আবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হবে। তবে এখনও কোথাও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। সে রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে আমরা ব্যবস্থা নেব। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে আমরা কোন দ্বিধা করব না। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রসঙ্গে তিন বলেছেন, ‘প্রাক-প্রাথমিকের বাচ্চাদের আমরা এ মুহূর্তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনতে চাচ্ছি না। তারা আপাতত বাড়িতেই থাকুক। তিন সপ্তাহ পার হোক, তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব কী করা যায়।’ দেড় বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের স্কুল -কলেজ খুলে দেয়া হয়েছে। তবে দেশে এখনও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। যদিও সংক্রমণের হার নেমে এসেছে ৪.৫৪ শতাংশে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ লাখ মানুষ কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। উত্তরাঞ্চলের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে দুইটি আলাদা স্কুলের ১৩ জন শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এরা সবাই চতুর্থ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তবে পৃথক প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করলেও জেলার সরকারী শিশু সদনে তারা একসঙ্গেই থাকে। কয়েকটি শিশুর মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখার পর তাদের পরীক্ষা করানো হলে পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তখন ওই শিশু সদনের অন্য শিক্ষার্থীদেরও পরীক্ষা করে দেখা হয়। সতর্কতা হিসেবে এসব শ্রেণীর পাঠদান দুইদিন বন্ধ করে রাখা হয়। ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন মাহফুজার রহমান সরকার জানিয়েছেন, কীভাবে এই ১৩ জন আক্রান্ত হয়েছে, সেটা বোঝা যাচ্ছে না। হয়তো তাদের এক বা দুইজন আগে আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু সবাই একই শিশু সদনে থাকার কারণে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি জানান, পরবর্তীতে এসব শিক্ষার্থীর শ্রেণীর অন্যদের পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে, তাদের কারও মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি। এই শিক্ষার্থীদের আলাদা করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে মানিকগঞ্জে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়ায় গত বুধবার অষ্টম শ্রেণীর এরকম এক শিক্ষার্থীকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পরে মৃত্যু হয়। এই শিক্ষার্থী সর্বশেষ ১৫ সেপ্টেম্বর শ্রেণীতে এসেছিল বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে তার মৃত্যু হলেও পরীক্ষা না করানোয় আসলে তার কোভিড-১৯ ছিল কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। শনিবার তার শ্রেণীর অপর শিক্ষার্থীদের নমুনাও পরীক্ষা করানো হয়েছে। আগের সপ্তাহে একই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর করোনাভাইরাস শনাক্ত হলে পাঠদান বন্ধ রেখে ওই শ্রেণীর ৫৮ জন শিক্ষার্থীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তবে তাদের কারও পজিটিভ ধরা পড়েনি। ফলে বৃহস্পতিবার থেকে আবার সেখানে পাঠদান শুরু হয়েছে। সর্বশেষ, রবিবার বগুড়া জেলা স্কুলের তিন শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত বলে জানা গেছে। পঞ্চম শ্রেণীর একজন এবং দশম শ্রেণীর দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা এই তথ্য জানিয়েছেন। এ ছাড়াও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী করোনা উপসর্গের কারণে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত আছে। করোনা পজিটিভ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সংক্রমণ যাতে অন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে না ছড়ায়, এ জন্য বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, বিচ্ছিন্নভাবে দু-একজন আক্রান্ত হলেও এখনও আশঙ্কা করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে ছড়ানোর কোন আশঙ্কা নেই। শিক্ষার্থীদের করোনায় আক্রান্তের খবরটিকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে করোনাভাইরাস পাওয়ার খবর পাওয়া মাত্রই আমরা নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছি। অন্য শিক্ষার্থী কারও মধ্যে কোন উপসর্গ আছে কিনা সেদিকেও নিয়মিত নজর রাখা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, অক্টোবর থেকে স্বাভাবিক ক্লাস শুরুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহ থেকে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর সপ্তাহে একদিনের পরিবর্তে দুদিন করে ক্লাস নিতে বলা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। এক্ষেত্রে জাতীয় পরামর্শক কমিটির মতামত আমরা পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করব। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদেরও অক্টোবর মাসের শুরু থেকে সপ্তাহে একদিনের পরিবর্তে তিন-চারদিন করে ক্লাস শুরু করা হতে পারে। ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণীর সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন তিন থেকে চারটি বিষয়ে আর অষ্টম-নবম শ্রেণীর সপ্তাহে চার-পাঁচ দিন, প্রতিদিন তিন থেকে চারটি বিষয়ের ক্লাস নেয়া হতে পারে। ক্লাসের সংখ্যা না বাড়ালে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সিলেবাস শেষ করা সম্ভব হবে না, এ বিষয়টিও চিন্তাভাবনায় রাখা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দীর্ঘ ১৭ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ধাপে ধাপে ক্লাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর বলছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণী পাঠদান শুরুর পর কয়েক দিনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় কয়েকজন শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ কারণে শ্রেণী পাঠদানে আরেকটি বিষয় যুক্ত করার পরিকল্পনা নেয়া হলেও তা আপাতত হচ্ছে না। তবে সংক্রমণ হার এখনও কম থাকায় কোন শিক্ষার্থী আক্রান্ত হলেও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে না। এ প্রসঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোঃ গোলাম ফারুক গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, দেশে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী এক কোটি ৫ লাখের মতো। কয়েকজন শিক্ষার্থীর সংক্রমিত হওয়ার খবর পাচ্ছি। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে। তবে নতুন করে আর ক্লাস যুক্ত হচ্ছে না। সংক্রমণের হার এখনও এতটাই কম যে, প্রতিষ্ঠান বন্ধের প্রয়োজন নেই। লক্ষণ দেখা দিলে আইসোলেশনে নেয়া হচ্ছে। অন্য শিক্ষার্থীদের করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে। তাই প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে না। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করতে একটি গাইডলাইন জারি হয়েছে। কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশের আলোকে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) তৈরি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। ওই এসওপিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমিয়ে শ্রেণী কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ‘করণীয়’ ও ‘বর্জনীয়’ সম্পর্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কর্মচারীদের সুস্পষ্ট ধারণা দেয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থানকালে সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট সবার মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। এদের কারও কোডিড-১৯ এর লক্ষণ দেখা গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের জন্য আসন বিন্যাস করা হচ্ছে। শিক্ষক-কর্মচারীর বেশিরভাগের কোভিড-১৯ এর টিকা দেয়া হয়েছে। আইসোলেশনে থাকা শিক্ষার্থীদের উপস্থিত গণ্য করে ১৪ দিন বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতির তথ্য নিয়মিত সংগ্রহ করা হচ্ছে। শিক্ষকরাও এসওপির নির্দেশনা অনুসরণ করে ব্যবস্থা নেবেন। হাঁচিকাশির শিষ্টাচার নিজে পালন করবেন ও শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করবেন। কোন শিক্ষক ক্লাস শেষে পরের শিক্ষক না আসা পর্যন্ত শ্রেণীকক্ষ ত্যাগ করবেন না। জানা যায়, অভিভাবকদের প্রসঙ্গেও এসওপিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, শিক্ষকরা অভিভাবকদের এ ব্যাপারে সচেতন করেছেন, করছেন। সন্তানকে মাস্ক পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো নিশ্চিত করতে হবে অভিভাবককে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার জন্য সন্তানকে উৎসাহিত করতে হবে এবং সন্তানকে নিজ স্বাস্থ্য সম্পর্কে (পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা) সচেতন করবেন অভিভাবক। প্রতিষ্ঠানে সঠিক সময়ে পাঠানো ও বাসায় ফেরা নিশ্চিত করাতে হবে অভিভাবকদের। সন্তান অথবা পরিবারের কোন সদস্য কোভিড আক্রান্ত হলে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে অবিলম্বে জানাবেন অভিভাবকরা। প্রতিষ্ঠানের নির্দেশনা সন্তান ও অভিভাবক সবাইকেই অনুসরণ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। আমাদের একার পক্ষে শিক্ষার্থীর ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
×