ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মোস্তাফা জব্বার

মাল্টিমিডিয়া ॥ ডিজিটাল প্রকাশ মাধ্যম-৩

প্রকাশিত: ২০:১১, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

মাল্টিমিডিয়া ॥ ডিজিটাল প্রকাশ মাধ্যম-৩

কম্পিউটার ও মাল্টিমিডিয়া মাল্টিমিডিয়া বিষয়ের গভীরে যাবার আগে আমাদের বোঝা দরকার মাল্টিমিডিয়া বলতে কি বোঝায়। যদি আমরা কম্পিউটারের ভাষায় ব্যাখ্যা করি তবে কম্পিউটারের পর্দার দিকে তাকাতে হবে। আমরা সবাই জানি কম্পিউটারের পর্দায় প্রদর্শিত সকল বিষয়কেই পিক্সেল বলা হয়। পিক্সেল প্রধানত দু’ধরনের হয়ে থাকে। ক. টেক্সট ও খ. গ্রাফিক্স। কম্পিউটারের সিস্টেমে বিদ্যমান ফন্টসমূহকে কোড হিসেবে ব্যবহার করে যেসব বর্ণ (Text) প্রদর্শন করা হয় তার সঙ্গে ‘ফন্টের নির্দিষ্ট নামের’ সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। কোন কোন এপ্লিকেশনে এসব ফন্ট সম্পাদনা করা গেলেও (যেমন ইলাস্ট্রেটর) বেশিরভাগ এপ্লিকেশন কম্পিউটারের পর্দায় তাই প্রদর্শন করে, যা ফন্টে ডিজাইন করা হয়ে থাকে। আবার এও সত্য যে, অপারেটিং সিস্টেমে ফন্ট যুক্ত না থাকলে বা অপারেটিং সিস্টেমে ফন্ট যুক্ত করার ব্যবস্থা না থাকলে যে কোন ফন্ট ব্যবহার করা যায় না। ইন্টারনেটের প্রয়োগ কর্মসূচীগুলোতে ফন্টের ব্যবহার সীমিত থাকে। কেবলমাত্র ওয়েবসাইটে ফন্ট এমবেড করা থাকে। ব্রাউজার বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপারেটিং সিস্টেমের নির্দিষ্ট করা ফন্টই ব্যবহার করতে হয়। প্রকৃতার্থে প্রত্যেকটি বর্ণই একটি ‘গ্রাফিক্স’ অবজেক্ট হলেও কম্পিউটারের ভাষায় একে গ্রাফিক্স বলা হয় না। বলা হয় টেক্সট। এক সময় এসব টেক্সট এতই বৈচিত্র্যহীন ছিল যে, সকল প্রকারের ডকুমেন্টে কেবল এক ধরনের ফন্টই ব্যবহার করা হতো। এমনকি সাইজ বা স্টাইলও ছিল না সেসব ফন্টে। বস্তুত কম্পিউটারে গ্রাফিক্স মানে হচ্ছে ‘ছবি’। ‘ছবি’ বলতে আমরা কম্পিউটারে তৈরি করা বা জেনারেটেড চিত্র, অঙ্কন, ডিজাইন বা ইলাস্ট্রেশন করা ছবি, টুডি-থ্রিডি ডিজাইন, এফেক্টস ইত্যাদি ছাড়াও কম্পিউটারে বাইরে থেকে ইনপুট দেয়া ছবি এবং উপরোক্ত বিষয়সমূহকে বোঝায়। এক সময় গ্রাফিক্সের সংজ্ঞা ছিল কম্পিউটারের ফন্ট ছাড়া যা ব্যবহার করা হয় তার নামই গ্রাফিক্স। আশির দশকে প্রচলিত আইবিএম পিসি প্রধানত টেক্সটবেজড কম্পিউটার সিস্টেম ছিল। যেহেতু কম্পিউটার গণনা যন্ত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল সেহেতু প্রথম মাত্র ১০টি সংখ্যা ও পরে রোমান ৫২টি বর্ণ এবং চিহ্নসমূহ প্রদর্শন করাই কম্পিউটারের প্রধান লক্ষ্য ছিল। কিন্তু কালক্রমে পিসি ব্যবহারকারীদের চাহিদা বাড়তে থাকে। আবার কেবল ফন্ট নয়, এর সঙ্গে গ্রাফিক্স ব্যবহার করতে চাইতে থাকে। কালক্রমে এখন অডিও-ভিডিও ব্যবহার করার জন্য পিসি ব্যবহার হতে শুরু করেছে। পিসিতে অপারেটিং সিস্টেম লেভেলে ‘গ্রাফিক্স’ বা ননটেক্সট ইমেজ প্রদর্শনের অনন্য সুযোগ আসে ‘লিজা’ অপারেটিং সিস্টেম থেকে। যদিও প্রো-ডস, ডস, সিপিএম ইত্যাদি প্রথম প্রজন্মের পিসি অপারেটিং সিস্টেমে গ্রাফিক্স ব্যবহারের সুযোগ ছিল, তথাপি সেসব অপারেটিং সিস্টেমে ছিল প্রচুর সীমাবদ্ধতা। তবে ‘মেকিন্টোশ’ বা ‘ম্যাক ও. এস’-এ এসে সেই সুযোগ আরও সম্প্রসারিত হয়। বস্তুত লিজা এবং মেকিন্টোশে প্রদর্শিত ফন্টসমূহও ‘গ্রাফিক্স’। আধুনিককালে পিসির উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে ম্যাক ও. এস-এর সেসব ধারণাকে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা দরকার যে, সত্তর দশকে যখন পার্সোনাল কম্পিউটার বা পিসির সূচনা হয় তখনও কম্পিউটারে গ্রাফিক্স উপেক্ষিত ছিল না। বিশেষত সে সময় ‘হোম’ ও ‘স্কুলে’ ব্যবহৃত কম্পিউটারে গ্রাফিক্স, এমনকি ‘অডিও-ভিডিওর’ ব্যাপারটিও মাথায় রাখা হয়েছে। তবে সে সময় গ্রাফিক্স ব্যবহার করার জন্য একজন প্রোগ্রামারকে কম্পিউটারের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করতে হতো। মেকিন্টোশের জন্মের আগে যেসব পিসি স্কুলে বা হোমে ব্যবহার হয়েছে তাতেও গ্রাফিক্স ও মাল্টিমিডিয়ার বিষয়টি ছিল। সে সময়ই কিছু এডুকেশনাল সফটওয়্যার মাল্টিমিডিয়া প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। মাল্টিমিডিয়াকে কম্পিউটার চিহ্নিত করেছে টেক্সট ও গ্রাফিক্সের সঙ্গে অডিও-ভিডিওকে যুক্ত করার মধ্য দিয়ে। তবে নতুন শতকে আমরা যে মাল্টিমিডিয়ার কথা বলছি তার পরিধি অনেক বিস্তৃত। বিশ শতকের সমাপ্তি হয়েছে ‘ডিজিটাল’ শব্দটি দিয়ে। একুশ শতক আমাদের চারপাশের সবকিছুকেই ডিজিটালে রূপান্তর করছে। শেষ কথা হলো ‘গ্রাফিক্স ও মাল্টিমিডিয়া’র পৃথক পৃথক দুনিয়া অবশিষ্ট থাকলেও কম্পিউটারকে সামনে রেখে যখন আমরা এই দুটি প্রযুক্তির কথা বলব তখন বুঝতে হবে এর পুরোটাই ডিজিটাল। মাল্টিমিডিয়া নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে একটি বিষয়ে আমরা নিশ্চিত করেই বলতে পারি যে, এটির সর্বব্যাপী বিস্তারের জন্য এর প্রয়োগ ক্ষেত্রের পরিধিও ব্যাপকভাবে বেড়েছে। একই সঙ্গে এই কথাটিও বলা দরকার যে, মাল্টিমিডিয়া প্রোগ্রামিং দিনে দিনে একটি আকর্ষণীয় পেশায় পরিণত হচ্ছে। বিশেষ করে উপস্থাপনা, শিক্ষা-বিনোদনমূলক সফটওয়্যার বা ওয়েবপেজে মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমাদের এই খাতে দক্ষ মানুষের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। মাল্টিমিডিয়ার বর্তমান প্রয়োগ সারা পৃথিবীতে এখন সর্বপ্রথম যে প্রবণতাটি স্পর্শ করছে সেটি হচ্ছে প্রচলিত ধারণা ও প্রচলিত যন্ত্রপাতিকে কম্পিউটার দিয়ে স্থলাভিষিক্ত করা। আসুন দেখা যাক গ্রাফিক্স- মাল্টিমিডিয়ার অবস্থাটি কি। ১. বর্ণ বা টেক্সট : সারা দুনিয়াতেই টেক্সটের যাবতীয় কাজ এখন কম্পিউটারে হয়ে থাকে। এক সময় টাইপরাইটার ও ফটোটাইপসেটার দিয়ে যেসব কাজ করা হতো- অফিস-আদালত থেকে পেশাদারী মুদ্রণ পর্যন্ত সর্বত্রই এখন কম্পিউটার পৌঁছেছে। আমাদের দেশেও এই অবস্থাটি প্রায় বিশ্ব পর্যায়ের। মুদ্রণ ও প্রকাশনায় কম্পিউটারের ব্যবহার নিরঙ্কুশ। অফিস-আদালতেও এখন কম্পিউটারের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। ২. চিত্র বা গ্রাফিক্স : দুনিয়ার সর্বত্রই গ্রাফিক্স তৈরি, সম্পাদনা ইত্যাদি কাজে কম্পিউটারের ব্যবহার নিরঙ্কুশ। আমাদের দেশে গ্রাফিক্স ডিজাইন, পেইন্টিং, ড্রইং বা কমার্শিয়াল গ্রাফিক্স নামক চারুকলার যে অংশটি রয়েছে তাতে কম্পিউটারের ব্যবহার অত্যন্ত সীমিত। আমাদের চারুকলার একাডেমিশিয়ানরা এখনও সনাতন পদ্ধতিতেই অভ্যস্ত। তবে একটি ব্যতিক্রমী এলাকা হচ্ছে মুদ্রণ ও প্রকাশনা। মুদ্রণ প্রকাশনায় গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার শুরু হয় নব্বই দশকে। প্রথমে ফটোশপ দিয়ে স্ক্যান করা ছবি সম্পাদনা করে এর সূচনা হয়। ক্রমশ ডিজাইন এবং গ্রাফিক্সে কম্পিউটার জায়গা করে নিতে থাকে। ইতোমধ্যেই বিজ্ঞাপন, সাইনবোর্ড, এ্যানিমেশন, স্থাপত্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার হচ্ছে। সম্প্রচার বা ভিডিও-অডিওর সঙ্গেও গ্রাফিক্সের ব্যবহার হচ্ছে। ইন্টারএ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার প্রস্তুত হওয়ায় সেখানেও গ্রাফিক্স তার নিরঙ্কুশ আধিপত্য বিস্তার করছে। ইন্টারনেটের ব্যবহার আমাদের দেশে বিস্তৃত হচ্ছে। এটি ক্রমশ এখন শহুরে বিলাসিতা থেকে গ্রামের মানুষেরও প্রয়োজনের বস্তু হয়ে উঠেছে। ওয়েবপেজেও গ্রাফিক্সের ব্যবহার হচ্ছে। ২.১ ভিডিও-টিভি : ভিডিও কার্যত এক ধরনের গ্রাফিক্স। একে চলমান গ্রাফিক্স বললে ভাল হয়। বিশ্বজুড়ে ভিডিও একটি সুপ্রতিষ্ঠিত মিডিয়া। টিভি, হোম ভিডিও, মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার, ওয়েব সকল ক্ষেত্রেই ভিডিওর ব্যবহার ব্যাপক। বিশ্বজুড়ে ভিডিও এখন এনালগ থেকে ডিজিটালে রূপান্তর হচ্ছে। ভিডিও চ্যাপ্টারে টিভি প্রযুক্তির উদ্ভব একটি যুগান্তকারী ঘটনা। এখন কার্যত এনালগ পর্যায়ে ভিডিও ধারণ, সম্পাদনা ও সংরক্ষণ করার কোন উপায়ই নেই। এমনকি ভিডিও সম্প্রচারও এনালগ থেকে ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে। ২.২ এ্যানিমেশন : এ্যানিমেশনও এক ধরনের গ্রাফিক্স বা চিত্র। তবে সেটি চলমান বা স্থির হতে পারে। এটি দ্বিমাত্রিক বা ত্রিমাত্রিক হতে পারে। আমাদের দেশে এ্যানিমেশনের ব্যবহারও ক্রমশ ব্যাপক হচ্ছে। বিশেষত বিজ্ঞাপন চিত্রে এ্যানিমেশন একটি প্রিয় বিষয়। তবে এ্যানিমেশনে কাজ করার লোকের অভাব রয়েছে। এ্যানিমেশন বিষয়ে বিভ্রান্তিও রয়েছে অনেক। প্রায় সকলেই মনে করেন যে, থ্রিডি ম্যাক্স জানলেই বুঝি এ্যানিমেশন শেখা হয়ে গেল। আমি এমন অনেককে জানি যারা মনে করেন এ্যানিমেশন নিজেই একক ও স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রযুক্তি। আসলে এ্যানিমেশন কখনই কেবলমাত্র একক মিডিয়া হিসেবে ব্যবহার হয় না। এর সঙ্গে অডিও, ভিডিও, টেক্সট গ্রাফিক্স ইত্যাদির সম্পর্ক রয়েছে। ২.৩ সিনেমা : সিনেমা গ্রাফিক্সের আরও একটি রূপ। এর ব্যবহার এখনও ব্যাপক। তবে ভিডিও এবং সিনেমার মাঝে প্রযুক্তিগত পার্থক্য দিনে দিনে কমে আসছে। ৩. শব্দ বা অডিও : শব্দ (Audio/Sound) বা অডিও রেকর্ড, সম্পাদনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সারা দুনিয়া এখন কম্পিউটারের ওপর নির্ভর করে। সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এনালগ পদ্ধতি এখন বস্তুত সম্পূর্ণ অচল হয়ে গেছে। বাংলাদেশে আমার জানা মতে ’৯৯ পর্যন্ত কেবলমাত্র একটি ডিজিটাল অডিও স্টুডিও ছিল। মিডিয়া সেন্টার নামের সেই প্রতিষ্ঠানটিতে মেকিন্টোশভিত্তিক প্রোটুলস সফটওয়্যার এবং এর আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সর্বোৎকৃষ্ট কাজকর্ম করা হচ্ছিল। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তা গণসাহায্য সংস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এটিও বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু এখন যদি আমরা অডিও স্টুডিওর কথা ভাবি তবে সম্ভবত একটি এনালগ স্টুডিও পাব না। একটি ছোট পিসি এবং একটি অডিশন সফটওয়্যার দিয়ে সেই স্টুডিও গড়ে তোলা যাচ্ছে। এনালগ স্টুডিও ব্যাপারটা কাগজের সিসার হরফ, ক্যামেরার ফিল্ম বা ট্যাপের মতোই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ৪. মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার : বাংলাদেশে মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার প্রস্তুত হওয়া শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ-৭১. অবসর, বিশ্বকোষ, নামাজ শিক্ষা ইত্যাদি সফটওয়্যার তৈরির পাশাপাশি এক সময় কিছু পত্রিকা মাল্টিমিডিয়া প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রকাশ হতো। এক সময় ঢাকা রেসিং নামে একটি গেমও তৈরি হয়েছিল। তবে ইন্টারএ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়ার একটি অনন্য দৃষ্টান্ত হচ্ছে বিজয় শিশুশিক্ষা ও বিজয় প্রাথমিক শিক্ষা। যেহেতু এই কাজটি আমাদের করা সেহেতু একে দৃষ্টান্ত হিসেবে রেখে আমরা এমন কাজ করার ধাপগুলো আলোচনা করতে পারব। ৫. ডিজিটাল প্রকাশনা : আমাদের প্রকাশনা এখনও কাগজনির্ভর। তবে পুস্তকগুলোর ডিজিটাল সংস্করণ প্রকাশ হতে শুরু করেছে। এরই মাঝে অনেক ডিজিটাল বই এবং বইয়ের এ্যাপ প্রকাশ হয়েছে। এসব বইয়ের ধারাটি ইন্টারএ্যাকটিভ বা প্রকৃত মাল্টিমিডিয়া না হলেও এর প্রবণতাটি ইন্টারএ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়ার দিকে। ঢাকা, ২৭ জুন ২০১৪, সর্বশেষ আপডেট ২৪ সেপ্টেম্বর ২১ ॥ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান- সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ-এর প্রণেতা [email protected], www.bijoyekushe.net
×