ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রণেশ মৈত্র

তালেবানরা উদারপন্থী হচ্ছে কি?

প্রকাশিত: ২১:৪৩, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

তালেবানরা উদারপন্থী হচ্ছে কি?

আফগানিস্তানে বিগত ১৫ আগস্ট তালেবানদের ক্ষমতা দখলের পর থেকে অনেকেই পরিস্থিতি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছেন। অনেকে কিছুটা আশ্বস্ত কিছুটা উৎসাহিতও হয়েছিলেন যখন তালেবানীদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয়েছিল ‘আজকের তালেবানরা ২০ বছর আগের তালেবানদের মতো হবে না। তারা উদার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেশ পরিচালনা করবেন। নারী অধিকারের স্বীকৃতি দেবেন। শুধু হেজাব পরেই তাঁরা দেশের যত্রতত্র যেতে পারবেন, লেখাপড়া চাকরি-বাকরি সবই করতে পারবেন।’ এমন ঘোষণার পর বিশ্বের অধিকাংশ মানুষই ভেবেছিলেন, ধর্মীয় অন্ধত্ব এবং উগ্রতার প্রতিফলন ঘটলেও এবারের তালেবান সরকার অতীতের মতো ধর্মের নামে নিষ্ঠুরতা চালাবে না। এগোবে কিছুটা উদার পথে। আফগানিস্তান তালেবানদের দখলে যাওয়ার পর এই সময়ে তাদের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করলে আদৌ কি তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটার ন্যূনতম লক্ষণ চোখে পড়ে। এক্ষেত্রে কতিপয় সাম্প্রতিক ঘটনার উল্লেখ নিশ্চয়ই প্রাসঙ্গিক হবে। এক. কাবুল দখলের পরপরই তালেবানরা বলেছিল। আমরা সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব কামনা করি। এই ঘোষণার পরপরই ভারত সরকারের একজন প্রতিনিধি কাতারে গিয়ে তালেবানীদের মনোনীত প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। আলোচনার সকল বিষয় জানা না গেলেও এটুকু জানা গিয়েছিল যে আফগানিস্তানের মাটিতে ভারতবিরোধী কোন কর্মকা- কাউকেই তালেবানরা করতে দেবে না। দুই. এর পরপরই সেখানে ছুটে যান পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধান ফয়েজ হামিদ। পঞ্চশির প্রদেশে তখন সেখানকার যোদ্ধারা কিছুতেই তালেবানী শাসন মেনে নিচ্ছিলেন না। তারা বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ছিলেন। অবশ্য ইতোমধ্যে পঞ্চশিরও তালেবানরা দখলে নিয়েছে। তিন. আইএসআই প্রতিনিধি সেখানকার সকলের সঙ্গেই আলোচনা করেছেন বলে জানা যায়। অতঃপর দুটি ঘটনা ঘটল। তালেবানদের নেতৃত্বে আফগানিস্তানের নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে। সরকারের প্রধান মোল্লা হাসান আখুন্দ। চার. এই মোল্লা হাসান আখুন্দ মারাত্মক উগ্রপন্থী বলে আন্তর্জাতিক মহলে পরিচিত। ২০ বছর আগে আমেরিকার ৯/১১ এর ধ্বংসলীলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড হিসেবে তিনি পরিচিত এবং আজও তিনি আমেরিকার কালো তালিকাভুক্ত। পাঁচ. তৎকালীন তালেবান এবং আইএস প্রধান, মার্কিন বাহিনী কর্তৃক আফগানের মাঠিতে নিহত মোল্লা ওমরের কট্টরপন্থী সন্তানও ঐ মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। ছয়. অতি সম্প্রতি রাশিয়া এবং ভারত সরকার আফগানিস্তানের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণে যৌথভাবে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন। তালেবানরা আফগান দখল নেয়ার পরপরই রাশিয়ার সরকার বলেছিল, তারা আশা করছেন, নতুন তালেবানী সরকার অতীতের মতো উগ্র হবে না। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা ও উদারতার দিকে অগ্রসর হবে। দু’সপ্তাহ যেতে না যেতেই রুশ-ভারত বৈঠকে সম্ভাব্য তালেবানী সন্ত্রাস প্রতিরোধে উভয় সরকার যৌথভাবে কাজ করবেন বলে আনুষ্ঠানিকভাবে একমত হলেন। সাত. আফগানিস্তানের নারী সমাজ আজও তালেবানী উত্থান মেনে নেননি। তালেবানীদের বিরুদ্ধে লেখা নানা পোস্টার ব্যানার হাতে তারা প্রায় রোজই মিছিল সমাবেশ করছেন কাবুল ও অন্যান্য শহরের রাজপথে। তাদের দাবি পুরুষের সঙ্গে নারীর সমঅধিকারের স্বীকৃতি, বোরকাকে বাধ্যতামূলক করা চলবে না। শুধু হিজাব পরেই স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ও কর্মক্ষেত্র সমূহে নিয়মিত যাতায়াতের স্বাধীনতার স্কীকৃতি দিতে হবে। আট. শুধু পুরুষ সদস্যদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন নয়, নারীদেরও উপযুক্ত সংখ্যায় গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোত মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে; নয়. অসহিষ্ণু এবং অগণতান্ত্রিক তালেবানরা নারীদের মিছিল মিটিং নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং নারীদের প্রতিবাদ মিছিলে টিয়ার গ্যাসনিক্ষেপ করে অনেক মহিলাকে আহত করেছে। কোথাও কোথাও বিদ্রোহী মহিলা আফগানকে গুলি করে হত্যাও করেছে। নারী সমাজ তাতে দমে যাননি। বিক্ষোভ চলছেই। দশ. সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। নারী বিক্ষোভের ছবি তোলার অপরাধে দুজন আফগান সাংবাদিককে পুলিশ ও তালেবান গু-ারা ধরে নিয়ে অর্ধ উলঙ্গ করে প্রহার করেছে। উভয় সাংবাদিককেই চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। এগার. তালেবান প্রধানমন্ত্রী মোল্লা হাসান আখুন্দ ও উপপ্রধানমন্ত্রী আবদুল গণি বারদারার মধ্যে মতানৈক্য হওয়ায় বারদারা ইতোমধ্যেই হামলার শিকার হয়েছেন। বারো. হঠাৎ দিল্লী ছুটে গেছেন পাকিস্তানের আইএসআই প্রতিনিধি আফগানিস্তানের পক্ষে দূতিয়ালি করতে। আন্তর্জাতিক মহল প্রধানমন্ত্রী মোল্লা হাসান আখুন্দকে পাকিস্তান মনোনীত বলেই মনে করছেন। তেরো. জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত গত ৯ সেপ্টেম্বর জাতি সংঘের সেক্রেটারি জেনারেলকে অনুরোধ জানিয়েছেন আফগানিস্তানের তালেবানী নতুন সরকারকে স্বীকৃতি না দিতে। চৌদ্দ. অতি সম্প্রতি একজন তালেবান নেতাকে নারীর মর্যাদা ও নারী পুরুষের মধ্যকার বৈষম্য দূরীকরণের ব্যাপারে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে উত্তরে সরাসরি বলেন, সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা ও বৈষম্য মুক্তির দাবি মুখরোচক হলেও অর্থহীন। কারণ, নারীর প্রধান কাজ সন্তান জন্ম দেয়া ও শিশুদের প্রকৃত ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা। অপর এক প্রশ্নে সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেন, আশরাফ ঘানির আমলে তো বহু সংখ্যক নারী স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন পড়াতেন, এবং চাকরিও করতেন। তাহলে এখন অনুরূপ ব্যবস্থায় বাধা কোথায়? উত্তরে তালেবান নেতাটি বলেন, ওই নারীরা চাকরি করত নাকি? তারা তো কর্মক্ষেত্রে পুরুষদের সঙ্গে যৌন ক্রিয়ায় মত্ত থাকত। বাস্তবে তাদের বেশ্যা বলে অভিহিত করা উচিত। পনেরো. অতঃপর সাংবাদিক প্রশ্ন করেন নারী সমাজ তো মোট জনসংখ্যার অর্ধেক। তবু তারা মন্ত্রিসভায় স্থান পাবেন না কেন? এর উত্তরে তালেবানদের পক্ষ থেকে বলা হয়, নারীরা মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ অক্ষম এবং দায়িত্ব পালনের পুরোপুরি অযোগ্য। তাই মন্ত্রিসভায় নারীর কোন স্থান হবে না। ষোলো. ক্ষমতায় এসেই তালেবানরা নারীদের জন্য খেলাধুলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করার প্রতিবাদে অস্ট্র্রেলিয়া বলেছে তাহলে আফগানিস্তানের কোন টিমের সঙ্গেই অস্ট্রেলিয়ার কোন টিম খেলবে না। সতেরো. মন্ত্রিসভা গঠনে ১৫ জন সদস্য রাখা হয়েছে, এর মধ্যে সবাই পুরুষ। অপরদিকে কাবুল শহরে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সকল নাগরিককে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে তালেবানরা। নারীরা মন্ত্রিসভায় স্থান ও তাদের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের দাবিতে তাবৎ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ করছেন। তাদের স্লোগান, ‘আমরা সমান অধিকার চাই, সরকারে নারীর স্থান চাই।’ জিয়া নাত্নী এক আফগানী বিক্ষোভকারী মহিলা নেত্রী জানান, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছিলাম। হঠাৎ দেখলাম ৪/৫ টা গাড়ি এলো আমাদের পেছন পেছন। প্রতিটি গাড়িতে ১০ জন করে তালেবান যোদ্ধা রয়েছেন, এক পর্য্যায়ে আমাদের থামিয়ে দেয়া হয়। আঘাত করা হয় চাবুক দিয়ে এবং ব্যাট দিয়ে মারধর করা হয়। সারা নামের অপর বিক্ষোভকারী বলেন, আমাদের সবাইকে মারধর করা হয়েছে। আমিও আঘাত পেয়েছি। তারা আমাদের বাড়িতে যেতে বলে। তারা আরও বলে, বাড়িই নারীর জায়গা। তিনি বলেন, মারধরের ভিডিও করতে গেলে তারা হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে দূরে ফেলে দেয়। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম এতিলাতবোজরের খবরে বলা হয়, বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ায় বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে পেটানো হয়েছে এবং তাদের আটক রাখা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডব্লিউআইওএন জানিয়েছে, বিক্ষোভ চলতে থাকায় কিছু এলাকায় দুপুর ২টা থেকে ইন্টারনেট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে তালেবান। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পতন ও তালেবানের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পেছনে দেশটির সাবেক ক্ষমতাসীন আশরাফ ঘানির সরকারকেই দায়ী করলেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সাবেক আফগান রাষ্ট্রদূত রয়া রাহমানি। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণে তিনি ভীতসন্ত্রস্ত হলেও বিস্মিত হননি। প্রথম কোন আফগান নারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন রয়া রাহমানি। সাক্ষাতকারে তালেবানের এই বিজয়ের ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব অনেক বেশি হবে বলেও তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন। রয়া বলেছেন, ‘আফগানিস্তানের মানুষকে রক্ষায় আফগান নিরাপত্তা বাহিনী তালেবানদের বিরুদ্ধে যেতে ইচ্ছুক ছিল না, বিষয়টা আসলে এ রকম নয়। আফগান সরকার এবং এর পুরো নেতৃত্বটাই ছিল দুর্নীতিগ্রস্ত। মূলত তারাই দেশটিকে তালেবানদের হাতে তুলে দিয়েছে।’ এই ভয়াবহ রাজনৈতিক সঙ্কট সমগ্র আফগানিস্তানে মারাত্মক সামাজিক ও অর্থনৈতিক সঙ্কটও সৃষ্টি করেছে। বিশ বছর আগে অনুষ্ঠিত ৯/১১ আমেরিকার টুইন টাওয়ারের হামলা, কয়েক হাজার লোকের প্রাণ ও সম্পদহানি ঘটে জঙ্গীদের দ্বারা। তৎকালীন আফগানিস্তান জঙ্গীদের আশ্রয় দিচ্ছে এই অভিযোগে ২০০১ সালের ৭ আগস্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ আমেরিকার পক্ষ থেকে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে গিয়ে সেখানে এক তাঁবেদার সরকার ক্ষমতায় বসিয়ে দেন। যুদ্ধটি দীর্ঘ ২০ বছর অর্থাৎ ৭২৬৩ দিন ধরে চলে। যুদ্ধে সন্ত্রাসী নেতা বিন লাদেনকে ও মোল্লা ওমরকে হত্যা করা হয়। এই দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে প্রতিদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খরচ হয়েছে ৩০ কোটি ডলারের বেশি। মোট খরচ হয়েছে ২.২৬ ট্রিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে শুধু যুদ্ধে ব্যয় হয়েছে ৮০০ বিলিয়ন ডলার। ২০০১ সালের তালেবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রের ২৩০০ সেনা নিহত হয়েছেন এবং ২০৬০ সেনা আহত হয়েছেন। বহুজাতিক বাহিনীর সাড়ে তিন হাজারের মতো সেনাও নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আফগানিস্তান ও পাকিস্তান মিলিয়ে দশ লাখের মতো নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছেন। ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বলছে, সব মিলিয়ে দুই লাখ ৪১ হাজারের মতো মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ৭১ হাজার বেসামরিক মানুষ। এই বিপুল ক্ষয়ক্ষতির দায়দায়িত্ব যেমন তালেবানী বাহিনীকে নিতে হবে, তেমনই তা নিতে হবে আমেরিকা ও পাকিস্তানকেও। আশির দশকে আফগানিস্তানে যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন সমর্থিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তখন ঐ সরকারকে উৎখাত করার জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দিয়ে ছিল সিআইএ ও আইএসআই। ধর্মের নামে উত্তেজিত করে আফগানিস্তানে সন্ত্রাসী তালেবান গোষ্ঠী তৈরি করেছে। অস্ত্র প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সরবরাহ করে তাদের মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা সোভিয়েত সমর্থিত আফগান সরকার অপসারণ করেছে। ক্ষমতায় বসিয়েছে তালেবান সন্ত্রাসীদের। সেই থেকে আইএসসহ বহু নামে সন্ত্রাসীরা গোটা বিশ্বে ইসলামের নামে উন্মাদনা সৃষ্টি করে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি হুমকি সৃষ্টি করেছে। নতুন করে তালেবানী সরকার আফগানিস্তানে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চল এবং মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোতে বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে। বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই নানা নামে কাজ করা জঙ্গী ধরা পড়তে শুরু করেছে। তাই দেশ থেকে বাহাত্তরের সংবিধানের মতো ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ, পাঠ্যপুস্তকে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সকল ধর্মের সমান অধিকারের স্বীকৃতির বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে শিক্ষা প্রবর্তন করা অপরিহার্য। লেখক : একুশে পদক প্রাপ্ত সাংবাদিক [email protected]
×