ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বনেতা শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: ২৩:৩৬, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিশ্বনেতা শেখ হাসিনা

মোয়াজ্জেমুল হক ॥ কঠিনেরে ভালবেসেছেন। অশুভ শক্তির আতঙ্ক তিনি। অদম্য বাঙালী জাতির নেত্রী। হয়েছেন বিশ্ববরেণ্য নেতা। অসীমের স্পন্দন। গণতন্ত্রের দীপশিখা। দুর্মর, দুর্বার। অনির্বাণ বহ্নিশিখা। দূরদর্শী, আত্মবিশ্বাসী, দেশপ্রেমে উচ্চকিত, বীরত্বব্যঞ্জক কিংবদন্তি। তিনি ধর্মপ্রাণ তবে সেক্যুলার। তিনি জাতীয় বেদনার প্রতীক। জনগণমননন্দিত। মাদার অব হিউম্যানিটি। তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নয়নের মণি, জাতির অহঙ্কার, গণতন্ত্রের মানসকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা। গণতান্ত্রিক সংগ্রামী এ নেতার হাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মশাল জ্বলছে অনির্বাণ। ‘শেখ হাসিনা দ্য গ্রেট লিডার।’ সফল রাষ্ট্রনায়ক। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের চারবারের প্রধানমন্ত্রী। চারবারের বিরোধী দলীয় নেত্রীও। আজ তাঁর ৭৫তম জন্মদিন। শুভ জন্মদিনে আরও দীর্ঘ জীবন কামনা। বেঁচে থাকুন সারাটি জীবন জাতির হৃদয়ের মনিকোঠায়। তাঁর ধমনীতে বঙ্গবন্ধুর রক্ত প্রবাহমান। দেশকে উন্নয়নের সোপানে নিয়ে যেতে এগিয়ে চলেছেন। ঘড়ি যেন তার সঙ্গে তাল মেলাতে পারে না। নদীমাতৃক এ বাংলাদেশের মধুমতি বিধৌত গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় কয়েক প্রজন্ম থেকে বাস করে আসা ঐতিহ্যবাহী শেখ পরিবারে তাঁর জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর। সাতচল্লিশেই ব্রিটিশ শাসনের কবল থেকে মুক্ত হলো ভারতবর্ষ। দু’ভাগ হলো। ১৪ আগস্ট পাকিস্তান, ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীনতা পেল। পাকিস্তান এমনভাবে সৃষ্টি হলো বহু দুরত্বের ব্যবধানের দু’অঞ্চল নিয়ে। একটি পূর্ব ও অপরটি পশ্চিম পাকিস্তান। ব্রিটিশদের কূটচাল ও নীলনকশায় স্যার র‌্যাডক্লিফের আয়োজনে সম্পন্ন হলো এ কাজ। পূর্ব পাকিস্তানেই শেখ হাসিনার পারিবারিক আদি নিবাস। সেটা তৎকালীন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া। এই টুঙ্গিপাড়ার শেখ পরিবারে জন্ম নিয়েছেন পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর ঔরসে জন্ম শেখ হাসিনার। পাকিস্তান সৃষ্টির ৪৬ দিনের মাথায় বঙ্গমাতার কোলজুড়ে প্রথম সন্তানরূপে আসেন তিনি। নাম রাখা হয় হাসিনা। পুরো নাম শেখ হাসিনা। আর আদুরে নাম হয় হাসু। হাঁটি হাঁটি পা-পা করে বেড়ে উঠতে থাকেন হাসু। প্রজাপতির মতো উড়ে বেড়াতেন এখান থেকে ওখানে। কালের পরিক্রমায় এই হাসুই হন এ দেশের জননন্দিত নেত্রী। কারণ বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে এ দেশের ভবিষ্যত নেতৃত্ব ভাগ্যবিধাতা হয়ত এভাবেই নির্ধারণ করে রেখেছিলেন। রাজনীতিতে শেখ হাসিনার অভিষেক ঘটে। এ বাংলায় মুজিবেরই যেন পুনরুত্থান ঘটলো। রাজনীতিক পিতার কর্মকাণ্ড দেখেছেন। প্রত্যক্ষ করেছেন পিতার ওপর জেল জুলুম ও বার বার কারা অন্তরীণ হওয়ার ঘটনাবলী। ঠেকে ঠেকে শিখেছেন রাজনীতি। দীক্ষা লাভ করেছেন। কৈশোরেই ছাত্র রাজনীতি তাঁকে আকৃষ্ট করে। ১৯৬২ সালে ১৫ বছর বয়সে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের মিছিলে অংশ নেন। ৬৬-তে তিনি বেগম বদরুন্নেছা কলেজের সহ-সভানেত্রী নির্বাচিত হন। ’৬৯-এর গণআন্দোলনেও তিনি সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাজনীতিক বানানোর কোন স্বপ্ন যেমন পিতার ছিল না, তেমনি হওয়ার স্বপ্নও ছিলনা কন্যার। পারিবারিক বিপর্যয়ের অদৃষ্টই তাকে মূলধারার রাজনীতিতে টেনে এনেছে। জন্মের পরই যেন বিধাতা তাঁকে নির্ধারণ করে দিয়েছেন এ জাতির ভাগ্য বদলানোর নেতৃত্বদানের জন্যই। যা ছিল দুঃসহ বেদনার বালুচরে নিবিষ্ট। তবে সাহসে বলীয়ানে ও আত্মপ্রত্যয়ে। বয়স যখন ৭, তখন বাবা-মার সঙ্গে তাঁর ঢাকায় চলে আসা। শিশুকাল, কৈশোর, যৌবন, সঙ্গে শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করেছেন অদম্যস্পৃহা নিয়ে। বেলা গড়িয়েছে বহু। তবু এত বয়সেও তিনি সতেজ। ঢাকায় বসবাস হলেও মধুমতির সঙ্গে তাঁর রয়েছে নাড়ির টান। তিনি যে টুঙ্গিপাড়ার মাটির নাড়িছেড়া ধন। বঙ্গবন্ধুর সমাধিও সেখানে। এটি নান্দনিক সৌন্দর্যমণ্ডিত একটি কমপ্লেক্সও বটে। ১৯৬৮ সালে পারিবারিক সিদ্ধান্তে দেশের বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনার বিয়ে হয়। তিনি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। শুরু হয় নতুন জীবন। অর্থাৎ নিজের সংসার। এক পর্যায়ে চলে যান স্বামীর সঙ্গে ইউরোপে। দেশ-বিদেশে ২৭ বছর পর্যন্ত অজানা জীবন পাড়ি দিয়ে ধ্বংস আর রক্ত সমুদ্রকেই তিনি আলিঙ্গন করলেন। বাবা মা, তিন ভাই, দুই ভাবিসহ নিকট আত্মীয়ের জীবন গেল হিংস্র ঘাতকের বুলেটে। বিদেশে থাকার কারণে তিনি ও তাঁর প্রাণপ্রিয় ছোট বোন শেখ রেহানা বেঁচে যান। টানা ৬ বছর ছিলেন প্রবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ের নির্বাসনে। পরিবার হারানোর দহনের সঙ্গে তিনি ছিলেন রীতিমতো বিধ্বস্ত। তবুও ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরলেন সাহসে, অমিত বিক্রমে। পিতার দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহণ করলেন। দল পুনর্গঠন কাজের প্রক্রিয়ায় শুরু হলো তাঁর রাজনৈতিক জীবনের নতুন অধ্যায়। পরিস্থিতি সামলে নিতে পেরেছেন হয়তো রাজনীতি প্রভাবিত পরিবার থেকে আসার কারণে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ঘটনার পর দায়িত্ব নিয়ে পিতার দলকে এগিয়ে নিতে নির্জীব জগদ্দল পাথর নাড়িয়েছেন। দলকে পুনরুজ্জীবিত করেছেন। অপ্রত্যাশিত, অসহনীয়, অচিন্তনীয় ৩২ নম্বরের বিভীষিকাময় ঘটনা তাকে কাঁদিয়েই যাচ্ছে বটে, তবে অনুপ্রেরণাও জুগিয়ে চলেছে। দিন যতই গড়াচ্ছে এমন বিয়োগান্তক ঘটনার শোক তাঁর হাতকে কেবলি শক্তিশালী করছে। দলে যেমন অপ্রতিদ্ব›দ্বী, সরকারে থেকে দেশের কল্যাণেও নিবেদিত প্রাণ। ১৫ আগস্ট ইতিহাসের নৃশংস হত্যাযজ্ঞের পরের ইতিহাস তাঁর কেবলি আত্মত্যাগ ও আত্মোৎসর্গের। প্রতিমুহ‚র্ত ঘাতকের বুলেট তাঁকেও তাড়া করে বেড়ায়। তবুও তিনি ক্লান্তিহীন, বিরামহীন। দেশ ও জাতির ভাগ্য বদলানোর স্বপ্ন বাস্তবায়নে চষে বেড়ান প্রত্যন্ত এলাকা পর্যন্ত। ফলশ্রæতিতে এসেছে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিজয়। ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ বাঙালীর সম্মান বিশ্ব দরবারে উঁচুতে দাঁড় করানোর সংগ্রামে রয়েছেন নিয়ত। বদলে ফেলেছেন রাজনীতির দৃশ্যপট। আমূল পরিবর্তন এনেছেন প্রশাসনিক কাঠামোতে। ফলে বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। দারিদ্র্য, খরা, মঙ্গাপীড়িত এক সময়ের এ দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এ দেশ শুধু বৈদেশিক ঋণ নেয় না, বিদেশী রাষ্ট্রকে ঋণ দিয়েও রেকর্ড গড়েছে। এসবের সফল রূপকার তো নেত্রী শেখ হাসিনা। অত্যন্ত সাদামাটা জীবনযাপন। রাজপ্রাসাদের পরিবেশে গড়া ভবনে থেকেও তিনি সাধারণ এক বাঙালী নারী। তিনি ব্যক্তিত্ববান। তাঁর মাঝে রয়েছে স্নিগ্ধতা ও কোমলতা। এ যেন বঙ্গমাতারও প্রতিচ্ছবি। তিনিতো জাতির পিতার বিশুদ্ধ রক্তের উত্তরাধিকার। আনন্দ-বেদনার মূর্ত প্রতীক। যে মহামানব এ দেশকে নিয়ে একরাশ স্বপ্ন দেখেছিলেন, তিনি তাঁর সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে চলেছেন একে একে প্রতিনিয়ত নিরলস সংগ্রামের মাধ্যমে। গণতান্ত্রিক সংগ্রামী নেতা শেখ হাসিনা সংহত ও আত্মবিশ্বাসী। তাঁর অনেক কথা দেশী-বিদেশী মিডিয়ায় হরহামেশা প্রচার হয়। বলা হয় তাঁর জীবনের ট্র্যাজেডির কথাও। মানুষ অবহিত হন। এসব কথার মধ্যে প্রধান একটি বিষয় প্রনিধানযোগ্য। তাঁর প্রধান একটি বক্তব্য হচ্ছে, ‘আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, আমার কী চাওয়ার আছে?’ আসলেই কথাটি সত্য। বিশ্বাস ও নির্ভরতার কারণে জনগণ তাঁর মাঝে বঙ্গবন্ধুকে খুঁজে বেড়ায়। বাল্যজীবনের স্মৃতি নিয়ে ‘স্মৃতির দখিন দুয়ার’ রচনা করেছেন তিনি। লিখেছেন বই, প্রবন্ধ, নিবন্ধ। এসব রচনায় তাঁর বক্তব্যে এসেছে ‘রাজনীতিতে মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে’। তাঁর অন্যতম গুন তিনি একরৈখিক নন। তিনি জনমানুষের কথা শোনেন ঔৎসুক্য নিয়ে। মহান সংসদেও সংসদ নেত্রী হিসেবে সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের উত্তর সরাসরি নিজে দেয়ার প্রক্রিয়া তিনিই চালু করেন। তাইতো সকৃতজ্ঞ জাতি তাকে বার বার সরকার পরিচালনার মুকুটটি উপহার দিয়ে চলেছে। তিনি আঁধার বিদীর্নের নেত্রী। বাঙালী জাতির মূল ধারার পতাকা উড্ডীন তাঁর হাতে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার জন্য যারা সরাসরি সক্রিয় ছিল তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। ইতিহাস তাদের ক্ষমা করেনি। তাঁর দল ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। দেশপ্রেমী একজন বাঙালীও যতদিন বেঁচে থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার জয়গান গেয়েই যাবে। এটাই চিরসত্য। বঙ্গবন্ধুর মাঝে বাঙালী যখন হারিয়ে যায়, তখন শেখ হাসিনার অবয়বই ভেসে বেড়ায়। তাঁর একমাত্র আরাধ্য বিষয় পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা। শত উন্মাতাল পরিস্থিতি মোকাবেলা করেই যাচ্ছেন জবাবদিহীতার রণে। ‘মানি ইজ নো প্রোবলেম’ শ্লোগান নিয়ে যারা অবৈধ পথে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় তাদের প্রেতাত্মা আজ শুনতে পায়, দেখতে পায় দেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে নিয়ে যাওয়ার কারিগর কে? শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তো জনগণের ভাগ্য বদলে যাচ্ছে। উন্নয়নের ছোঁয়ায় দেশের প্রতিটি অঞ্চলের চিত্র পাল্টাচ্ছে সর্বক্ষেত্রে। এ চিত্র দেখছে বিশ্ব। তাদের মুখেই গীত হচ্ছে জননেত্রীর জয়গান। বলতে বাধ্য হচ্ছে শেখ হাসিনা বিশ্ববরণ্যে নেতা। যারা তাঁকে সপাট করতে চেয়েছিল, তারাই সপাট হয়ে গেছে। বর্তমান বাংলাদেশের প্রায় ১৭ কোটি মানুষের স্বপ্ন, দেশপ্রেমী, জননন্দিত, রাষ্ট্রনায়কোচিত প্রজ্ঞার অধিকারী এই নেত্রীর চোখে। বাঙালী জাতি তাঁর ভেতরেই হারিয়ে থাকে সর্বদা। তাই তার ললাটের লিখনই হয়েছে নিরলস সংগ্রামের দুর্গম পথ পাড়ি দেয়া। নিঃসঙ্কচিত্তের অধিকারি তিনি। মাত্র ৩৩ বছর বয়সে এ দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলটির হাল ধরে এগিয়ে চলেছেন। চলতে চলতে আজ জীবনের ৭৪টি বছর সম্পন্ন করলেন। চলার প্রক্রিয়ায় তাঁর সাফল্যের ভান্ডার কেবলি সমৃদ্ধ হচ্ছে। আলোকিত হচ্ছে দেশ। মর্যাদার আসনে বিশ্বজুড়ে অভিষিক্ত হয়েছে রবীন্দ্র-নজরুলের সম্প্রীতির এ বাংলা, বাঙালী জাতি। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের বর্তমান ও ভবিষ্যত বাতিঘর। একক ও একচেটিয়ার আগ্রাসন থেকে তিনি জাতির জন্য মোবাইল ফোন প্রযুক্তির বাজার উন্মুক্ত করেছেন। এক সময়ে বিত্তবানদের অহংকারের এ ফোন এখন কৃষক মজদুর পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছেছে। বেসরকারী খাতেও টিভি চ্যানেল দিয়েছেন অসংখ্য। তথ্যপ্রযুক্তি সহজলভ্য করেছেন। ফলে দেশ হয়েছে ডিজিটালাইজড। মানুষের হাতে হাতে মোবাইল ফোন, ঘরে ঘরে কম্পিউটার, ইন্টারনেট। তথ্যের মহাসড়কে আজ এ জাতি। তাঁর নেতৃত্বে সম্পাদিত হয়েছে ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তি, গঙ্গার পানি চুক্তি। একুশে ফেব্রæয়ারি হয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। সরকারের একক অর্থে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পথে স্বপ্নের পদ্মাসেতু। যা এখন দৃশ্যমান। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কর্ণফুলির তলদেশ দিয়ে প্রথম টানেল নির্মাণ কাজ তাঁর সরকারেরই চ্যালেঞ্জিং স্বপ্নের ফসল। রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামে নির্মিত হয়েছে বহু ফ্লাইওভার। হচ্ছে মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ট্রান্স এশিয়ান রেল লাইনও রোড নেটওয়ার্ক, পদ্মাসেতু ছাড়াও গভীর সমুদ্রবন্দর, মহাকাশে ‘বঙ্গবন্ধু উপগ্রহ’ উৎক্ষেপণ, প্রতিবেশী দুদেশের সঙ্গে বিরোধের মামলা নিয়ে সমুদ্র বিজয়, ছিটমহল বিনিময়, বিদেশে ৫০ বছর পর্যন্ত গ্যাস রফতানি না করার ঘোষণা তাঁর সাফল্যগাথা। যা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে। বিষ্ময়কর সব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে তারই চিন্তাধারা ও অনুমোদনে। আর ‘গ্রাম হবে শহর‘ তাঁর সরকারেরই সেøাগান। শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় এসেছে দেশ। গৃহহীনদের ঘর দিচ্ছেন, বিধবা ও বয়স্কদের ভাতা প্রদান করছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং গুণীজনদের একের পর এক সম্মাননা দিয়ে চলেছেন। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার দুস্থদের আর্থিক বরাদ্দ দিচ্ছেন। সরকারী কোষাগারে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সমৃদ্ধ করেই চলেছেন। তিনি তো সেই নেত্রী, যিনি নিজের প্রাপ্য অধিকার, আরাম-আয়েশ পরিহার করে শুধু জনগণ ও দেশের উন্নয়নে ব্রত রয়েছেন। শত বাধায়ও কোন পরোয়া নেই। মাথা নোয়ানোর বিষয়টি চিন্তারও বাইরে। তাই কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য্যরে ‘দুর্মর’ কবিতাটির প্রথম কটি লাইন- ‘সাবাস বাংলাদেশ, পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়, জ্বলে পুড়ে ছারখার, তবু মাথা নোয়াবার নয়’- উচ্চারণ করতে হয়। পিতার পরে তিনিইতো সেটা প্রমাণ করে চলেছেন। শতবাধায়ও মাথা নোয়াননি বঙ্গবন্ধু। কন্যা হাসিনাও সে পথ অনুসরণে সজাগ, সদা তৎপর। জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেশকে ছারখার করার শত দুষ্কর্মেও অনঢ় থেকেছেন। তাঁর পথচলার অভিধানে মাথা নোয়ানোর বিষয়টি যে নেই। পিতা বঙ্গবন্ধুর পর তিনিই তো জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিয়ে আবার রেকর্ড গড়লেন। এবারের ৭৬তম অধিবেশনেও বক্তব্য দিলেন বাংলায়। তিনি যে আগুনে পোড়া খাঁটি সোনা। মাইনাস ফর্মূলা নিয়ে তাঁকে রাজনীতি থেকে বিদায়ের অপচেষ্টা চলেছে। কিন্তু তিনি ছিলেন অবিচল অবস্থানে। তাই ঐ ফর্মূলাও ব্যর্থ হয়েছে। বিষ্ময়কর হলেও সত্য এ বিশাল বাংলায় এ জননেত্রীর নিজস্ব কোন বাড়িঘর নেই। টুঙ্গিপাড়ায় আছে বাপ-দাদার বাড়ি। ঢাকার ৩২ নম্বরে পিতার বাড়িটি দান করে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘বঙ্গবন্ধু জাদুঘর’। সুধাসদন নামের ভবনটি প্রয়াত স্বামী ওয়াজেদ মিয়ার। ফলে আবারও ফিল্মে গীত একটি গান তাঁর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সেটা হচ্ছে, ‘বিক্রমপুরে বাপের বাড়ি, ছিল একদিন পদ্মার পাড়, মামার বাড়ি মধুপুরে নিজের বাড়ি নাই আমার’। আসলেই তিনি নিজ নামে এ ভূখন্ডে কোন জমিজমা বা বাড়িঘর করেননি। অথচ কি করতে পারেন না এ নেত্রী। অঢেল অর্থ, দেশে-বিদেশে বাড়ি-গাড়ি, ব্যাংক ব্যালান্স, আরও কত কি? কিন্তু কি করেছেন? যা করেছেন কোটি কোটি বাঙালীর হৃদয় মন জয়ের জন্য। দু’বেলা দু’মুঠো খাওয়ার ব্যবস্থার জন্য নিরলস সংগ্রাম। তিনি নির্লোভ ও নির্মোহ। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর বিদেশীদের কেউ কেউ সুস্পষ্টভাবে বলেছে, ‘তোমরা অসভ্য, তোমরা বর্বর’- এমন প্রশ্নের কি জবাব আছে বাঙালী জাতির কাছে? উত্তরতো নেই। এরপরও তাঁর মাঝে প্রতিশোধ পরায়নতা কখনও দৃশ্যমান হয়নি। চরম যাতনা প্রকাশ করেছেন, অঝোর নয়নে কেঁদেছেন, বুক ভাসিয়েছেন, বিধাতার করুণা ভিক্ষা চেয়েছেন। দীর্ঘ ২১ বছরের অপেক্ষা শেষে তাঁর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। এর পরের ঘটনাবলি কঠিন থেকে আরও কঠিনতর। তবুও কায়েমি স্বার্থবাদীদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে একে একে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন তা উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর। শত দুঃখ যাতনা নিয়েও আইনের স্বাভাবিক গতি বাধাগ্রস্ত না করে হত্যার বিচার কার্য সম্পন্ন করিয়েছেন বেদনার পাথর চাপা দিয়ে। যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ অপেক্ষার বিচার কার্য করিয়েছেন, যা চলমান। বাঙালী জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করিয়েছেন। পিতাসহ পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী ধাপে শেখ হাসিনার দেশে প্রত্যাবর্তন ও ক্ষমতায় যাওয়ার ঘটনা নিয়ে দফায় দফায় ফণা তুলেছে কালনাগিনীরা। গ্রেনেড হামলা, বোমা পুঁতে তাঁকে হত্যা চেষ্টার রয়েছে বহু ঘটনা। অর্থাৎ ষড়যন্ত্র থামেনি, থামছে না। কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে? গণতন্ত্রের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যায়। তিনি গণতন্ত্রের নতুন বীজ বপন করেছেন। সেই গণতন্ত্রের বীজ উপড়ানো তো কঠিন। তাঁর মাঝে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের গণতন্ত্রের যে বীজ বপিত হয়েছে সেটার অঙ্কুরোদগম তো হয়ে গেছে। সুবাসিত হচ্ছে। কঠিনেরে যিনি ভালবেসেছেন, তার গতিরোধ করা দুষ্কর। এটাই ধ্রæব সত্য। তিনি স্বৈরাচারী শাসন, মৌলবাদী ও জঙ্গীবাদের সমর্থনপুষ্টদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে দেশের ইতিহাসে রচনা করেছেন মহাকাব্য। শোকের আগুন শক্তিতে পরিণত হয়েছে। উপড়ে ফেলেছেন দুষ্টচক্রের সেই রোডম্যাপ, যা ছিল ভয়ানক ষড়যন্ত্রের, বাঙালীদের অবদমনের, জাতিকে নিকৃষ্টতম পর্যায়ে নেয়ার এক অপপ্রক্রিয়া। পৃথিবীতে বহু দেশের ইতিহাস রয়েছে যেখানে কল্যাণের বদলে জনগণকে অকল্যাণকেই দুঃখজনকভাবে আলিঙ্গন করতে হয়েছে। বাংলাদেশকে নিয়েও কম অপচেষ্টা চলেনি। কিন্তু পারেনি। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, বিএনপি-জামায়াত জোট ও তাদের সমর্থিত অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে তিনিই পুরোধা। তিনি ভিশনারী। তাঁর নেতৃত্বেই জনগণ ভোটের অধিকার লাভ করেছে। পাকিস্তানের অধীনে ২৪ বছরের গোলামীর জিঞ্জির ভেঙ্গে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে। তিনিই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁর ডাকেই হয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধ। ঝাঁপিয়ে পড়েছে বাংলার বীরসন্তানরা। নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে বাঙালীর প্রিয় স্বাধীনতা। বিশ্ব মানচিত্রে উদয় হয়েছে লাল-সবুজে অঙ্কিত নতুন পতাকা। এর পরের ইতিহাস স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের আরও নতুন ষড়যন্ত্রের। স্বাধীনতার মহানায়ককে হত্যার পর বাংলার আকাশ কালো মেঘে ঢাকা পড়ে। স্বৈরাচারি জেনারেলদের একের পর এক ক্ষমতা গ্রহণ, আরও পরে রাষ্ট্র চালানোর দায়িত্বে এলো মিথ্যার বেসাতিতে চ্যাম্পিয়ন গল্পকাররা। মিথ্যাবাজ ও অলীক গল্পকারদের হটাতে বঙ্গবন্ধুর হাতছাড়া হয়ে যাওয়া এ দেশের নেতৃত্বের আসনে শেখ হাসিনাকে আসতে সময় গড়িয়েছে বহু। আন্দোলন-সংগ্রামে প্রাণসংহারও কম হয়নি। তিনিও ঘাতকের বুলেটের মুখোমুখি হয়েছেন বহুবার। ‘এই আমার দেশ, এই আমার জাতি। আমার স্বপ্ন সাধনা, সংগ্রাম, জেল-জুলুম, অত্যাচার-নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিজয়ী এদেশ। এই জাতিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। বাঙালী বীরের জাতি। বীরের মৃত্যু নেই-’ জননেত্রী শেখ হাসিনা এই মুলমন্ত্রকে ধারণ করে ধর্মীয় সম্প্রীতি, অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সমুন্নত রেখেই এগিয়ে চলেছেন। তাঁর বহু অর্জন, তবুও তৃপ্তির সাগরে ডুবেন না। বেদনার বালুচর রয়েছে তাঁর মাঝে। অকালে এতিম হয়েছেন পিতামাতাসহ পরিবারের সদস্যদের হারিয়ে। অসময়ে ঝরে যাওয়া বাবা মা ও পরিবারের সদস্যদের খুঁজে বেড়াতে হবে সারাজীবন তাঁকে। এর পাশাপাশি ঝড়ঝাপটারও কমতি নেই। সাহসের সঙ্গে সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করেই চলেছেন। তিনি যে জনতার নেত্রী। তিনিতো বাঙালী জাতির অহঙ্কারের ধন। ব্যক্তিগতভাবে ও দেশের জন্য অসংখ্য আন্তর্জাতিক এ্যাওয়ার্ড রয়েছে তাঁর অর্জনের ভাণ্ডারে। সর্বশেষ পেলেন জাতিসংঘের এসএডিএসএন-এর পক্ষ থেকে ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’। পেয়েছেন বহু সম্মাননার পিএইচডি ডিগ্রীও। এত অর্জনের পরও তিনি থেমে নেই। অসীমের পথে তিনি আগোয়ান। অভয়মন্ত্রে জয় করেছেন ভয়কে। শেখ হাসিনা ক্রীড়ামোদীদের শীর্ষ পর্যায়েরও অন্যতম। খেলাধূলা নিয়ে তাঁর উচ্ছ¡াস যে কোন্্ পর্যায়ের তা কারো অজানা নয়। দেশের ক্রীড়া জগতকে শক্তিশালী করতে তাঁর অবদানের শেষ নেই। কী ক্রিকেট! কী ফুটবল! কী অপরাপর খেলাধুলা! নারীদের খেলাধুলায় বিশেষভাবে অংশগ্রহণ করানোসহ সর্বক্ষেত্রে তাঁর নজরদারী ও সহযোগিতা অপরিসীম। আইসিসি ট্রফি জয় করে বাংলার টাইগারদের বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনে প্রধানমন্ত্রীর পদে থেকে তিনি যা করেছেন, অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন- দেশের ক্রীড়াজগতের ইতিহাসে তা স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে। শেখ হাসিনা দারুণ সংস্কৃতিমনাও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। এর আগে থেকেই সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে তাঁর অংশগ্রহণ। আর এখন তিনি শত ব্যস্ততার মাঝেও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন। কিছু সময়ের জন্য হলেও নিজেকে আনন্দের মাঝে ডুবিয়ে রাখেন। বয়স্কদের জন্য রয়েছে তাঁর অগাধ সম্মানবোধ। শুধু বয়স্ক ভাতা চালু করে তিনি ক্ষান্ত থাকেননি। শেষ বয়সে গিয়ে অক্ষম পিতা-মাতার জন্য সন্তানদের পক্ষ থেকে ব্যয়ভার মিটানোর আইনও করেছেন। না মানলে শাস্তির বিধানও রেখেছেন। পিতামাতার প্রতি অসীম ভক্তি শেখ হাসিনার। জাতিসংঘসহ বিশ্ব ফোরামে তাঁর অবস্থান থাকে সদা-সুদৃঢ়। ফিলিস্তিন, রোহিঙ্গা, নিপীড়িত জাতি ও দেশসমূহসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের পক্ষে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য ও অবস্থান ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। বর্ণাঢ্য ও সংগ্রামমুখর জীবনের অধিকারি শেখ হাসিনার এক পুত্র ও এক কন্যা। পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়। তিনি কম্পিউটার বিজ্ঞানী। মনোবিজ্ঞানী কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। বোন শেখ রেহানার সন্তানরাও উচ্চ শিক্ষার শিখরে। ওরাতো বঙ্গবন্ধুরই রক্তের উত্তারাধিকার। বেদনাবিধুর পঁচাত্তর তাদের সকলের জীবনের জন্য সবচেয়ে বেশি মর্মন্তুদ ঘটনা হয়ে থাকবে ইহকাল জুড়ে। জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে দেশের অবস্থান সুদৃঢ় করতে প্রায়শ: বিনিদ্র রজনী কাটে প্রজ্ঞার স্মারক শেখ হাসিনার। প্রতি মুহূর্ত জনগণের জীবন মান উন্নয়নের ভাবনায় অতিবাহিত করেন। তিনি বাঙালীর আশাজাগানিয়া প্রতীক। দেশকে নেতৃত্বদানের আসনে থেকে তিনি সাহসে বলীয়ান। তার রাজনৈতিক, প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড গভীর চিন্তাধারায় সমৃদ্ধ। নারীর ক্ষমতায়নে রচনা করেছেন নতুন গৌরবের ইতিহাস ও অধ্যায়। তিনি যে বিষ্ময়েরও বিষ্ময়। তাঁকে লৌহমানবি বললে কি অত্যুক্তি হবে? তবে এর উত্তর বলে দেবে সময় ও ভবিষ্যত। কৃতজ্ঞাবনত এ জাতি বঙ্গবন্ধুর কাছে, তাঁর পরিবারের কাছে। এদেশ থাকবে, তাই তাদের নিয়ে রচিত হতে থাকবে নানা উপাখ্যান। পশ্চিমাদের স্বার্থ, আরবীয় দেশের তেলের বিনিময়ে অর্থশক্তি কি পুরোপুরি শান্তির সপক্ষে? ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তি করে রক্তের হোলিখেলা বন্ধ হয়েছে। ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে তিনি এ দেশে আশ্রয় দিয়েছেন মানবতার স্বার্থে। এ ধরনের মানবতায় অন্য কোন দেশতো এগিয়ে এলো না। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বাস্তুচ্যুত, নিপীড়িত ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর এসব অসহায় নারী-পুরুষ ও শিশুদের আশ্রয়ের পথ সুগম করলো না। জননেত্রী শেখ হাসিনার এই মানবিকতা বিশ্বজুড়ে বিষ্ময় সৃষ্টির পাশাপাশি ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হলো। প্রাণঘাতী করোনা পরিস্থিতিও তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার সফলভাবেই মোকাবেলা করে চলেছে। জননেত্রী, বঙ্গনেত্রী, এদেশের প্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ পঁচাত্তরে পা দিলেন। জাতির অহংকার তুমি। শুভ জন্মদিন। বিশেষ এই দিনে অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালবাসার অবগাহন।
×