ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

‘পুলিশি হয়রানি’ বন্ধসহ ৬ দফা দাবি বাইকারদের

প্রকাশিত: ১৬:০৬, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

‘পুলিশি হয়রানি’ বন্ধসহ ৬ দফা দাবি বাইকারদের

অনলাইন রিপোর্টার ॥ রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলোর অতিরিক্ত কমিশন আদায় ও ‘পুলিশি হয়রানি’র প্রতিবাদে ৬ দফা দাবি আদায়ে সারাদেশে কর্মবিরতি পালনের ডাক দিয়েছে অ্যাপভিত্তিক ড্রাইভারস ইউনিয়ন অব বাংলাদেশ (ডিআরডিইউ)। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কর্মবিরতি পালন ও মানববন্ধন পালন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে ট্রাফিক পুলিশের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় নিজের মোটরসাইকেলে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন এক চালক। বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচনা শুরু হয়। গতকালই বাইকারদের এই সংগঠনের কর্মবিরতির খবর জানা যায়। তবে আয়োজকরা বলছেন, এটি শুধু বাংলাদেশের আন্দোলন নয়। লন্ডনের অ্যাপভিত্তিক ড্রাইভারস ক্যারিয়ার ইউনিয়ন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ ছাড়াও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। আন্দোলনে ছয় দফা দাবি করা হয়েছে। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমেদ জানিয়েছেন, গত ১৪ সেপ্টেম্বর আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করি। আমাদের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলো অতিরিক্ত কমিশন নিচ্ছে। যার ফলে আমাদের তেমন একটা লাভ থাকে না। এছাড়া রাস্তাঘাটে পুলিশ হয়রানি করে। আজ মঙ্গলবার সকালে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আধুনিক অ্যাপ নির্ভর ‘রাইড শেয়ার’ পরিষেবা দিনদিন ব্যাপক বাণিজ্যক রূপ ধারণ করছে। কিন্তু রাইড শেয়ারিং পরিচালনাকারী কোম্পানিগুলো চালকদের কাছ থেকে বিভিন্ন রকম কমিশন কর্তন করে নেয়। তারা অভিযোগ করেন, গাড়ি, জ্বালানি ও শ্রমের বিনিময়ে যে টাকা পাওয়া যায়, তা থেকে কোম্পানিগুলো ২৫ শতাংশেরও বেশি কমিশন কেটে নিচ্ছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকরা প্রেমেন্ট করায় ভাড়া হিসেবে কত থাকছে কিংবা কত শতাংশ কোম্পানি কেটে নিচ্ছে তাও আমরা জানি না। এত কিছুর পর আমাদের পারিশ্রমিক আর কত থাকে? তার ওপর বিনা অজুহাতে অ্যাপ বন্ধ করে আমাদের কর্মহীন করছে। এছাড়াও রাস্তায় বের হলেই বিভিন্ন রকম পুলিশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন বক্তারা। তারা বলেন, আমাদের নির্দিষ্ট কোনও পার্কিং নেই। কোথাও দাঁড়াতে দেখলেই ট্রাফিক পুলিশ এমন জরিমানা করে যা আমরা ৭ দিনেও আয় করতে পারি না। মাস শেষে ধার-দেনা করে গাড়ির মেরামতের কাজ করাতে হচ্ছে, আর বছর শেষে তুলতে হচ্ছে লোন। তার উপর সরকার রাইড-শেয়ারিং এনলিস্টকৃত যানবাহনগুলোর উপর অগ্রীম ইনকাম ট্যাক্স (AIT) চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। অ্যাপ নির্ভর চালকদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে কর্ম সময়ের মূল্য দেওয়ার আহ্বান জানান মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা। তারা দাবি করেন, সকল প্রকার রাইডে কমিশন ১০ শতাংশ নির্ধারণ করতে হবে এবং মিথ্যা অজুহাতে কর্মহীন করা যাবে না। রাইড শেয়ারিং-এর যানবাহনের পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। সকল ধরনের পুলিশি হয়রানি বন্ধ করতে হবে। রাইড শেয়ারকারী যানবাহনগুলোকে অগ্রীম ইনকাম ট্যাক্স (AIT) মুক্ত রাখতে হবে।
×